কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।।
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
আজকে আমি এমন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো যে গুলো আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। গত কয়েক বছর যাবৎ একটি শব্দ খুব আলোচনায় এসেছে। আর সেটা হলো বিভিন্ন জেলা উপজেলার দর্শনীয় স্থানে বড় অক্ষরে I LOVE ASHUGANJ বা ব্রাহ্মনবাড়িয়া এমন লেখা দেখায় যায়। আমাদের জেলা সদরে ও সব উপজেলায় এই শব্দটি দেখা যায়। আমার প্রথম ফটোগ্রাফিতেই এমন একটি ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। আমি গত মাসে ট্রেনে বাড়িতে যাওয়ার পথে এই ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। এছাড়াও ট্রেনে যাওয়ার পথে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছি। সব মিলিয়ে ছয় সাত প্রকারের বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখতে পারবেন।
Time- 1.45 pm Date-28-12-2023
Location-
ঐদিন ইসলামি ব্যাংক থেকে অটো দিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে এক ছেলেকে দেখলাম একটি ব্যাগের মধ্যে রেখে একটি বিড়াল নিয়ে যাচ্ছে। বিড়ালের কালারটি লালচে ভাব। বিড়ালের ব্যাগটা অনেক সুন্দর। সম্ভবত ব্যাগটি বিদেশি কোন ব্যান্ডের হবে। ব্যাগটার বিভিন্ন দিক দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার জন্য ছিদ্র রয়েছে। ব্যাগটি এমন ভাবে তৈরী করেছে যে একটি বিড়াল খুব সুন্দর ভাবেই থাকতে পারে।
Time- 8.00 pm Date-28.12.2023
Location-
বর্তমানে শীত কাল চলতেছে। আর শীত কাল আসলে ফুটবল খেলার পাশাপাশি ব্যাডমিন্টন খেলাটা জমে উঠে। রাতের বেলা বিভিন্ন জাগায় লাইট জ্বালিয়ে ছেলেরা এই খেলাটি খেলে থাকে। কিছুদিন আগে বাড়িতে গিয়ে আমিও খেলেছিলাম। কলেজে পড়ার সময় প্রতিদিন খেলতাম। আর তখনই খেলাটির নিয়ম কানুন বুঝেছিলাম। এখন তেমন খেলা হয় না। খুবই মজার একটি খেলা।
Time- 3.00 pm Date-09-12.2023
Location-
এখানে দেখতে পাচ্ছেন স্টেশনে ট্রেন দাড়ানোর পরে ছোট ছোট দুইটি ছেলে বাদাম আর পপ্কন বিক্রয় করছে। যেই বয়সে তাদের স্কুলে থাকার কথা সেই বয়সে তারা বিভিন্ন জিনিষ বিক্রয় করে সংসারের হাল ধরেছে। গরীবের ঘরে জন্ম নিলে বুঝা যায় জীবন কাকে বলে। দায়িত্ব যখন কাঁধে আসে বয়সও তখন হার মানে। বাংলাদেশে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ হলেও সেটা নিয়মেই আটকে আছে। বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
Time- 4.30 pm Date-09-12-2023
Location-
এখানে ট্রেনের রাস্তার দুইটি ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। একটি ফটোতে আংটা আছে আর একটিতে আংটা নেই। যারা ট্রেনের রাস্তা দিয়ে হাটা চলা করেন, তারা হয়তো বিষয়টা খেয়াল করেন। যদি বেশি অংশ জাগায় এমন আংটা না থাকে তাহলে ট্রেন এক্সিডেন্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে। ট্রেন চলাচল করার সময় রাস্তার সাথে ট্রেনের লাইনের ব্যালেন্স ঠিক রাখার জন্য আংটা গুলো দেওয়া হয়।
Time- 12.30 pm Date- 12-12-2023
Location-
এখানে ব্রাহ্মানবাড়িয়া সরকারি কলেজের দক্ষিণ পাশে নিয়াজ মুহাম্মাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রদের পিটি করার চিত্র দেখতে পাচ্ছেন। ঢোলের তালে তালে প্রতিদিন ক্লাসের আগে এই কাজ গুলো করা হয়। উপরে একটি ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন এই বয়সের দুইটা ছেলে জীবিকার তাগিদে বাদাম বিক্রয় করে। দুইটি ছবি দুই ধরনের অর্থ বহন করে।
Time- 4.10 pm Date-09-12-2023
Location-
এখানে মেঘনা নদীর তীরে ট্রেনের ব্রিজের নিচে পদ্মা অয়েলের অনেক গুলো গাড়ি দেখতে পাচ্ছেন। লঞ্চ বা জাহাজের মাধ্যমে তেল এনে এখানে মজুত করা হয়। আর গাাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ডেলেভারি করা হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধা বিরতিহীন ভাবে কাজ গুলো সমাধান করা হয়। এই এলাকেতে জনসাধারন প্রবেশ করতে পারে না।
বন্ধুরা এই হলো আমার আজকের আয়োজন। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।বিড়ালের ব্যাগ টি বিদেশি হবে মনে হয় বিশেষ ছিদ্র রয়েছে শ্বাস নেওয়ার জন্য।আসলেই এটা ঠিক বলেছেন শিশু দুইটি বাদাম, পপকর্ন বিক্রি করছে পরিস্থিতির চাপে পড়েই। দায়িত্ব কাধে এলে শিশুদেরও ইনকাম এর রাস্তায় যেতে হয়।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু দায়িত্ব যখন কাধেঁ পড়ে তখন বুঝা যায়, জীবন কাকে বলে। ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব ভালো ছিল তবে আমার কাছে স্কুলের র্যালি করার অর্থাৎ পিটি করার এই ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া,স্কুলে থাকতে এসব পিটি করেই বড় হয়েছি। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ভাই আপনার ফটোগ্রাফি গুলো এলোমেলো হলেও উপস্থাপন অনেক সুন্দর করেছেন। রেললাইনের হুক গুলো রেললাইনকে সঠিক জায়গায় ধরে রাখে কিন্তু সেই হুকই দেখতে পেলাম না আসলে এরকমটা হলে অ্যাক্সিডেন্ট সম্ভবনা থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া হুক গুলো অনেক গুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। বিশেষ করে পিটি প্যারাডের মুহূর্তটা দেখে আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। এছাড়াও রাতের বেলায় ব্যাডমিন্টন খেলার মুহূর্ত আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
পিটি প্যারাড গুলো তো আপনাদের স্কুলের নিত্যদিনের কাজ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে আমাদের কুমারখালী ইকো পার্কেও এমন একটা লেখা রয়েছে I Love Kumarkhali. শিশুশ্রম অবৈধ ঠিক আছে। কিন্তু তারা পরিস্থিতির স্বীকার ভাই। রাতে আমরাও ব্যাডমিন্টন খেলি। এবং ছাএদের কসরতরত অবস্থায় করা ফটোগ্রাফি টাও বেশ চমৎকার লাগছে। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।
জী ভাইয়া শিশুশ্রম পরিস্থিতি অনুযায়ী বৈধ হয়ে যায়। ধন্যবাদ।
আপনি দেখছি দৈনিন্দন জীবনের দৃশ্য পটভূমি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। আসলে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বাস্তবিক জীবনের অনেক দৃশ্য সম্পর্কে অনেক ভাবনা চলে আসে। সেজন্য আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি । ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ।এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া আমাদের জীবনে যা ঘটে, সে গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনার এই ফটোগ্রাফি পোস্টের মাধ্যমে আমার কাছে ছেলেদের পিটি করার দৃশ্যটা দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া এই ছবিটা সবার কাছে পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ।