পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-চতুর্থ পর্ব (বোদ্ধ পাড়া পরিদর্শন ।।)

হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি ভ্রমন-চতুর্থ পর্ব শেয়ার করবো। আশা করি ব্লগটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

আমাদের পর্যটক গ্রুপ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কাপ্তাই লেকের নির্জন দ্বীপে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে নিলাম। তারপর আমাদের এডমিন আপুকে জিঙ্গেস করলাম এখন আমরা কোথায় যাবো। তখন আপু বললেন আমরা এখন বোদ্ধ পাড়া হয়ে বোদ্ধ মন্দির পরিদর্শনে যাবো। সবাইকে ডেকে নৌকায় উঠতে বললো। ৪৭ জনের মধ্যে চল্লিশ জনের মত নৌকায় উঠে যায়। চার পাঁচজন সব সময় লেইট করে। তারপর সবাইকে ডেকে তুলে আমরা কাপ্তাই লেকের পাড়ে অবস্থিত বোদ্ধ পাড়ার উদ্যেশ্যে চললাম। নৌকা কাপ্তাই লেকের নীল পানি উপর দিয়ে চলতে লাগলো। আমরা খাওয়া দাওয়া করে শরীরে কিছুটা এনার্জি এসেছে। আমরা নৌকায় বসে বসে বিভিন্ন দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে লাগলাম।

আমরা যাওয়ার পথে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। পানি খুবই পরিষ্কার,তখন সূর্যের তাপও বাড়তে থাকে, তবে বাতাস ছিল। নদীর পানি ঠান্ডা হওয়ার কারনে রোদের তাপ আমাদের শরীরে তেমন লাগে নাই। যারা নৌকার ছাদে ছিল তারা কিছুটা গরম অনুভব করেছে। আমি কিছুক্ষন ছাদের উপর থেকে পরে ভিতরে চলে গেলাম। উপরে যে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পাচ্ছেন সব গুলোই নৌকার উপর থেকে তুলা। লেকের পাড়ে কিছু জেলে ভাইকে দেখতে পচ্ছেন। তারা তাদের মাছ ধরার জাল নৌকায় তুলছে। তাদের পিছনেই রয়েছে বন-জঙ্গলে গেরাও করা বিশাল বড় পাহাড়।

আমাদের নৌকা ধীরে ধীরে সামনের দিকে চলতে লাগলো। আমাদের গ্রুপের মধ্যে কয়েক জন্য নৌকার মাঝিকে বলেছিল যে নৌকা কিছু পাহাড়ের পাশ দিয়ে নিয়ে যায়। যেন আমরা পাকৃতিক দৃশ্য গুলো কাছে থেকে দেখতে পারি। আপনারা উপরের ফটোগ্রাফিতে পাথরের পাহাড়ের অংশ গুলো দেখতে পাচ্ছেন। আমরা বোদ্ধ পাড়ায় গিয়ে দেখি সেখানে অলরেডি অনেক নৌকা দাড়িয়ে আছে। আমাদের আগে অনেক গ্রুপ সেখানে চলে গেছে। লেকের পানি শুকিয়ে অনেক নিচে চলে গেছে। যার ফলে নৌকা আর মেইন ঘাটে যায় না। যে মাঝি যেখানে সুবিধা পায় সেখানেই নৌকা তীরে বেড়াচ্ছে।

নৌকা তীরে যাওয়ার আগেই আমাদের এডমিন আপু সবাইকে বলে দিলো যে,এখানে আমরা দেড় ঘন্টা সময় অতিবাহিত করবো। দেড় ঘন্টার মধ্যে সবাই নৌকায় ফিরে আসবেন। আমরা নৌকা থেকে নেমে বিভিন্ন রাস্তা ধরে বোদ্ধ পাড়ায় প্রবেশ করলাম। পাহাড়ের অনেক উচুঁতে তাদের বাড়ি ঘর। এই বোদ্ধ পাড়া অতিক্রম করেই যেতে হবে বোদ্ধ মন্দিরে। আমি আর আমার কলিগ হাটতেছি আর বিভিন্ন জায়গার ফটোগ্রাফি নিতেছি। বর্ষা শুরু বা শেষের দিকে আসতে পারলে বেশি মজা পাওয়া যেতো।

আমি বোদ্ধ পাড়ার বিভিন্ন ঘর বাড়ির ফটোগ্রাফি নিলাম। তারা এখানে বসে কি যেন যঙ্গ করছে। ঘর বাড়ি তেমন সাজানো গুছানো না। এখানে তারা অস্থায় ভাবে থাকে। তাদের মূল বাড়ি ঘরে অনেক দুরে। বিভিন্ন পাহাড়ের চূড়ায় তারা বাসা বাড়ি করে বাস করে। সেখান থেকে এখানে কোন বিষয়ের যঙ্গ করার জন্য এখানে জমায়েত হয়েছে। শেষের ছবির মধ্যে গাছের মত একটি জিনিষ দেখতে পাচ্ছেন। এটা দিয়ে কি করে সেটা আমার জানা নেই। তাদের কারো সাথে আমাদের কথা হয়নি। আমরা চুপচাপ দেখে দেখেই চলে যাচ্ছি। এখানকার লোক গুলোও আমাদের সাথে তেমন কথা বলার আগ্রহ দেখায়নি। সেখানে যাওয়ার পরে রোদের তাপ লক্ষ করলাম। অনেকেই সেখানে গিয়ে টিউবঅয়েল খুজতে লাগলো। সেখানে কোন টিউবঅয়েল নেই। তারা মটর দিয়ে পানি তুলে খায়। আমরা হাটতে হাটতে পাড়াহের ‍দিকে উঠতে লাগলাম। পরের পর্বে আপনারা বোদ্ধ মন্দিরের ফটোগ্রাফি দেখতে পারবেন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।