আমার বন্ধুর বিনা নিমন্ত্রণে বিয়ে বাড়িতে খাওয়ার নিন্জা টেকনিক।।
আজ শনিবার , ৫ই ফাল্গুন-১৪২৯
আসসালামুআলাইকু/ নমস্কার/ আদাব।
আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি মজার একটি পোষ্ট নিয়ে।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার অসীম দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আপনাদের সাথে মজার একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। পোষ্টের টাইটেল দেখে আপনারা আবার আমাকে সন্দেহ করবেন না। আমি আমার এক কাছের বন্ধুর গল্প শেয়ার করতেছি।
অনেক দিন যাবৎ ঢাকা থাকার সুবাদে এলাকার ছেলে পেলেদের মধ্যে কয়েক জনের সাথে আমার বেশ বন্ধুত্ব তৈরী হয়। তারা নিজেরা যে কোন পার্টি করলে আমাকে তাদের দলের সদস্য হিসাবে সাথে রাখে। আমিও তাদের সাথে যখন তখন বসে আড্ডা দেয়,সময় কাটায়,ঘুরতে যায়। তাদের যে কোন দুষ্টামিতে আমি শামিল থাকি। তবে তাদের একটি দুষ্টামিতে আমি সঙ্গ দেয় নােই। এই বিষয়টাতে আমি তাদের সাপোর্টও করি না। আমি বলি তোমাদের মন চাইলে তোমরা যেতে পারো এই বিষয়ে আমি তোমাদের সাথে এক মত না। আমার সাথে আরো কয়েকজন এক মত হলেও মোটকা নাদিম আর সিফাতকে ফেরানো যেত না। মোটকা নাদিমেরই বিনা নিমন্ত্রণে বিয়ে বাড়িতে খাওয়ার কিছু নিন্জা টেকনিক আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি। সে একটু মোটা তাই তাকে আমরা সবাই মোটকা নাদিম বলে ডাকি।
নাদিমের সব থেকে বেশি লোভ হলো খাবার দাবাড়। ভালো খাবার পেলে সে যে কোন কাজ করতে রাজি,আবার যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতেও রাজি। সারাদিন খাওয়ার ধান্দায় থাকে। খেয়ে খেয়ে অনেক মোটা হয়ে গেছে। তারপরও সে খাবার দেখলে আর নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে পারে না। নবম দশন শ্রেণীতে থাকার সময় থেকেই সে বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টার বা বিয়ের অনুষ্ঠানে বিনা নিমন্ত্রনে খাবার খেত। বিনা নিমন্ত্রনে মজার মজার খাবার খেতে খেতে তার লোভটা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিলো।
গত কাল জুম্মার নামাজ শেষ করে নাদিম সহ কয়েকজন বন্ধু একত্রিত হয়ে কথা বলতেছিলাম। এমন সময় আমি জিঙ্গেস করলাম ভাইয়া আজকে কোথাও খাওয়ার প্রোগ্রাম আছে না কি। সে বললো না ভাই শরীর টা বেশি ভাল না। তাই অনেক দিন যাবৎ ভাল মন্দ খাওয়া হয় না। আমি তাকে বলি ভাই তোমার কি বিনা নিমন্ত্রনে খাবার খেতে ভয় লাগে না। তিনি জানায় প্রথম প্রথম ভয় লাগতো। পরে ধীরে ধীরে সেই ভয় কেটে গেছে। তবে বিনা নিমন্ত্রনে খাবার খাওয়ার জন্য কয়েকটা নিয়ম ফলো করতে হয়। তাহলে আর ধরা পরার চান্স থাকে না। আমি বললাম সেই নিয়ম গুলো কি কি ভাই, যদি একটু বলতেন তাহলে আমিও ট্রাই করে দেখতাম,হি হি হি। সে বললো তুমি যেই লজ্জা পাও মামা আমি ১০০% সিউর তুমি ধরা পরে যাবা। আমি বললাম সেটা আমি নিজেও জানি। তাই কখনো এই বিষয়ে চিন্তাও করি না। আচ্ছা যাক নিয়ম গুলো বলো। নাদিম বললো আমি সাধারনত শুক্রবারেই খেতে যায়। কারন আমাদের দেশে শুক্রবারেই বেশি বিয়ে থাকে।
০১/ একই কমিউনিটি সেন্টারে টানা চার শুক্রবারের মধ্যে এক শুক্রবারের বেশী তথা মাসে এক বারের বেশি যাওয়া যাবে না।
০২/ একই কমিউনিটি সেন্টারে মাসে একবার গেলেও গত মাসে যে টেবিলে বসে খাওয়া হয়েছে সেই একই টেবিলে পুনরায় বসা যাবে না।
০৩/ বিয়ে বাড়িতে বা কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকার সময় এমন একটি ভাব নিয়ে ঢুকতে হবে যেন কেউ দেখলে বুঝে যে সে বরের আপন ভাই বা কাজিন এমন কেউ হবে।
০৪/ সব থেকে গুরুত্ব পূর্ণ যে পয়েন্ট সেটা হলো কখনো পাত্রপক্ষ আসার আগে বিয়ে বাড়িতে বা কমিউনিটি সেন্টারে ঢুকা যাবে না।
০৫/ বিয়ে বাড়িতে বা কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে সবার আগে যেখানে খালি টেবিল থাকবে সেখানেই বসে যেতে হবে। কোন দিকে তাকানো যাবে না।
০৬/ খাওয়ার সময় কারো সাথে তেমন কথা বলা যাবে না।
০৭/ টেবিলে যে খাবার থাকবে সে খাবারই খেতে হবে, খাবারের টেষ্ট নিয়ে কোন মন্তব্য বা গন্ডগোল করা যাবে না।
০৮/ খাবার খেয়ে হাসিঁ মুখে বের হয়ে আসতে হবে।
মনযোগ দিয়ে পড়বেন। কম করে হাসঁবেন। এত গুলো নিয়ম ফলো করার পরেও একদিন একটি ভুলের কারনে নাদিম ধরা পড়ে গিয়েছিল। কোন ভুলটির কারনে নাদিম বিনা নিমন্ত্রনে বিয়ে বাড়িতে খাবার খেতে গিয়ে ধরা পরেছিল সেটা যদি জানেতে চান তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।
কেমন হলো আজকের পোষ্টি অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোষ্ট নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভালোই লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে বিয়ে বাড়িতে বিনা নিমন্ত্রণে খাওয়ার লিনজা টেকনিক গুলা।।
আপনার মত আমারও এমন কয়েকটা বন্ধু আছে যারা শহরের যে কোন কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে আবেদন দেখলেই খেতে চলে যায় ভয়ও করেনা তাদের।।
আমারও অবশ্য একদিন যাওয়ার ইচ্ছা আছে বিনা নিমন্ত্রণে কোন কমিউনিটি সেন্টারে কোন আয়োজনে খাবার।।
যাহোক খাবারদাবার বলে কথা ভালো খাবার দেখলে কন্ট্রোলে রাখা মুশকিল।।
তবে আমি যেদিন বিনা নিমন্ত্রণে খাবো সেদিন অবশ্যই আপনাদেরকে একটা পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিব।।
ভাইয়া কখনো গেলে নিন্জা টেকনিক গুলো ফলো করবেন,হি হি হি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোস্টটি পড়ে ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমরাও বন্ধুরা মিলে বিন বুলায় মেহমানের মত বিনা নিয়ন্ত্রণে অনেক দাওয়াত খেয়েছি। আসলে এভাবে দাওয়াত খাওয়াটা ঠিক নয় তবে নিমন্ত্রণ ছাড়া বন্ধুরা মিলে খাওয়ার মজাটাই অন্য জায়গায়। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার বেশ ভালো লাগলো।
আপনিও তাহলে এই কাজ করেছেন,কখনো কি ধরা পরেছেন..? হি হি হি।
আজকাল দেখছি ভাই বিনা নিমন্ত্রণে খাবার খেতে শুরু করেছেন। তবে একটা কথা ঠিকই বলেছেন আমাদের দেশে এই বিষয়টি বেশি দেখা যায় যেকোন বিয়ে শুক্রবারের দিনে বেশি হয়ে থাকে। তবে আপনি এখানে যে আটটি বিষয় তুলে ধরেছেন পড়ে খুব হাসি লাগলো। এ ধরনের নিয়ম মাফিক মেনে তো কখনো খানা খাওয়া হয়নি ভাই। যদি কখনো বিনা নিমন্ত্রনে খাবার খেতে যায় তাহলে আপনার নিয়ম গুলো ফলো করব হাহাহা। অনেক ভালো লেগেছে ভাই আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমি কখনো যায়নি। ভুলেও এসব চিন্তা করি না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে
সম্ভবত আপনার বন্ধুর ক্ষেত্রে তেমনটা হতে পারে।যাইহোক,আপনার গল্পটা পড়ে শৈশবের কথা মনে পরে গেল ভাই। আসলে শৈশবে বন্ধুদের সাথে দুষ্টমির ছলে যে কতই কিছু করা হতো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর করে গল্পটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন,একদিন আমার এক বন্ধু ধরা পড়েছিলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিনা নিমন্ত্রণে খাওয়ার নিঞ্জা টেকনিক পড় হাসতে হাসতে আমি শেষ এই কারনে যে আমি নিমন্ত্রণ পেয়ে খেতে গিয়েও এমন ভাব করি মনে হয় আমি চুরি করে খেতে এসেছি একটাই লজ্জা পাই। 😅😅আর বিনা নিমন্ত্রণে খেতে গিয়ে ধরা তো পড়বোই আর সাথে গণধোলাইও খেতে হবে।বিনা নিমন্ত্রণে খেতে গিয়ে নাদিম ধরার পড়ার গল্প জানতে খুবই আগ্রহী আশাকরি পরবর্তী সময়ে জানতে পারবো।মজার পোস্ট টি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু নাদিম ধরা পড়ে এক্সপার্ট হয়ে গেছে। পরে একদিন সেই ঘটনাটা শেয়ার করবো। ধন্যবাদ আপু।
আপনার পোস্টটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার নিনজা টেকনিক গুলো পরে আমি হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেছে। তবে আমি মনে করি এভাবে বিনা দাওয়াতে দাওয়াত খাওয়া ঠিক না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু চোরে না শুনে ধর্মের কথা। তাকে বুঝালেও সে বুঝে না। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনি যেকিছু টিপস শেয়ার করলেন বিনা নিমন্ত্রনে বিয়ে বাড়িতে যেয়ে খেয়ে আসা। তবে খাবার দাবারে মোটকা নাদিম ভাই কিংবা আপনার পক্ষে সম্ভব কিন্তু আমরা মেয়েদের পক্ষে সম্ভব না। উনি যে টিপস গুলো শেয়ার করেছেন আসলে মন্দ না উনি খুব ভালো করে বুঝে শুনে টিপস গুলো দিয়েছেন। তবে ট্রাই করে কতটুকু সফল হয়েছেন সে বিষয়ে একটু অবগত করলে ভালো লাগবে হি হি হি।
জী আপু টিপস গুলো তার অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করেছে। ধন্যবাদ আপু।
বিনা নিমন্ত্রণে বিয়ে বাড়ির দাওয়াত খাওয়া, দারুণ মজার বিষয়।মোটা মানুষের খাওয়ার প্রতি একটু বেশি লোভ থাকে,সবাই নয় তাই বলে।বাহ,দারুন বুদ্ধি আপনার বন্ধুর।কিন্তু ধরা কিভাবে খেল?যখন দুইপক্ষের কেউ চিনতে পারবে না, হি হি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু ধরা পড়ার কাহিনীটা পরে একদিন শেয়ার করবো। ধন্যবাদ আপু।