কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
আসসালামুআলাইকুম
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই । আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমার অবস্থা তেমন ভাল না। কারন আমি গত কয়েকদিন ধরে ফেমিলিগত সমস্যার কারনে আমার বাংলা ব্লগ থেকে দূরে ছিলাম। আবার আমার হাতের মোবাইলটিও নষ্ট হয়েগেছে। ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করতেছি। কিন্তুু গ্রামের বাসায় ওয়াইফাই নাই বিদ্যুৎ সমস্যা করে। সব মিলিয়ে কয়েকটা দিন খুব জামেলার মধ্য দিয়ে অতিক্রম হয়েছে। আজকে মোটামুটি ফ্রী হয়ে গেছি। এখন থেকে প্রতিদিন পোষ্ট পাবেন। ইনশাআল্লাহ।
গত কয়েকদিন আগে আমি আপনাদের সাথে আমার “কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমনের প্রথম পর্ব” সেয়ার করেছিলাম। আজকে দ্বিতীয় পর্ব সেয়ার করবো। আমারা সকালে ডলফিন মোড়,কলাতলি বিচের মেরিন ফুডস রেস্তোরায় নাস্তা করে বিচে নেমে গেছিলাম। আপনারা সবাই জানেন যে সেখানে গিয়ে পানিতে নামলে দুনিয়ার কোন খবর থাকে না। মনে হয় স্বর্গে চলে এসেছি। সবাই নিজেদের মত করে পানিতে নেমে আনন্দ করতে লাগলো। আমি প্রথমে সমুদ্র সহ সমুদ্র সৈকতের চার পাশের কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। আমার তো পানিতে নেমে আনন্দ করার থেকে ছবি তুলার প্রতি নেশা বেশি। আজকে বেশি কথা বলবো না। চলুন আপনাদের সাথে সমুদ্র সৈকতের অনেক গুলো ছবি সেয়ার করি...
পৃথিবীর সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজার। যে দিকে তাকাই শুধু পানি আর ঢেউয়ের খেলা দেখা যায়। চারদিকে মানুষ আর মানুষ। মানুষ যখন কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠে তখন এখানে আসে মনটাকে রিফ্রেশ করার জন্য। যে একবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গেছে সে বারবার যেতে চাইবে। পৃথিবীটা যে কত সুন্দর সেখানে গেলে কিছুটা বুঝা যায়। কক্সবাজার সম্পর্কে খুব বেশি বর্ণনা দেওয়ার মত কিছু নাই। কারন কম বেশি সবাই কক্সবাজার গেছেন। ঐখানের অবস্থা, পরিস্থিতি সব কিছুই আপনারা জানেন। শুধু একটি কথায় বলবো যাদের এখনো কক্সবাজার যাওয়া হয়নি তারা সময় পেলে ঘুরে আসবেন। আল্লাহ সৃষ্টি যে কত সুন্দর সেখানে গেলে কিছুটা অনুভূব করতে পারবেন। শুনেছি কক্সবাজারকে না কি সরকার লিজ দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করতেছে। তবে সেটা কতটা সত্য সেটা সিউর করে বলতে পারতেছি না। তাই ঐ বিষয় নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। লিজ দিলে সাধারন মানুষের জন্য সৈকত দেখা কষ্ট হয়ে যাবে। পৃথিবীতে সমুদ্র সৈকতের ব্যাপারে এমন নিয়ম আছে কি না সেটা আমার জনা নেই।
যারা কক্সবাজার ভ্রমন করতে যায় তারা সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে নিজের ব্যবহার করা পলি ও প্লাস্টিক পানিতে না ফেলা উচিত। যথা সম্ভব সৈকত কে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করা উচিত। কারন সৈকত বাংলাদেশের সম্পদ বাংলাদেশের গর্ব। বন্ধুরা আজকে বেশি কথা বললাম না। জাষ্ট ছবি গুলো সেয়ার করলাম। পরের পর্বে সুন্দর সুন্দর কিছু মাছের ছবি সেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। যারা কক্সবাজার যায় তারা ঐ মাছ গুলো না খেয়ে আসে না। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিতেছি। দেখা হবে তৃতীয় পর্বে। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ক্যামেরা | রেডমি নোট-৭ প্রো |
ধরন | কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমনের প্রথম পর্ব |
সময় | ৮.০০AM |
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে প্রতিটি মানুষের জীবনেই সমস্যা লেগেই রয়েছে। আপনি সমস্যা কাটিয়ে আবার ফিরে এসেছেন এটাই আলহামদুলিল্লাহ। আজ আপনার কক্সবাজার ভ্রমনের দ্বিতীয় পর্ব ভাগ করে নিলেন আমাদের সাথে। ছবিগুলো ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে। কলাতলি বিচ বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে, সত্যিই এরকম পরিবেশে থাকলে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।
আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
নিজ জেলার বাইরে এখনো অব্ধি যাওয়া হয়নি। আপনাদের পোস্টের মাধ্যমেই একটু যা দেখি আর জানি।
ছবিগুলো খুবই সুন্দর ছিল।যেতে ইচ্ছা করছে খুব বেশিই।কিন্তু যাওয়া এখন সম্ভব না।
আরো ভালো সময় কাটান।শুভ কামনা রইলো 🌼
আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই যে একবার কক্সবাজার যায় সে কিন্তু বারবার যেতে চায় এবং অনেকেই যায় ঠিক আমিও এ পর্যন্ত দুবার গিয়েছি আরো যাওয়ার প্ল্যান আছে ভবিষ্যতে পুরো ফ্যামিলি নিয়ে। যেহেতু পরিবার নিয়ে যাওয়া হয়নি জানিনা কবে আল্লাহ তৌফিক দিবেন তবে আপনার কাছে যেটা শুনলাম সরকার এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে লিজ দেয়ার ব্যাপারটা এটা আসলে আমাদের জন্য মোটেও সুখকর নয়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন নিজেই কক্সবাজার চলে গিয়েছি।
সত্যি বলতে কক্সবাজারের কথা বলতে গেলে সেটি শেষ করা যাবে না। কারণ রুপ বৈচিত্র্যময় কক্সবাজার এটি সবার মনের অন্তরালে বসবাস করে। বিশেষ করে আমি অনেক পছন্দ করি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও কক্সবাজার এর পুরো এরিয়া।কারণ আমি কয়েকবার সেখানে গিয়েছিলাম বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি, তবে যতই যাই ততই লোভ থেকে যায়। যাইহোক বেশ ভালো কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অনেক চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন। আমরা কিছুদিন আগে সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমরা লাবনী পয়েন্টে ছিলাম এবং সেখান মূলত চার পাঁচ দিন থেকে আবার নীলফামারী উদ্দেশ্যে ব্যাক রেছিলাম। তবে যাই হোক না কেন আমাদের সকলকেই এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সমুদ্রের পানিতে যেন প্লাস্টিক ও ময়লা ফেলা না হয়। আপনার ব্লগটি ভালো ছিলো।
আপু আমরা কত দামি একটি জিনিষ পেয়েছি অথচ আমরা তার গুরুত্ব বুঝি না। সবাই নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন। বিশেষ করে সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের অপরূপ সৌন্দর্য কাছ থেকে উপভোগ করছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দুর্দান্ত ছিলো দেখে খুব ভালো লাগলো। আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষা করলাম এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।