ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার ষষ্ঠ পর্ব।। ( জাদুঘরের ভিতরে কি কি দেখলাম)
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। ভ্রমন করতে কার মনে না চাই। আমি মনে করি মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জাগায় ভ্রমন করা উচিত। কারন ভ্রমন করলে মানুষের মন রিফ্রেশ হয় আর পাশা পাশি জ্ঞানের পরিধি বৃদ্দি পায়। আমার মন চাই বাড়ি ঘর ছেড়ে দিয়ে সারা পৃথিবী ভ্রমন করি। যাদের টাকা আছে তারা কেন যে সারা পৃথিবী ভ্রমন করে না সেটাই বুঝি না। প্রথিবীটা যে কত সুন্দর সেটা ভ্রমন না করলে বুঝা যাবে না।
টাকা পয়সা ব্যাংকে জমিয়ে লাভ কি। কখন মরে যাবো সেটার ঠিক নেই। যথা সম্ভব টাকা পয়সা খরচ করে পৃথিবীটা ঘুরে দেখা দরকার। কত জাগায় কত কিছু রয়েছে। কত কিছু অদেখা রয়ে গেছে। কত কিছু জানার বাকি আছে। সে গুলো জানা দরকার,দেখা দরকার।
আমি আজকে ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার অনুভূতির ষষ্ঠ পর্ব আপনাদের নিকট প্রকাশ করতেছি। গত পর্বে আমি জাদুঘরের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলার চিত্রকর্ম ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলো শেয়ার করেছিলাম। আজকে আপনাদেরকে দেখাবো জাদুঘরের তৃতীয় তলায় কি কি জিনিষ রয়েছে। চলুন শুরু করি।
প্রাচীন কালে বাংলাদেশ সহ ভারতীয় উপমহাদেশে যত প্রকার নৌকা ছিল সব নৌকার আকৃতি এখানে আছে। কত ডিজাইনের নৌকা যে ছিল আর কত রকম নাম এগুলো না দেখলে বুঝতে পারতাম না।
পূর্ব যুগে রাজা ও তাদের মন্ত্রীরা সহ প্রজারা যত ধরনের কাঠের ও মাটির পাত্র ব্যবহার করেছে সে গুলোর নিদর্শন দেওয়া আছে। গ্লাসের ভিতরে কাগজে লিখা আছে , কোথায় কোথায় থেকে এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
আগে নাকি মানুষ কাঠের খড়ম পরত। এখন সে গুলো জাদুঘরে দেখা যায়। আমি একবার এই খরম পড়ে হেটেছিলাম। পায়ে ব্যথা লাগে। তারা কিভাবে পরতো আমি বুঝতেছি না।
প্রথমটা রানীর সিন্দুক না কি মেকাপের বক্স বুঝতেছি না। কোন কিছু লেখা ছিল না। আর দ্বিতীয়টা ঘোড়ার গাড়ির পিছনে যে অংশটা থাকে সেটা। আবার কেউ কেউ বলে সেটা না কি পালং।
আগের দিনে রাজারা যে হাতিতে চড়ে রাজ্য ভ্রমন করতেন সে চিত্রটা কাঠের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে। আর কিছু বিভিন্ন মূর্তি সহ কাঠের চিত্র কর্ম রয়েছে। সব মিলিয়ে অনেক প্রকারের চিত্র রয়েছে।
সব শেষে দুুটি সেলফি নিলাম। প্রচুর মানুষ ছবি তুলার কোন সুযোগ নাই। ক্যামেরা অপেন করলেই কেউ না কেউ ক্যামেরার ভিতরে চলে আসে। অবশেষে কোথাও জায়গা না পেয়ে পিছনে একজন মাটির মানুষকে নিয়ে সেলফি নিলাম। মানুষটা মনে হয় বাংলার ইন্জিনিয়ার কৃষক ভাই। তাকে গ্লাসের ভিতরে আটকিয়ে রাখা হয়েছে।
বন্ধুরা আজকে জাদুঘরের তৃতীয় তলার এক অংশের ফটো শেয়ার করেছি। পরের পর্বে তৃতীয় তলার পরের অংশের ফটো গুলো শেয়ার করবো। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
আবার দেখা হবে সপ্তম পর্বে....
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
স্থান | সোনারগাঁও জাদুঘর,নারায়গঞ্জ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার অন্যান্য পর্বগুলো আমি দেখিনি। তবে এই পর্বটি থেকে বেশ ভালো লেগেছে। প্রাচীনকালের বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখতে পেরেছি ,বাংলাদেশ ও ভারত মহাদেশ বিভিন্ন ধরনের নৌকার প্রচলন ছিল এখন অনেকটাই কমে গেছে ।এবং কাঠের খরম গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে সেগুলো পড়ে হাঁটতে ব্যথা পাওয়া গেছে ।এবং রাজাদের ব্যবহার করা মাটি কাঠের পাত্র গুলো বেশ সুন্দর লেগেছে।
জী আপু জাদুঘরে অনেক পুরাতন জিনিষ রাখা আছে। যা দেখতে খুব ভাল লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলছেন আসলে মাঝে মধ্যে ভ্রমন করে একটু ঘুরে দেখা দরকার।অনেক মানুষ আছে যাদের অনেক টাকা থাকার সত্ত্বেও ভ্রমন করেন না।তাদের টাকাগুলো মরে গেলে পোকায় খাবে মনে হয়।তবে আপনি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ইশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁওয়ে অনেক ঘুরতে পেরেছেন এবং সাথে সুন্দর ফটোগ্রাফি নিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে।
জী আপু যাদের টাকা আছে তারা কেন ভ্রমন করে না,সেটাই বুঝি না। আমার টাকা থাকলে সারা পৃথিবী ঘুরতাম। ধন্যবাদ আপু।
জাদুঘর ভ্রমন করে আপনি নিদর্শনের অনেক ফটোগ্রাফি এবং গুরুত্বপূর্ণ কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। যদিও আমি এখানে ভ্রমন করতে যাইনি তবে আপনার লেখনী এবং ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগছে।। বিশেষ করে প্রাচীনকালের কাঠের তৈরি নৌকার ডিজাইন।
তাছাড়া খরম দেখে আমিও মনে মনে ভাবছি আসলে এটি কিভাবে আগেকার মানুষ পড়ে হাঁটাচলা করত।।
জী ভাইয়া নৌকা গুলো দেখে আমার কাছেও অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি তো দেখছি ভাই ইসাখায় রাজধানী সোনারগাঁয়ের জাদুঘর থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে নিয়ে এনেছেন। আপনার এই অসাধারণ ফটোগ্রাফিগুলো থেকে আমি অনেক কিছু জানতে এবং চিনতে পারলাম। তবে ভবিষ্যতের চেষ্টা করব আমার বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের এখানে শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
জী ভাইয়া ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আসতে পারেন। অনেক কিছু শিখতে পারবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।