ঢাকা যাত্রাবাড়ী পার্ক পরিদর্শন।।
বাংলা ভাষাভাষীর মিলন মেলা-
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ঢাকা যাত্রাবাড়ী পার্ক পরিদর্শনের অনুভূতি শেয়ার করবো।
বন্ধুরা আপনারা অনেকেই জানেন যে আমি প্রতি শুক্রবারে যাত্রাবাড়ীতে ডিএমএস এর কোচিং করতে যায়। তবে আজকে সকালে কোচিং সেন্টারে উপস্থিত হয়ে জানতে পারলাম যে, আজকে আমাদের কোচিং সেন্টারের গত ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। ইফতার পার্টির মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ করা হবে। যার ফলে আজকে কোচিং সেন্টারে কোন ক্লাস হবে না। আমি সেন্টারে উপস্থিত হওয়ার পরে চেয়ারম্যান স্যার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল আমি গত ক্লাসে উপস্থিত ছিলাম কি না। তখন আমি মাথা নেড়ে না বলেছিলাম। কারণ গত সপ্তাহে আমাদের অফিস খোলা ছিল।
প্রতি ঈদের সময় আমাদের অফিস থেকে সরকারি ছুটির সাথে সমন্বয় সাপেক্ষে অতিরিক্ত ৩-৪ দিন ছুটি বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। সামনের রমজানের ঈদেও সমন্বয় সাপেক্ষে সরকারি ছুটির সাথে দুই দিন ছুটি অতিরিক্ত দেওয়া হবে। আর একদিন ছুটি পহেলা বৈশাখ হওয়ার কারণে সমন্বয় করার দরকার নেই। কারণ পহেলা বৈশাখের ছুটি সরকারি ভাবেই আমরা পেয়ে থাকি। গত সপ্তাহে সমন্বয় সাপেক্ষে আমাদের অফিস খোলা থাকার কারণে আমি কোচিং এ যেতে পারি নাই। আর আজকেও যাওয়ার আগে কাউকে ফোন করে খোঁজখবর না নিয়েই চলে গেছিলাম। যার ফলে কষ্ট করে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।
আমার সাথে আমার এক কলিগ ও গিয়েছিল। দুজনেই কোন ক্লাস না করে ফিরে আসতে হয়েছে। যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার মধ্যে আসার পরে আমার কলিগ আমাকে বলল যে এইমাত্র জার্নি করে এসেছি, পার্কে বসে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে তারপরে বাসায় যাবো। আমি বললাম যাত্রাবাড়ীতে আবার পার্ক আছে নাকি। সে বলল ছোট্ট একটি পার্ক আছে সুন্দর পরি পার্টি করে সাজানো গোছানো । আমি বললাম ঠিক আছে তাহলে চলো সেখানে গিয়ে একটু বসে রেস্ট নিয়ে তারপরে বাড়ি যাই।
তারপর আমরা যাত্রাবাড়ী পার্কে গেলাম। পার্কটি গুলিস্তান থেকে ডেমরার দিকে যে ফ্লাইওভার গিয়েছে, তার বাম পাশে অবস্থিত। ওই রাস্তা দিয়ে ঢাকা থেকে ডেমরার দিকে যাওয়ার পথে হাতের বাম পাশে দেখা যায়। পার্কটি আয়তনে খুবই ছোট। পার্কের মাঝখানে বিশাল বড় একটি ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে। সেই টাওয়ারের চারপাশে বিভিন্ন জেলার নাম রয়েছে। সম্ভবত ৬৪ জেলার নাম ওয়াচ টাওয়ার এর মধ্যে লেখা রয়েছে। আপনারা উপরের দুইটি ফটোগ্রাফি ভালো করে লক্ষ্য করলে নিজ নিজ জেলার নামগুলো দেখতে পারবেন।
এই পার্কটি ছোট হলেও চারপাশে অনেক সুন্দর ভাবে ফুল গাছ দিয়ে সাজানো রয়েছে। সম্পূর্ণ পার্কের মধ্যে দামি দামি টাইলস বসানো আছে। পার্কের চারপাশেই বসার জন্য খুব সুন্দর জায়গা করা হয়েছে। এই পার্কটিতে প্রবেশ করতে কোন ধরনের ফ্রি দিতে হয় না। পার্কটি জনসাধারণের জন্য সব সময় খোলা রয়েছে। সব ধরনের মানুষ যেকোনো সময় এখানে প্রবেশ করে সময় কাটাতে পারে। যদি রমজান মাস না হতো তাহলে এখানে বসে আমি চা কফি কিছু একটা খেয়ে আসতাম। আমার কাছে পার্কটি অনেক ভালো লেগেছে।
আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করলাম যে এই ছোট্ট পার্কটি ঘিরে অনেক ছোট-বড় দোকান সাজানো হচ্ছে। হয়তো ঈদ উপলক্ষে এই পার্কের মধ্যে মেলা বসবে। তাছাড়া পার্কের এক পাশে বিভিন্ন ধরনের ফল বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা বাঙালি মানুষ, কোন কিছু সুন্দর করে রাখতে জানি না। সরকার জনগণের কথা মাথায় রেখে এই পার্কটি নির্মাণ করে দিয়েছে। এখন সেটা যথাযথ ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব আমাদের। আমরা যদি এটাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করি তাহলে সেটা আমাদের জন্যই ভালো। আর যদি আমরা এটার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনা ফেলে নষ্ট করে ফেলি তাহলে আমাদেরই ক্ষতি হবে। এই পার্কটিতে নতুনভাবে অনেক কাজ করা হয়েছে। আপনারা ইচ্ছা করলে সেই পার্কটিতে ঘুরে আসতে পারেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | ঢাকা যাত্রাবাড়ী পার্ক পরিদর্শন।। |
স্থান | যাত্রাবাড়ী, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৯/০৩ /২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এরকম ঘটনা আমার সাথে অনেকবার হয়েছিল স্কুলে পড়াকালীন সময়ে । তখন প্রাইভেট পড়তাম হঠাৎ একদিন স্কুলে যায়নি সেদিন সার প্রাইভেট পড়াবে না । সেটা আমি জানি না কিন্তু আমি উপস্থিত যেমনটা আপনার সাথে হয়েছে। যাইহোক, যাত্রাবাড়ি পার্কে যে সময়টুকু কাটিয়েছিলেন সত্যি এরকম মুহূর্ত গুলো মাঝে মাঝে কাটাতে ভালোই লাগে। সবমিলিয়ে আপনার আজকের পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম।
জী ভাইয়া খোঁজখবর নিয়ে গেলে আর এমন হতো না। ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর পোস্টের মাধ্যমে পার্কের বিবরণ এবং পার্কের ছবি দেখে মনে হচ্ছে। এই পার্কে ঘুরতে গেলে মন অনেক ভালো হয়ে যাবে ।এত সুন্দর একটি পার্কের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করে আমাদেরকে পার্কটি সম্পর্কে ধারনা অর্জন করার জন্য সহযোগিতা করায় অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী আপু পার্কটি ছোট হলেও অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ।
শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া পার্কটিতে কোন ধরনের ফ্রি দিতে হয় না।আর পার্কটি সব সময় খোলা থাকে । আসলেই পার্ক এবং পার্কের পরিবেশ অনেক সুন্দর ।ধন্যবাদ ভাইয়া পার্ক পরিদর্শনের কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু পার্কটি সর্বসাধারনের জন্য সবসময় খুলা রয়েছে। ধন্যবাদ।