স্বরচিত কবিতা-নিয়তি ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
আসসালামুআলাইকু/ নমস্কার/ আদাব।
আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি কবিতা শেয়ার করবো।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন,
আপনারা সবাই জানেন আমি গত কয়েক দিন আমাদের অফিসের পিকনিক নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় পার করেছি। গত কালকে সকল জামেলা থেকে মুক্ত হয়েছি। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করি, তিনির অসীম দয়ায় সুন্দর ভাবে আমাদের পিকনিকের সকল অনুষ্ঠান সফল হয়েছে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি কবিতা শেয়ার করবো। কবিতাটি শেয়ার করার পূর্বে আপনাদের সামনে কবিতার মূলভাবটি তুলে ধরছি,
আমার পরিচিত এক ভাইয়ের নাম হলো মুজিব। যিনি স্বপরিবারে ঢাকা থাকেন। তিনি ভালবেসে কায়ফা মনি নামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। বিয়ের প্রায় বারো বছর যাবৎ তাদের কোন ছেলে মেয়ে হয়নি। এই বিষয়টা নিয়ে মুজিব ভাই আর ভাবির সব সময় মন খারাপ থাকতো।
একটি সন্তানের আশায় তারা অনেক ডাক্তার কবিরাজের কাছে গেছে। কোন লাভ হয়নি। উপরওলা সন্তান না দিলে পৃথিবীর কারো কোন শক্তি নেই সন্তান দেওয়ার। তারা নিজেদের মত করে সব চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ঘরে বসে গেল। তারা ভেবেছে তাদের কোন সন্তান হবে না। কিন্তুু তাদের বিয়ের বারো বছরে পদার্পন হওয়ার পর তাদের কুল জোড়ে আসে একটি ছেলে সন্তান। সেই সন্তান পেয়ে তারা এত খুশি হয়েছে যে, মনে হয় আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে।
শখ করে সেই ছেলের নাম রাখে খোকা। খোকার জন্য এমন কোন কাজ নেই যা মুজিব ভাই করেনি। মুজিব ভাই আর কায়ফা ভাবি ছেলেকে সব সময় চোখে চোখে রাখতো, কারো সাথে কোথাও যেতে দিতো না। ছেলে যখন পনের বছর পদার্পন করলো তখন হঠাৎ একদিন তার বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে নদীতে গেল।বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় তার বড়শিতে একটি মাছ লেগে যায়। মাছটি তুলনা মূলক একটু বড় সাইজের ছিল। সেই মাছটি ধরতে গিয়ে বড়শি সহ সে নদীতে ঝাপ দেয়। কিন্তুু নদীতে ঝাপ সে আর উপরে উঠেনি। মাছের সাথে খোকাও সেই নদীতে চিরতরে হারিয়ে যায়। খোকাকে হারানোর শোকে মুজিব ভাই আর কায়ফা ভাবি এখন মূর্তির মত জীবন যাপন করছে। এই বিষয়টাই আমি কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
নিয়তি
ব্যস্ত শহরের এক কোণে
মুজিব কায়ফা বাস করে।
একজন অপরজনকে ভালবেসে
দুজন দুজনাকে বিয়ে করে।
দিন সাপ্তাহ মাস গুনে বছর করলো পার
তাদের কবে সন্তান হবে আশায় দিন যায়।
টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ি সবই ছিল হায়
মুজিব ভাই রাগ করিতো সন্তান ছিল না তাই।
এখানে সেখানে ছুটাছুটি করে খেলতো কত শিশু
এমন একটি সন্তান হলে আর লাগতো না কিছু।
চোখের জ্বলে প্রভুর কাছে করে মোনাজাত
একটি সন্তান দাওগো প্রভু কবুল করো হাত।
অনেক পরে অবশেষে কুলে এলো শিশু
মুজিব ভাই কায়ফা মনি হলো অনেক খুশি।
ছেলেকে কুলে নিয়ে ঘুরে মুজিব কায়ফা
শখ করে রাখলো ছেলের নাম খোকা।
ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে তাদের ছোট্ট সোনা
অনেক বড় আশা তাদের করবে পড়াশোনা।
পাড়ার কিছু ছেলের সাথে ধরতে গেল মাছ
কি যানি কি দেখে খোকা পানিতে দিলো ঝাপ।
মাছের আশায় খোকা তাদের ঘরের বাহির হলো
সব শিশু ঘরে ফিরলেও খোকা নাহি এলো।
খোকার শোকে মুজিব কায়ফা পেল অনেক ব্যথা
এটাই বুঝি ছিল তাদের নিয়তির লেখা।
বন্ধুরা আজকে এপর্যন্তই। কেমন হলো আজকে আমার স্বরচিত কবিতাটি, অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। । আবার দেখা হবে। নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। এই আশা রেখে আজকে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতেছি। আল্লাহ হাফেজ।। ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
আপনি কবিতাটি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন কিন্তু কবিতাটি পড়তে খুব কষ্ট হলো। মজিব ভাই এবংকায়ফা ভাবির জন্য খুবই খারাপ লাগলো। তারা ভালোবেসে বিয়ে করলেন কিন্তু ১২ বছর তাদের কোন ছেলে সন্তান হয়নি। তারপরে একটি ছেলে হল। ছেলেটিকে তারা এতই আদর করত শুনে খুব ভালোই লাগলো। যখন মাছ ধরার সময় পনেরো বছর বয়সে ছেলেটি চিরতরে জন্য হারিয়ে গেল। এরকম হলে তো বাবা-মা জীবন থাকতেও মৃত। কবিতাটি আপনি সুন্দর করে লিখেছেন।
জী আপু খোকাকে হারিয় তারা জীবিত থেকেও মৃত প্রায়। ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনার কবিতাটি সত্যি হৃদয়বিদারক ছিল । প্রথমের লেখা অংশটি পড়ে সত্যি ভীষণ খারাপ লাগলো । শত সাধনার পরে একটি পুত্র সন্তান পেয়েও অবশেষে তাকে হারাতে হল । তাদের তো পাথর হয়ে যাবারই কথা । আর এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটিকে আপনি কবিতার ছন্দে ছন্দে দারুন ভাবে লিখেছেন । বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।
জী আপু মুজিব ভাইয়ার জন্য আমারও অনেক কষ্ট হয়। ধন্যবাদ আপু।
কবিতাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। তবে কবিতাটি খুবই আবেগ প্রবল ছিলো। একটি বাস্তব ঘটনা কবিতার ছন্দে খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জী ভাইয়া ঘটনাটি আমার পরিচিত এক বড় ভাইয়ের। সান্তনা দেওয়ার ভাষা নাই। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কোন কিছু দেওয়ার চেয়ে না দেওয়াই ভালো সৃষ্টিকর্তাই এমন শাস্তি দিলেন যে যা সহ্য করার মতো না।মা-বাবা দুজনের জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে তারা দুইজনই অনেক কষ্ট করে অনেক বছর পর একটা সন্তানের পিতামাতা হলেন কিন্তু তাকে নিয়ে নিলেন।সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন অনেক ভাল লেগেছে।
জী আপু দিয়ে নিয়ে যাওয়ার থেকে না দেওয়াই ভাল ছিল। এটাই নিয়তি। ধন্যবাদ আপু।
আপনার কবিতাটি পড়ে অনেক দুঃখ লাগলো। মুজিব ভাই এবং রাইফা ভাবীর জন্য। ভালোবেসে বিয়ে করল কিন্তু অনেক বছর তাদের ছেলে মেয়ে হল না। ১২ বছর পর যেহেতু একটি ছেলে হয়েছে তাদের ঘরে চাঁদের আলোর মতই লাগতেছে। ছেলেটি মাছ ধরতে গিয়ে নিখেস হওয়ার কারণে মা বাবা সত্যি মৃত মানুষের মত হয়ে গেল। কারণ এই পরিস্থিতি আমি নিজে ও জানি। কারণ আমার একটি ভাই দুর্ঘটনা ভাবে মারা গেছে। আমার মা-বাবা দুজন মৃত মানুষের মত বেঁচে আছে। কবিতা পড়তে অনেক কষ্ট লাগলো আমার।
জী ভাইয়া ঘটনাটি সত্যিই অনেক কষ্টের। তারা বেচে থেকেও মৃত প্রায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সবাই কমবেশি কবিতা রচয়িতা করছে। এক একজনের কবিতার মধ্যে এক একটি ভাব তুলে ধরছে। আসলে কবিতার মধ্য দিয়ে মনের কথাগুলো সুন্দরভাবে প্রকাশ করা যায়।আপনার কবিতাটি হৃদয়বিদারক একটি কবিতা।খুব মর্মান্তিক একটি ঘটনা আপনি কবিতার ছন্দের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। সন্তানের যন্ত্রণা শুধু বাবা-মাই বোঝে। খুবই সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া প্রত্যেকটা কবিতার পিছনে একটি ঘটনা থাকে। সেটা প্রকাশ করে দিলে বুঝতে সুবিধা হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।