ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং অর্থ “পাতা” 10% beneficary for @shyfox ❤️
হ্যালো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি। গত কালকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চল সহ বেশ কয়েকটি জেলা লন্ড ভন্ড করে দিয়ে গিছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর অবস্থান সঠিক ভাবে বলতে পারতেছি না। তবে এটা বলা যায় যে বাংলাদেশ ভারতের সীমানার বাহিরে চলে গেছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারনে রাস্থা ঘাটের পানি ঘরবাড়ি সহ দোকানের ভিতরেও প্রবেশ করেছিল। সকালে অফিসে আসার সময় দেখলাম যে দোকানের মালিকরা সব মালামাল বাহির করে পরিষ্কার করতেছে। চলুন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি।
গতকালকে বাংলাদেশর ১৫টি জেলায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর নাম নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন জন্ম দিয়ে গেছে। উদাহরন দেওয়ার জন্য বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই। আমার ঘরের মানুষ গতকাল রাতে অন্ধকারে বসে বসে আমাকে পশ্ন করছিল যে এই ঘূর্ণিঝড়কে সিত্রাং নামে কেন নামকরণ করা হলো। আর কে বা কারা এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে। আমি তখন প্রতি উত্তরে বলেছিলাম যে এখন কিছু বলতে পারবো না। পরে জেনে তারপর জানাবো।
তারপর শুরু হয়ে গেল ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে আমার গবেষনা। সাধারণত সমুদ্রে সৃষ্ট কোনো ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টা ৩৯ মাইলের বেশি হলেই সেই ঝড়টিকে একটি নাম দেওয়া হয়। আবার ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ মাইল ছাড়িয়ে গেলে তাকে হারিকেন, সাইক্লোন বা টাইফুন হিসাবে নামকরন করা হয়।
“আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায় যে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীনে ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের নামকরণের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও সেই কমিটিতে রয়েছে আরও ১২টি দেশ। সেগুলো হলো মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, সৌদি আরব ও ইয়েমেন।”
“এই ১৩টি দেশের আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ নামের ক্রম অনুযায়ী এবার ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে “সিত্রাং”। “সিত্রাং” নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। ভিয়েতনামিজ ভাষায় “সিত্রাং অর্থ “পাতা”।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারনে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সারা বাংলাদেশেই ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টি হয়। ভোলার চরফ্যাশনে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূলের ১৫টি জেলায় সর্বউচ্চ বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৮৮ থেকে ১০৫ ছিল। যার কারনে জলোচ্ছ্বাসের গতি ৫ থেকে ৯ ফুট উচ্চতা নিয়ে আছড়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারনে সারা বাংলাদেশে জাতীয় বিশ্বাবিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম বর্সের পরিক্ষা সহ সোমবার এবং মঙ্গলবার খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ পাওয়া খরব অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারনে সারা দেশে দশ জন মানুষ মারা যায়। এ ছাড়াও বাড়ি-ঘর গাছ-পালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
আমি যে জায়গায় অবস্থান করতেছি সেখানে রাস্তায় গত কাল রাতে যে পরিমান পানি দেখলাম, সে পরিমান পানি আমি গত আট বছরেও দেখি নাই। আর যেখানে রাত দুইটা তিনটা এমনকি সারারাত দোকান খোলা থাকে, সেখানে গতকাল রাত আট টা বাজার আগেই সমস্ত দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। বিকাল থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় সবার বাসায় পানির সংকট দেখা দেয়। রাত বারোটার দিকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার পরে বিদ্যুৎ আসে। এই দিকে বিদ্যুতের পাশা পাশি বাসা বাড়িতে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রায় সময় বাসা বাড়িতে গ্যাস থাকে না। কোন কোন বাসায় দেখা যায় রাত তিনটা চারটার দিকে সারাদিনের খাবার রান্না করে রাখে। সব মিলিয়ে মানুষের জীবন ব্যবস্থা ভাল নেই।
ঘূর্ণিঝড় হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এখানে কারো হাত নেই, আমাদের যথা সম্ভব সতর্ক থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমাদের দেশের কিছু কিছু মাথা মোটা মানুষ তারা বলে বাংলাদেশে সুন্দরবন আছে ঘূর্ণিঝড় আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আবার কেউ কেউ বলে এখন দক্ষিন অঞ্চলের সাথে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ানো হয়ছে। ঘূর্ণিঝড় হলে আমাদের তেমন কোন সমস্য হবে না। এসব কথা শুনলে মন চাই তাদের কান ধরে ভোলার চরফ্যাশনে নিয়ে গিয়ে তাদের দেখায় যে দেখুন মানুষ কত কষ্টের মাঝে আছে। সাহয্য সহযোগিতা করতে না পারলেও তাদের সমবেদনা জানান।
বন্ধুরা আজ এখানেই আমার অগোছালো কথার ইতি টানছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। যদি কোন ভুল ত্রুটি হয় ক্ষমার নজরে দেখবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সতর্ক থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
ঘুর্ণিঝড়ের ফলে মৃত্যবরন করা সকলের জন্য দোয়া করছি তারা যেন বেহেস্তবাসী হন। অনেক তথ্যবহুল পোস্ট লেখার জন্য ধন্যনাদ।
সুন্দর কমেন্ট করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া,,সিত্রাং” নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। ভিয়েতনামিজ ভাষায় “সিত্রাং অর্থ “পাতা”।এই বিষয়গুলি গতকাল রাতে আমি একটি ভিডিওতে দেখেছিলাম। কারণ আপনার ঘরের মানুষটির মতো আমারও বেশ কৌতূহল ছিল যে ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ আসলে কে বা কারা কখন কিভাবে করে। এবং বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় গুলোর নামের নারীদের নামকরণ করা হয় কেন। এরকম নানা রকম প্রশ্ন আমার মনে উদয় হতো। তাই গতকাল রাতে আপনার মত আমিও কিছুটা গবেষণা করেছি।ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতি এবং দোয়া রইলো।♥♥
বর্ণনা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আমি আরো ভাবছিলাম এই সিত্রাং নামটা কে দিলো। আপনার লেখনী থেকে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ তার জন্য। বর্তমান পরিস্থিতি কী? কতদিনের মধ্যে সব নরমাল হবে বলে মনে হচ্ছে? যা গতিবেগ বা জলোচ্ছ্বাস শুনলাম সেটা তো অনেকটাই। খারাপ লাগে সাধারণ মানুষগুলোর জন্য। দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় খুব প্রভাব পরে।
সিত্রাং অর্থ যে পাতা এটাই জানতাম না। সত্যি কথা বলতে বেশ ভালো ভালো কিছু ইনফর্মেশন পেয়েছি আপনার আজকের পোষ্টের মধ্যে দিয়ে। তবে কি কমেন্ট করব এই পোস্টে সেটাই বুঝতে পারছিনা। তবে এটুকু বলতে পারি আপনার পোস্ট পড়ে খুব খুশি হয়েছি আমি।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর অর্থ নিয়ে চমৎকার আলোকপাত করেছেন ভাই। তবে এবারে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অন্যান্য বছর তুলনায় অনেক কম। এজন্য ঈশ্বরের নিকট লাখো লাখো কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।