ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলিগলি-পর্ব-০২
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলিগলি-পর্ব-০২ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের নিকট অনেক ভালো লাগবে।
আমি এখন যেখানে যায় সেখানেই ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। কিছুদিন আগে আমি মিরপুর গিয়েছিলাম। দুইতলা বিআরটিসি বাসের দ্বিতীয় তলায় বসে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম। ঐ সময় বাহিরে প্রচুর রোদ ছিল। যার ফলে ছবি গুলো দারুন হয়েছিল। আজকের ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমি আপনাদের বিভিন্ন বিষয় দেখানোর চেষ্টা করবো। কোন জাগায় কেমন হলে আরো ভালো হতো সেই বিষয়টাও উল্লেখ করার চেষ্টা করবো। শহরে ঘুরলে অনেক চিত্র চোখে পড়ে। বর্তমানে ঢাকা শহরের প্রধান সমস্যা হলো রাস্তার যানজট। ত্রিশ মিনিটের জায়গা অতিক্রম করতে দুই ঘন্টা লাগে। ঐদিন আমি বানিজ্য মেলায় যেতে ও আসতে এমন জানজটের চিপায় পড়েছিলাম, যা বলে বুঝানো যাবে না। যায়হোক চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখা যাক।
মিরপুর যাওয়ার পথে এই ফটোগ্রাফিটা নিয়ে ছিলাম। ফটোগ্রাফিতে যে বেল্ডিং গুলো দেখতে পাচ্ছেন, সে গুলো সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মান করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাধারনত এক লেভেলের বেশি অংশ বেল্ডিং দেখা যায় না। কারন কেউ দেশের কোন নিয়ম নীতি মানতে চায় না। যারা যেভাবে ইচ্ছা বেল্ডিং তৈরী করে ফেলে। যদি এক লেভেলে ভবন নির্মাণ করা হয় তাহলে দেখতে সুন্দর লাগে। বিদেশের বিভিন্ন মুভিতে এমন চিত্র দেখা যায়। আমার কাছে এই বিষয়টা খুবই ভালো লেগেছে।
এটা ফার্মগেট গোল চত্বরের একটি চিত্র। ফার্মগেট আমি চার মাস ছিলাম। সেখানে অলিগলি সবই আমার চেনা জানা। কয়েকদিন আগে সেখানে গিয়ে আমি সব কিছু গুলিয়ে ফেলেছি। আগের ওভার ব্রিজ,চিত্র কিছুই সেখানে নেই। আমি সেখানে গিয়ে চিনতেই পারছি না যে,আসলে এটাই সেই চিরচেনা ফার্মগেট এলাকা। নতুন সিস্টেম করে খুব সুন্দর একটি ওভার ব্রিজ তৈরী করেছে। আগের মত ওভার ব্রিজে ফুটপাতের দোকান নেই।
আর এখানে ট্রাফিক সিগন্যালের দুইটি চিত্র দেখতে পাচ্ছেন। বাংলাদেশের রাজধানী সহ সারা দেশে ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে ট্রাফিক সিস্টেম নিয়ন্ত্রন করা হয়। যার ফলে ট্রাফিক পুলিশ এক দিক দিয়ে গেলে অন্যদিক দিয়ে গাড়ি চলে যায়। মানে কেউ ট্রাফিক সিগন্যাল মানতে চাই না। বাঙ্গালীরা নিয়ম কানুন মানতে চাই না, বরং নিয়ম কানুন ভাঙ্গতে উস্তাদ। দুটি চিত্রের মধ্যেই ট্রাফিক পুলিশ সব কিছু নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করছে। উন্নত দেশ গুলোতে অটোমেটিক ট্রাফিক সিগন্যাল নিয়ন্ত্রন করা হয়। তবে বাংলাদেশে এখনো সেই সিস্টেম চালু হয়নি।
উপরে দুইটি ছবিতে একটি চিত্রই দেখতে পাচ্ছেন। টাকা থাকলে যা হয় আর কি। ২০ তলা একটি বেল্ডিং এক থেকে বিশ তলা পর্যন্ত শুধু ছাদ তৈরী করে রেখে দিয়েছে। কোন একটি ফ্লোরে বাসা দোকান বা বসবাসের উপযুক্ত করা হয়নি। এমনি ফেলে রেখেছে। আবার অন্যদিকে মালিককে বুদ্ধিমান বলতে হয়। কারন বাংলাদেশে রট,সিমেন্ট,বালুর দাম যে ভাবে বাড়ছে,পরে দেখা যাবে ডাবল দাম বেড়ে গেছে। তাই আগে ছাদ তৈরী করে ফেলেছে। পরে আবার টাকা পয়সা যোগার করে বাকি কাজ করবে। বেল্ডিংটা কিন্তুু বিশাল বড় দেখা যায়।
আর সব শেষে খুব সুন্দর একটি ভবনের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। আপনারা ভবনের দিকে খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন, ভবনের প্রত্যেকটা তলায় গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করেছে। এমনকি প্রত্যেকটা ফ্লোরে ফুলের গাছ লাগিয়ে রেখেছে। ভবনের স্কয়ার ফিট কম তবে ভবনটি খুব সুন্দর ভাবে তৈরী করেছে। সবাই যদি এভাবে নিজেদের সাধ্যমত তাদের ভবনে গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করতো তাহলে আমাদের শহরটা অনেক সুন্দর হতো। কিন্তুু আমাদের দেশের মানুষ গাছ কাটতে জানে কিন্তুু গাছ লাগতে জানে না। গাছ মারতে জানে, গাছ জীবিত রাখতে জানে না। বিভিন্ন ওভার ব্রিজের উপরে টবের মধ্যে ফুলের গাছ লাগানো থাকে। কিছু মানুষ নামের জানুয়ার সেই গাছের টবে প্রস্রাব করে রাখে। চিন্তা করেন,কতটা খারাপ মানুষ। এদের নিয়ে আর কিছু বলার নাই।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | ঢাকা শহরের বিভিন্ন অলিগলি-পর্ব-০২ ।। |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৮/০২/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গা আপনি খুব সুন্দর ভাবে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটো কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে। আর পাশাপাশি দেখার সৌভাগ্য হলো ঢাকা শহরের সেই স্থানগুলো। ফটোর পাশাপাশি আপনি সুন্দর ভাবে বর্ণনার সাথে তুলে ধরেছেন আমাদের ঢাকা শহর।
জী ভাইয়া চেষ্টা করেছি বিভিন্ন জায়গার ফটোশুট করে শেয়ার করতে। ধন্যবাদ।