“গ্রামের মামাতো বোন” নাটক রিভিউ।।
বাংলা ভাষার মিলন মেলা
হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো খুবই রোমান্টিক ও বাস্তব ভিত্তিক একটি নাটক। এরকম ঘটনা আমাদের সমাজে প্রায় ঘটে থাকে। সে জন্যই পরিচালক নাটকটি তৈরী করেছেন। আশা করি নাটকটি সবার কাছেই ভালো লাগবে। আমি এখানে সংক্ষিপ্ত ভাবে রিভিউটা শেয়ার করতেছি। আপনারা নাটকটি দেখলে আরো বেশি মজা পাবেন।
- নাটকের নাম-গ্রামের মামাতো বোন
- পরিচালক- রুবেল হাসান
- অভিনয়ে- জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, মেহজাবিন চৌধুরী, খালেকুজ্জামান, ওয়াহিদা মল্লিক জলি এবং আরও অনেকে।
- সময়- ৩৬ মিনিট
- মুক্তির তারিখ- ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- ভাষা- বাংলা
- দেশ- বাংলাদেশ
রুবেল হাসানের পরিচালায় দারুন রোমান্টিক ও বাস্তব ভিত্তিক একটি নাটক দেখলাম। যার নাম হলো “গ্রামের মামাতো বোন”। বাংলাদেশে সহ সারা বিশ্বে খালোতো ভাই বোন, মামাতো ভাই বোন তথা কাজিনদের মাঝে বিয়ের প্রচলন রয়েছে অনেক আগে থেকেই। আর এটা ইসলাম ধর্মে বৈধ। আগের কার দিনে কাজিনদের মাধ্যে বিয়ে শাদী কিছুটা কম ছিল। তবে ইদানিং কালে সেটা বেড়েছে। কারন ছেলে মেয়ের গার্জিয়ান তাদের ছেলে মেয়েকে দুরে বিয়ে করাতে বা দিতে চায় না। তার কারন হলো দুরে আত্বীয় স্বজন করলে ছেলে মেয়ে কেমন হয়, বংশ কেমন সেটা অনেকাংশে অজানা থাকে। আর ফেমিলি মেম্বারদের মধ্যে ছেলে মেয়ে থাকলে পরিচিত থাকে। ছেলে মেয়েকে জানা শোনা থাকে। সেই জন্য ইদানিং কালে কাজিনদের মধ্যে বিয়ের প্রচলন দেখা যায়। আমাদের জানা শোনা এমন অনেক বিয়ে হতে দেখেছি। দুই ফেমিলির এমন একটি ঘটনা নাটকে তুলে ধরা হয়েছে।
নাটকে অপূর্বর মা ও মেহজাবিনের বাবা হলো আপন ভাই বোন। সে হিসাবে অপূর্বের মামাতো বোন হলো মেহজাবিন। তারা দুই জন কাজিন। মেহজাবিনের মা নেই, সে তার বাবার সাথে অন্য একটি গ্রামে থাকে। এগিকে অপূর্বর বাবা নেই, তার মা গ্রামে একাই থাকে। তবে অপূর্ব থাকে ইউরোপে। অনেক বছর পরে অপূর্ব ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে আসে। অপূর্বকে দেখার জন্য তার মামা তাদের বাড়িতে আসে। মামার সাথে আসে মামাতো বোন মেহজাবিন। অপূর্ব মেহজাবিন কে দেখে ভালো লাগে। মেহজাবিন একটু লজ্জা পায়, কথা কম বলে। তবে অপূর্ব নিজে থেকে কথা বলে মেহজাবিনের সাথে ফ্রি হওয়ার চেষ্টা করে। মেহজাবিন ও অপূর্বকে পছন্দ করে, তবে লজ্জা পায়। ধীরে ধীরে দুইজনের মাঝে সুন্দর একটি ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে।
অপূর্ব আর মেহজাবিনের সম্পর্কের কথা অপূর্বর মা জেনে ফেলে। একদিন সকাল বেলা অপূর্বর মা তার ভাই তথা মেহজাবেনর বাবাকে নাস্তা দেওয়ার সময় খোঁচা দিয়ে কথা বলে। তখন মেহজাবিন বিষয়টা বুঝতে পারে। অপূর্বর মা চায় না তার ছেলে মেহজাবিনকে বিয়ে করুক। তাদের দুই জনের সম্পর্ক সে মেনে নিবে না। কারন সে আত্বীয়ের মাঝে আত্বীয় করতে চাই না। তবে অপূর্ব মেহজাবিনকে মনে প্রানে ভালেবাসে। বোনের কাছে মেয়ের জন্য অপমানিত হয়ে মেহজাবিনের বাবা মেয়েকে নিয়ে তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে আসে।
হঠাৎ করে অপূর্বর বাড়ি থেকে মেহজাবিন ও তার মামা চলে যাওয়ার বিষয়টা বুঝতে পারে। সে কয়েকদিন যাবৎ খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে শুধু মেহজাবিনকে নিয়ে ভাবে। প্রেমে পড়লে যায় হয় আর কি। তারপর এক বড় ভাইয়ের পরামর্শ নিয়ে অপূর্ব তার মামার বাড়িতে যায়। তবে তার মামাও বিষয়টা বুঝতে পেরে অপূর্বকে ঘরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। তাকে ঘরে না নিয়ে বাহির থেকেই ফিরিয়ে দেয়। কিন্তুু অপূর্ব তো ছাড়ার বান্দা নয়। সে মেহজাবিনের জন্য গ্রামের রাস্তায় বসে থাকে। মেহজাবিন অপূর্বকে দেখলেও না দেখার অবস্থা করে চলে যায়। এভাবে অপূর্ব মেহজাবিনকে দেখার জন্য তাদের বাড়ির চারপাশে ঘোরাঘুরি করে। এই বিষয়টা আবার মেহজাবিনের বাবা অপূর্বর মায়ের কাছে গিয়ে বলে। তার ছেলেকে সে যেন গিয়ে নিয়ে আসে। কারন তার ছেলের কারনে এলাকার মানুষ বিভিন্ন কথা বলছে।
অপূর্বর মামা তার ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে অপূর্বকে জোর করে ধরে নিয়ে আসে। আর বলে তাকে অন্য জাগায় বিয়ে করাবে। কিন্তুু অপূর্ব অন্য জাগায় বিয়ে করবে না। সে যদি মেহজাবিনকে বিয়ে করতে না পারে তাহলে আবার ইউরোপ চলে যাবে। কিন্তুু তাতেও অপূর্বর মা রাজি হয় না। তখন অপূর্ব রাগ করে ছুটি বাতিল করে টিকেট কেটে ইউরোপ যাওয়ার প্রস্তুুতি নিতে থাকে। তখন অপূর্বর মা বিষয়টা বুঝতে পেরে নিজেই ভাইয়ের বাসায় গিয়ে মেহজাবিন ও তার বাবাকে নিয়ে আসে। তখন মেহবাজিনের বাবা বলে তারা ভাইবোন অপূর্ব ও মেহজাবিনকে মেনে নিয়ে বিয়ে দিতে চাই। তারপর অপূর্ব আর মেহজাবিনের মুখে হাসিঁ ফুটে।
মতামত-
আজকের নাটকটি একটি পরিবারের সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটি দেখলে মনে হবে বাস্তব ঘটনা ঘটেছে। আর আমরা সেটা সরাসরি দেখতেছি। মেহজাবিন ও অপূর্ব তারা তো নাটকের আইডল। খুব সুন্দর ভাবেই বিষয়টা ফুটিয়ে তুলেছে। গ্রামের মধ্যে এত সুন্দর একটি নাটক হতে পারে না দেখলে বুঝতাম না। আর এভাবে জিদ ধরে অনেক বিয়ে হতে দেখেছি। সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর একটি নাটক। আপনারা দেখলে অবশ্যই মজা পাবেন। গার্জিয়ানরা দেখলে কাজিনদের বিয়েতে আর অমত করবে না,হা হা হা।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
মেহজাবিন এবং অপূর্বের এই নাটকটা অনেক সুন্দর হয়েছে। আজ আপনি অনেক সুন্দর করে গ্রামের মামাতো বোন নাটকের রিভিউ টা শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। সম্পূর্ণ কাহিনী অনেক সুন্দর ছিল। অপূর্ব যদি মেহজাবিনকে বিয়ে করার জন্য জেদ না ধরতো, তাহলে হয়তো কখনো তাকে বিয়ে করতে পারতো না। শেষ মুহূর্তে তাদের দুজনকে তাদের পরিবার মেনে নিয়েছে বিয়ে দেওয়ার জন্য, এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো।
মেহজাবিন এবং অপূর্বের জুটি দারুন নাটক করে। এই নাটকটি ও অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
গ্রামের মামাতো বোন নাটকটি আমি দেখেছি বেশ ভালোই লেগেছিল আমার কাছে। নাটকটিতে অপূর্ব ইউরোপ থেকে আসে এবং মেহজাবিনকে অনেক ভালোবাসে। কিন্তু প্রথম দিকে অপূর্বের মা বিষয় টা মেনে নিচ্ছিল না। পরে উনি আবার দুজনকে এক করে দেন। এত সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু একেবারে গ্রামের বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। ধন্যবাদ।
গত সপ্তাহে আমিও এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছিলাম। নাটকটি আমার কাছেও চমৎকার লেগেছিল। শেষ পর্যন্ত ছেলের মা তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়েছে এটা দেখে খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
জী ভাইয়া সব দিক দিয়ে নাটকটি পার্ফেক্ট হয়েছে। দেখে ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ।
আমি সবসময় চেষ্টা করি সুন্দর সুন্দর নাটকগুলোর রিভিউ পড়ার জন্য। সংক্ষেপে রিভিউর মাধ্যমে নাটকের কাহিনীটা জানতে আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। আমি মাঝে মাঝেই সময় পেলে নাটক দেখি। এরকম নাটক গুলো আমার অনেক বেশি দেখা হয়। এই নাটকটার শর্ট ভিডিও দেখেছিলাম। আর তখন ভেবেছিলাম নাটকটা সম্পূর্ণ দেখবো। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে এখনো দেখা হয়নি। এখন রিভিউ পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো।
জী ভাইয়া যারা রিভিউ করে তারাও চেষ্টা করে মূল বিষয়টা তুলে ধরার জন্য। ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি দারুণ একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।যদিও নাটক টি দেখা হয়নি তবে নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। মেহজাবিনের নাটক গুলো দারুণ লাগে আমার। ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর একটি নাটক এর রিভিউ করে খুবই ভালো লাগছে৷ যেভাবে আপনি আজকের সুন্দর নাটক এর রিভিউ শেয়ার করেছেন তা বেশ অসাধারণ হয়েছে৷ আপনার কাছ থেকে এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগছে৷ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নাটক এর রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷