আম কুড়াতে গিয়ে কুকুরের দৌড়ানি 10% beneficary for @shyfox ❤️
কেমন আছেন সবাই। আশা করি খুব সুন্দর ভাবেই সময় গুলো অতিবাহিত করতেছেন। সময় কিভাবে চলে যায় বুঝায় যায়না। কিভাবে মাসের পর মাস বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে বুঝাই যাচ্ছে না। সময় তার নিজ গতিতে চলে যাচ্ছে। প্রবাদ আছে “সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না”। কেউ কেউ সময়কে কাজে লাগাচ্ছে,আবার কেউ কেউ অবহেলায় সময়কে নষ্ট করছে। সময় নষ্ট না করে চলোন একটি পোষ্ট সেয়ার করা যাক।
সবার জীবনেই কিছু কিছু মধুর সৃতি থাকে। সেটা অনেক ধরনের হতে পারে যেমন,মাছ ধরার,স্কুল পালানো,কোথাও ঘুরতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া,কুকুরের দৌড়ানো খাওয়া ইত্যাদি আরো অনেক কিছু হতে পারে। আমার বাংলা ব্লগে জয়েন হওয়ার পর থেকে অনেক কিছু দেখেছি, অনেক কিছু জেনেছি। অনেকের জীবনের মধুর স্মৃতি পড়েছি। তাদের জীবনের স্মৃতি পড়ে আমার অনেক ভাল লেগেছে। স্টিমিটের মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগে আসার কারনে সবাই এখানে নিজের জীবনের মধুময় স্মৃতি গুলো সেয়ার করার সুযোগ পাচ্ছে. আর আমারাও পড়ে মজা পাচ্ছি। খুবই ভাল লাগে জীবনের কাহিনী গুলো পড়তে। একেক জনের জীবনের স্মৃতি দিয়ে কয়েক ডজন ইতিহাসের বই লেখা যাবে। যায়হোক চলোন মূল কথা শুরু করি।
আাজকে আমার জীবনের একটি স্মৃতিময় মূর্হত আপনাদের সাথে সেয়ার করতে যাচ্ছি। খুবই মজার একটি স্মৃতি। আর সেটা হলো আম কুড়াতে গিয়ে কুকুরের দৌড়ানি খাওয়া স্মৃতি।
আমি তখন অনেক ছোট,সম্ভবত ২০০৫ বা ২০০৬ এর দিকে হবে। আপনারা সবাই জানেন যে গ্রামে প্রত্যেকের বাড়িতে অনেক ধরনের ফলের গাছ আছে। যেমন আম,জাম,নারিকেল, কুল বা বরই,তাল,বেল এছাড়াও আরো অনেক ধরনের ফলের গাছ আছে। আমাদের বাড়িতে নারিকেল গাছ আর বরই গাছ আছে কিন্তুু আম গাছ নেই। আমের দিনে গ্রামে জড় তুফান আসলে সবাই আম গাছের নিচে জমায়েত হতো। বাতাসে আম নিচে পড়তো আর যে যেভাবে পারতো আম কুড়াতো। প্রতিযোগিতার মত।
আমি ছোট সময় অনেক আম কুড়িয়েছি। আম কুড়ানো নিয়ে অনেক স্মৃতি রয়েছে। সে গুলো পরে সেয়ার করা যাবে। আমি এবং আমার দুইজন বন্ধু ছিল। এক জনের নাম সুমন,অন্য জনের নাম সফিউল্লাহ। আমারা তিন জন মিলে একদিন দিনের বেলা আম কুড়াতে গিয়েছিলাম। যে বাড়িতে আম কুড়াতে গেছি সেই বাড়ির রাস্তা দিয়ে আমি কখনো একা যেতাম না,কারন তাদের বাড়িতে কয়েকটা কুকুর আছে। যে কেউ রাস্তা দিয়ে গেলেই কুকুর গুলো গেউ গেউ করে উঠে। আমার দেখা মতে পৃথিবীতে আমি দুইটি প্রাণীকে বেশি ভয় পায় একটি হলো সাপ,আরেকটি হলো কুকুর।
আমি আর সুমন বললাম যে আমরা ঐ বাড়িতে আম কুড়াতে যাবো না,কারন ঐ বাড়িতে কুকুর আছে। আমরা বরং অন্য কোথাও যায়। কিন্তুু সফিউল্লাহ ঐ বাড়িতেই যাবে,কারন ঐ বাড়িতে গেলে আম পাওয়া যাবে ১০০% সিউর। সফিউল্লাহর কথা অবশ্য ঠিক আছে। কারন “কথায় আছে কষ্ট না করলে কেষ্ট মিলে না”। কুকুরের ভয়কে জয় করতে পারলেই আম পাওয়া যাবে। যে বাড়িতে কুকুর নেই সে বাড়িতে অবশ্য আমও পাওয়া যায় না।
আমরা দুইজন যেতে চাইছিলাম না,কিন্তুু সফিউল্লাহর কারনে যেতে হচ্ছে। আমি আর সুমন এক পা আগালে দুই পা পিছিয়ে যায়। অনেক ভয় নিয়ে কাপতে কাপতে আমরা ঐ বাড়ির আম গাছের নিচে গেলাম। ঐ বাড়িতে বিশাল বড় একটি আম গাছ আছে,আম গাছটির বয়স হয়তো ৫০ থেকে ৬০ বছর হবে। আম গুলো অনেক বড় বড়,খেতেও অনেক মিষ্টি।
আম গাছের নিচে যাওয়ার পর দেখলাম দুটি কুকুর আম গাছ থেকে একটু দুরে একটি ডালিম গাছের নিচে শুয়ে আছে। তারা কেউ কুকুর গুলোর দিকে লক্ষ না করলেও আমি ঠিকই লক্ষ করেছি। কারন আমার ভিতরে তো ভয় কাজ করতেছে। সফিউল্লাহ সবার আগে আগে থাকে,যার ফলে সে তিনচারটি আম পেল,আর সুমনও পেল কয়েকটা কিন্তুু আমি সবার পিছনে থাকায় আমি কোন আম পেলাম না। আমি হঠাৎ লক্ষ করলাম কুকুর গুলোর পাশে মোটামুটি বড় সাইজের একটি আম পড়ে আছে। আমি তাদের দুইজনকেই আমটি দেখালাম।
আমারা তিনজনের মধ্যে কেউ সেই আমটি আনতে যেতে চাইছে না। কারন সবাই জানে আমটি আনতে গেলেই কুকুর গুলো দৌড়ানি দিবে। আমি আর সুমন বললাম চলো আমরা চলে যায়,এই আমিটি আমাদের ভাগ্যে নেই। কিন্তুু সফিউল্লাহ না’ছুর বান্ধা সে আমটি না নিয়ে যাবে না। কুকুর গুলো আমাদের দেখেছে কিন্তুু আজকে কোন আওয়াজ করে নাই,হয়তো অপেক্ষায় আছে যে আমার কাছে তো তোমাদের আসতেই হবে। তখন মজা দেখাবো।
সফিউল্লাহ অনেক সাহস নিয়ে ধীরে ধীরে আমটির কাছে যেতে লাগলো। সফিউল্লাহ যায় আমের কাছে আর আমি যায় বাড়ির গেইটের দিকে,কারন আমি জানি কুকুর গুলো আমাদের দৌড়ানি দিবেই। সফিউল্লাহ যেই আমটিকে স্পর্শ করেছে অমনি কুকুর গুলো সর্ব শক্তি নিয়ে আমাদেরকে দৌড়ানি দিলো। আমি যদিও আগে গেইটের কাছে চলে এসেছিলাম তারপরও কুকুরের দৌড়ানি খেয়ে পুকুরে ঝাপ দিয়ে সেবারের মত রক্ষা পেয়েছিলাম। এর পর থেকে ভুলেও আমি সেই বাড়ির রাস্তা মাড়াতে যায় নি।
কুকুর হতে সাবধান এমন টি লিখা দেখলেই আমার ভয় লাগে ।আর আপনাদের অনেক সাহস কুকুর দেখে ও আম চুরি করতে গেছেন ,ভাগ্যিস পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছেন নাহলে বুঝতেন ।সুন্দর স্মৃতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
আপু সব হয়ছে ঐ সফিউল্লাহর জন্য হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া একদম ঠিক বলেছেন সবার জীবনেই কিছু কিছু মধুর সৃতি থাকে। আপনার দেখা মতে পৃথিবীতে আপনি দুইটি প্রাণীকে বেশি ভয় পান একটি হলো সাপ,আরেকটি হলো কুকুর।
দারুন মজা পেলাম যখন
সফিউল্লাহ অনেক সাহস নিয়ে ধীরে ধীরে আমটির কাছে যেতে লাগলো। সফিউল্লাহ যায় আমের কাছে, আর আপনি যান বাড়ির গেইটের দিকে,কারন আপনি জানতেন কুকুর গুলো দৌড়ানি দিবেই। সফিউল্লাহ যেই আমটিকে স্পর্শ করেছে, অমনি কুকুর গুলো সর্ব শক্তি নিয়ে আপনাদেরকে দৌড়ানি দিলো। আপনি যদিও আগে গেইটের কাছে চলে এসেছিলেনন,, তারপরও কুকুরের দৌড়ানি খেয়ে পুকুরে ঝাপ দিয়ে সেবারের মত রক্ষা পেয়েছিলেন।। হা হা হা,,,বেশ মজা পেলাম।♥♥
জী আপু অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম। ধন্যবাদ আপু।
সব দলেই শফিউল্লাহ ভাইয়ের মত কিছু পাকনা বন্ধু থাকবেই, যার জন্য বাকি গুলো বিপদে পড়বে।আমি ভাই নিজের বাড়িতে ঢোকার সময় দৌড়ানি খেয়েছিলাম।তবে এটাই লাস্টবার ছিল।এরপর কুকুর আমার দিকে তেড়ে আসলে আমি না দৌড়ে অপেক্ষা করি।তখন ওরা কাছাকাছি এসে থেমে যায়।ধন্যবাদ ভাই আপনার অতীতের স্মৃতি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া ঐদিন দৌড়ে পানিতে ঝাপ দিয়ে বেচে গেছিলাম। আপনার বুদ্ধিটা ঠিক আছে দাড়িয়ে গেলে কুকুর গুলো ও দাড়িয়ে যায় । ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই ব্লগে আসার পর থেকে বিভিন্ন জিনিস শিখছি এবং দেখছি। অনেকের অনেক মধুর স্মৃতি পড়ার সৌভাগ্য হচ্ছে।
ওই বাড়িতে কুকুর থাকার পরও আমের লোভে পড়ে আপনারা ঠিকই ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। আপনার বন্ধু শফিউল্লাহ বড় আমটির লোভ সামলাতে না পেরেই এই কুকুরের দৌড়ানি খেতে হল। যাইহোক পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে সেবারের মতো রক্ষা পেয়ে গিয়েছিলেন। ভালো লাগলো আপনার ছোটবেলার স্মৃতি পড়ে। আমারও আম কুড়ানোর অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
জি আপু সফিউল্লাহ জন্য পুকুরে ঝাপ দিতে হলো হা হা হা ধন্যবাদ আপু।
আপনার সাথে আমি একমত ভাইয়া। কারণ ছোটবেলায় আমাদের কিছু স্মৃতি আছে যেগুলো কখনো ভোলা যায় না। সেই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো নিয়েই আমাদের অনেক সময় মন খারাপ হয়ে থাকে। কারণ ছোটবেলাটা আমাদের অনেক মধুর ছিল।
আর আপনি আপনার সেই কালটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
জী ভাইয়া সেই স্মৃতি গুলো ভুলা যায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই ঠিক বলেছেন ভাই আমাদের জীবনে সবারই কিছু না কিছু মজার ঘটনা রয়েছে। তবে কুকুরকে আমি এমনিতেও বেশ ভয় পাই। আপনাদের তিন বন্ধুর মধ্যে দেখতে পেলাম আপনি একটু বেশি ভয় পেয়েছেন। যদিও শফিউল্লাহ একটু বেশি সাহস দেখাতে গিয়েছিল। আপনি একটু ভয় পেয়েছেন এজন্য একটা আম ও কুড়াতে পারেননি। কিন্তু সবশেষে কুকুরে দৌড়ানি খেয়ে একদম পানিতে পড়ে গেলেন অনেক হাস্যকর ব্যাপার। ঘটনাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
প্রতিটা মানুষের জীবনেই স্মৃতি বিজড়িত অনেক গল্প লুকিয়ে আছে। যেগুলো মনে পড়লে আবার সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। ঝড়ের দিনে আম কুড়াতে মজাই আলাদা ছোটবেলায় এই অনুভূতিটা অনেকবার পেয়েছি। অনেক আম কুড়াতে সত্যিই অনেক মজার বিষয় ঝড়ের সময় আম কুড়িয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হতো। গ্রামে যেসব বাড়িতে কুকুর থাকতো তারা বাড়ির সিকিউরিটি হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। সেই সকল কুকুরের কারণে বাড়িতে ঢুকায় যেতে না অপরিচিত লোককে দেখলেই দৌড়ানি দেবে। ঠিক আপনার সাথেও তাই হয়েছে চোরের মন পুলিশ পুলিশ।
জনি ভাইয়া আম কুড়ানোর অতি মধুর স্মৃতির কথা গুলো দারুন ভাবে উপস্থাপন করছেন আপনি। আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। তবে শেষ পর্যন্ত হেঁসেই দিলাম, কুকুরের দৌড়ানি খেয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয়ার কথাগুলো পড়ে।