“কাইকারটেক” ভ্রমনের দ্বিতয় পর্ব ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর পরবর্তী সময় কেমন কাটছে আপনাদের। আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। মানুষের জীবনটা খুব ছোট। কখন যে পরপারে যাওয়ার খবর এসে পড়ে বলা যায় না। আমাদের জীবনের কোন গ্যারান্টি নেই। তাই যতক্ষন বেচে থাকি সবার সাথে মিলে মিশে আনন্দের সাথেই বাচঁতে চাই। গত পর্বে আপনাদের সাথে “কাইকারটেক” ভ্রমনের প্রথম পর্ব সেয়ার করেছিলাম। চলুন আজকে দ্বিতীয় পর্বটা শেষ করে ফেলি।

গত পর্বে আমরা হাজীগঞ্জ নৌকা ঘাটের এপার থেকে টলারে করে নদীর ওপারে যাচ্ছিলাম। মাঝ নদীতে যাওয়ার পর প্রথম পর্ব শেষ হয়ে গেছিলো। আমরা অল্প কিছুক্ষনের মাঝেই নদীর ওপারে পৌছে গেলাম। আপনারা তো দেখছেন যে একটি টলারে কত মানুষ উঠেছিল। একটি নৌকায় এক সাথে গাদাগাদি করে এত মানুষ পারাপার হওয়া একমাত্র বাংলাদেশেই সম্ভব। এপারে আসার পর সবাই হুরোহুরি করে নামলো। আমরা হাজীগঞ্জ নৌকা ঘাট থেকে উঠে নবীগঞ্জ নৌকা ঘাটে নেমে পড়লাম। আপনাদের বুঝার জন্য আমি অনেক গুলো ছবি সেয়ার করলাম।

ওপার থেকে মানুষ এপার আসতেছে আবার এপার থেকে মানুষ ও পারে যাচ্ছে। কত জমজমাট ভাবে মানুষ আসা যাওয়া করছে। প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ নদী পারাপার হয়। আমি মনে করি এখানে একটি সেতুর খুব প্রয়োজন। নদীতে পারাপার হতে গিয়ে মানুষ প্রায় সময় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। অনেক মানুষ নদীতে ডুবে মারা যাচ্ছে। সবার সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা করে একটি সেতুর উদ্দ্যেগ নেওয়া খুব জরুরী।

ওপারে গিয়ে দেখি অনেক অটো,সিএনজি,রিকসা দাড়িয়ে আছে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য। আমরা অটোতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ওপারে গিয়ে আমরা একটি অনাকাংক্ষিত ঘটনার শিকার হলাম। সেটি হলো অটো ভাড়া আগে ছিল ১০ টাকা কয়েক মাস আগে জ্বালানী তেলের দাম বাড়ার কারনে পাচঁ টাকা বাড়িয়ে পনের টাকা করা হলো। আমরা সামনের একটি অটোকে জিঙ্গাসা করলাম যে,কাইকারটেকের ভাড়া কত টাকা..? কয়েকজন ছেলে পেলে জোর দিয়ে বললো জনপ্রতি ২০ টাকা। আমার ফ্রেন্ড বললো ভাড়া তো পনের টাকা। তারা বললো এখন থেকে বিশ টাকা করে। আমরা বললাম ঠিক আছে আপনার অটোতে যাবো না।

তারপর আমরা আরেকটু সামনের দিকে গিয়ে আরেকটি অটোকে বললাম ভাইয়া কাইকারটেক যাবো ভাড়া কত সে বললো পনের টাকা। আমরা অটোতে উঠে বসলাম। সাথে সাথে পিছনের ছেলে গুলো এসে অটো ড্রাইভার কে জিঙ্গেস করলো কত টাকা করে নিয়ে যাচ্ছো ড্রাইভার বললো পনের টাকা। আর এমনি ছেলে গুলো তাকে গালা গালি শুরু করে দিলো। এত বিশ্রি গালি যে আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমি সাথে সাথে মোবাইল দেয়ে কয়েকটা ছবি তুলে রাখলাম। তারপর আবার ঐ অটো ড্রাইভার কে হুমকি দিলো যে আজকে সন্ধার পর তোর খবর আছে। আমার এ অবস্থা দেখে তার অটো থেকে নেমে পড়লাম। কারন আমরা গেলে তার ক্ষতি হতে পারে। তাই তার অটোতে গেলাম না। আমরা আরেকটু সামনে গিয়ে আরেকটি অটোতে গেলাম,পনের টাকা করে। এখন চিন্তা করেন আমরা কোথায় বসবাস করছি। বাংলাদেশের সব জায়গায় সব সেক্টরে জনগনকে জিম্মি করে জনগনের পকেট কাটতেছে। এগুলো দেখার কেউ নেই।

আমরা সেখান থেকে পাচঁ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে কাংক্ষিত কাইকারটেক পৌছে গেলাম। যেতে যেতে অবশ্য সন্ধা হয়ে গেছে। অটো থেকে নামার সাথে সাথে মাগরিবের আযান দিয়ে দিলো। বড় ভাইয়াটা নামাজ পড়তে চলে গেলো। আর আমরা অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করলাম। পরের পর্বে ফটোগ্রাফি গুলো সেয়ার করার সাথে সাথে এই জায়গাকে কেন কাইকারটেক বলা হয়, তার কারণ এবং এই জায়গার নদী সম্পর্কে আলোচনা সেয়ার করবো। আল্লাহ হাফেজ।।

দেখা হবে তৃতীয় পর্বে.......