ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার পঞ্চম পর্ব।। ( জাদুঘরের ভিতরে কি কি দেখলাম)
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। ভ্রমন করা খুব ভাল একটি অভ্যাস, যে যত বেশি ভ্রমন করে তার নলেজ তত বেশি বাড়ে। বিভিন্ন জাগায় গেলে বিভিন্ন জিনিষ দেখলে,বিভিন্ন মানুষের সাথে মিশলে অনেক বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। সুতরাং যখন সময় পাবেন ভ্রমন করবেন।
আপনারা সবাই জানেন যে আমি ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার অনুভূতি গুলো পর্ব আকারে আপনাদের নিকট প্রকাশ করতেছি। সেই ধারা অনুযায়ী আজকে পঞ্চম পর্ব শেয়ার করবো। গত পর্বে আপনাদেরকে পার্কের ভিতরের চিত্রকর্ম গুলো দেখিয়েছিলাম। আজকে আপনাদেরকে দেখাবো জাদুঘরের ভিতরে কি কি আছে।
জাদুঘরের ভিতরে অনেক পুরাতন বব্যহৃত জিনিষ পত্র রয়েছে। যে গুলো আগের দিনের রাজা বাদশারা ব্যবহার করেছে। জাদুঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে প্রাচীন কালের অনেক নিদর্শন পাওয়া যায়। আমি ইতিহাস নিয়ে পড়েছি। ইতিহাস পড়তে আমার অনেক ভাল লাগে। সে কারনে যেখানে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আছে সে জাগায় ছুটে যায় দেখার জন্য। সোনারগাঁও জাদুঘরেও অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। আপনারা ইচ্ছা করলে আসতে পারেন। অপনারা যদি আসেন তাহলে বৃহস্পতিবার ছাড়া আসবেন। কারন বৃহস্পতিবারে জাদুঘর সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে।
এখন আমি জাদুঘরের ভিতরের বিভিন্ন পুরাতন জিনিষের বিশটি ফটো শেয়ার করতেছি। অপনারা দেখলে হয়তো জিনিষ গুলো চিনতে পারবেন।
উপরে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রাচীন কালে ব্যবহৃত অনেক জিনিষ পত্র। হুক্কা,ছরি,প্লেট,জগ কোলা,পাকা সহ আরো অনেক জিনিষ। সব গুলোর নামও আমি জানি না। যে গুলোর নাম জানি সে গুলো লিখলাম।
এখানে দেখা যাচ্ছে ডেগছি,চালুন, চামচ, কড়াই, গয়না,রানদা, যুদ্ধের সরঞ্জাম সহ আরো আনেক কিছু। সব গুলো জিনিষ পিতলের তৈরী।
এখানে সব গুলোই গয়নাগাটি। অনেক পুরাতন। সংরক্ষন করে রাখ হয়েছে তাই এখনো এগুলোর অস্তিত্ব বাকি আছে। যদি মানুষের হাতের স্পর্শ লাগতো তাহলে এত দিনে নষ্ট হয়ে যেত।
এখানে ঢোল,গয়না আর কলস রয়েছে। আরেকটি জিনিষ আছে সেটা হলো পালকি। আমি ছবিতে বা বিডিও ছাড়া স্বচোখ দিয়ে কখনো পালকি দেখি নাই। ঐদিনই প্রথম দেখেছিলাম। ছোট সময় বাংলা মুভিতে পালকি দেখেছিলাম।
বন্ধুরা আজকে জাদুঘরের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলার ছবি গুলো শেয়ার করেছি। পরের পর্বে তৃতীয় তলার ছবি শেয়ার করবো। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
আবার দেখা হবে ষষ্ট পর্বে....
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
স্থান | সোনারগাঁও জাদুঘর,নারায়গঞ্জ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। আসলে কোথাও বেড়াতে গেলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আর যদি এরকম একটি সুন্দর জায়গায় যাওয়া হয় তাহলে তো আনন্দ আরও বেড়ে যায়। পুরনো দিনের সেই জিনিসপত্রগুলো এবং গয়না গুলো দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। আসলে পুরনো জিনিসগুলো দেখলে আলাদা রকমের ভালোলাগা কাজ করে।
জী আপু পুরনো দিনের যে কোন জিনিষ খুব ভাল লাগে। ধন্যবাদ আপু।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
সোঁনারগাও যাদুঘর ভ্রমণ দেখে অনেক ভালো লাগল।আসলে ভ্রমণ করলে অনেক অভিজ্ঞতা হয়। আপনার যাদুঘরের ভিতরের ছবি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগল। সত্যি ভাইয়া কাশার জিনিস পত্র গুলো এখন আর দেখা যায় না বলেই চলে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা থাকলাম।
জী আপু ভ্রমন করলে অনেক অভিজ্ঞতা হয়। ধন্যবাদ আপু।
ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে গিয়ে আমাদের জন্য চমৎকার ছবি তুলে এনেছেন । জায়গাটা পুরনো ঐতিহ্যে ঠাসা দেখছি। পুরনো দিনের অলংকার এবং তৈজসপত্র দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। পুরনো এই জিনিসগুলো ভীষণ মূল্যবান তাদের কাছে যারা ঐতিহ্য বোঝে।
পোস্টের কিছু জায়গায় বানানের ভুল ছিল যদিও তবুও পোস্টটি ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ ভাই।
জী ভাইয়া জায়গাটা সত্যিই পুরনো ঐতিহ্যে ঠাসা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সোনারগাঁও বনভোজনে গিয়ে ইশা খানের আমলে ব্যবহার করা কিছু আসবাবপত্রের ছবি তুলে ধরেছেন। তবে মজার বিষয় হচ্ছে আপনার মাধ্যমে আমি এই বিষয়গুলো আজকে প্রথম দেখলাম যদিও বইয়ের পাতায় ছবি দেখেছি তবে সেটা এতটা ক্লিয়ার নয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া বিষয়গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আরো কিছু ছবি আছে। শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।