কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।।
বাংলা ভাষায় শেয়ার করো,তোমার মনের সকল অনুভূতি।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ,অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়াতে প্রচুর গরম পড়েছে। আমরা সাধারনত ভারত বাংলাদেশের খোঁজখবর রাখি। শুনেছি বাংলাদেশ থেকে ভারতে গরমের পরিমান বেশি। গত কয়েকদিন যাবৎ আমাদের দেশের চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪১ ডিগ্রীর উপরে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়েছে। এছাড়াও সারা বাংলাদেশে গরমে মানুষের নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাচ্ছারা গরমটা সহ্য করতে পারছে না। বিশ্বের অন্যান্য শহরের তুলনায় ঢাকা শহরে উদ্ভিদ বা গাছের পরিমান খুবই কম। যার ফলে এখানে সবসময় গরম থাকে। গাছপালা না থাকার কারনে তেমন হাওয়া বাতাস পাওয়া যায় না। পরিবেশটা কেমন যেন স্তব্ধ হয়ে থাকে। ভাপসা একটি গরম থাকে সবসময়। যারা এসিতে থাকে,তারা হয়তো বিষয়টা ফিল করতে পারে না।
মানুষ জীবিকার তাগিদে এই গরম অপেক্ষা করে কাজে বের হয়। বিশেষ করে যারা নিমার্ণ শ্রমিক রয়েছে,রিকশা চালক রয়েছে,যারা রোদের মধ্যে কাজ করে,তাদের কষ্ট হয় বেশি। এই তাপমাত্রা আমরাই বাড়িয়েছি,আবার আমাদেরই কমাতে হবে। বেশি বেশি গাছ লাগালে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমে আসবে। অনেক মানুষ আছে যারা ছাদের মধ্যে গাছ লাগায়। ছাদ বাগান করে,বিভিন্ন ধরনের ফুল ফল চাষ করে। তাদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানায়। আমি আজকে ছাদ বাগানের কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করবো।
Device-Realme-53
Time-6.pm - Date-12.04.2024
এখানে দুইটি ফটোগ্রাফিতে দুইটি আম দেখতে পাচ্ছেন। একটি আম গাছের আগাতে আর একটি গাছের নিচে ধরেছে। ঈদের পরে এক বাসায় বেড়াতে গিয়ে ছাদ বাগান থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো নিয়েছিলাম। আম আমার খুবই প্রিয় একটি ফল। এখন গাছে গাছে আম ঝুলতেছে। কিছুদিন পরেই আম পাকাঁ শুরু হবে। এখন কাচাঁ আম পেরে মানুষ ভর্তা করে খাচ্ছে,লবন মরিচ দিয়ে খাচ্ছে। আবার আচার দিচ্ছে। উপরের আম গুলোতে আমি টার্চ ও করি নাই। জাষ্ট ফটোগ্রাফি করে চলে এসেছি। আম গুলো দেখতে ভীষন ভালো লাগছে।
Device-Realme-53
Time-6.pm - Date-12.04.2024
ঐ ছাদ বাগানের মধ্যেই কুমড়ো গাছও ছিল। অনেকটা জায়গা নিয়েই কুমড়ো গাছটি ছড়িয়েছে। কুমড়ো গাছের মধ্যে বেশ কিছু ফুল ফুটেছে। আবার কিছু জাগায় দেখলাম কুমড়ো ধরে বড় হয়ে গেছে। বড় কুমড়ো গুলো মাচার নিচে ছিল। যার ফলে সে গুলো আমি ফটোগ্রাফি করতে পারি নাই। ছাদটা বিশাল বড় ছিল। অনেক প্রকারের গাছই রয়েছে। আপনারা কুমড়ো ফুলটা দেখতে পাচ্ছেন,ফুলটা এখনো ভালো ভাবে ফুটে নাই। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। কিছুদিন পর ফুলটা ঠিক ভাবে ছড়িয় পড়বে।
Device-Realme-53
Time-6.pm - Date-12.04.2024
ঐ ছাদের মধ্যে আরেক প্রকার আম ছিল। তবে এই আম গুলোর নাম আমি জানি না। এই আম গুলো উপর দিয়ে দেখতে কিছুটা লাল বর্ণের দেখা যায়। আমটা কিছুটা উপরে ছিল। যার ফলে আমাকে কাছে গিয়ে ফটোগ্রাফি করতে ভালোই বেগ পেতে হয়েছে। আমটা ছবিতে গোল দেখা গেলেও মূলত আমটা কিছুটা লম্বা। দেখতে কিছুটা নৌকার মত লাগছে। যে পরিমান গরম পড়ছে,আর দিনের বেলা রোদের যে তাপ থাকে আম পাঁকতে বেশি সময় লাগবে না। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাকা আম খেতে পারবো।
Device-Realme-53
Time-9.am - Date-29.03.2024
এই ফটোগ্রাফিটা আমি যাত্রাবাড়ি পার্ক থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। গরমে সবার নাজেহাল অবস্থা। পার্ক কৃর্তপক্ষ মানুষের জন্য অনেক গুলো বসার স্থান তৈরী করেছে। তবে এক ভবঘুরে বা ভিক্ষুককে দেখলাম একাই সমস্ত বসার জাগায় শুয়ে ঘুমাচ্ছে। বেচারার ভাব দেখে বুঝা যায়,খুব আরামে ঘুমাচ্ছে। তাদের ঘুমানোর নির্ধারিত জায়গা নেই,ঘর বাড়ি নেই,গোসল করার ব্যবস্থা নেই। যেখানে রাত হয় সেখানেই ঘুমিয়ে পড়ে। আমি দুর থেকে ফটোগ্রাফি করে চলে এসেছি। তাদের ঘুমাতে এসি বা ফ্যানের দরকার হয় না। এই গরমের মধ্যেও কত গুলো কাপড় পড়ে ঘুমাচ্ছে।
Device-Realme-53
Time-6.pm - Date-12.04.2024
উপরে একটি বেগুন ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। এটাও ঐ বাড়ির ছাদ বাগান থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। তাদের ছাদে অনেক প্রকারের সবজি গাছ দেখতে পেলাম। প্রতিদিন সকাল সন্ধায় বাড়ির মালিক পানি দেয়। তবে দুঃখের বিষয় হলো বাড়ির যে মূল মালিক,যে গাছ গুলো কিনে এনে লাগিয়েছিল,যে প্রথম থেকে পরিচর্যা করে গাছ গুলোকে বড় করেছে,সে কিছুদিন আগে মারা গেছে। এখন তার ছেলের বউ বাড়ির মালিক হয়ে,গাছ গুলোতে পানি দেয়। সেই বৃদ্ধ মহিলাটি আজকে বেচেঁ নেই। তবে তার লাগানো গাছ গুলো এখনো বেঁচে আছে। তার লাগানো গাছ থেকে মানুষ ছায়া পায়,ফল মূল,শাক সবজি খায়। মানুষ বেঁচে থাকে তার কর্মে।
বন্ধুরা আর সামনের দিকে বাড়াবো না। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিবো। আগামীকাল আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন,বেশি করে পানি খাবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
গরমের সময় কোন কিছু করতে একেবারেই ভালো লাগেনা। গরমের পরিমাণ যেন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি আজকে বেশ কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর দেখতেও খুবই ভালো লাগতেছে। এই ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো আমি অনেক বেশি পছন্দ করি দেখতে। এখন যেহেতু আমের সিজন, তাই ছোট বড় প্রত্যেকটা গাছে আম ধরেছে। দেখতেও খুব ভালো লাগতেছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির পাশাপাশি বর্ণনা অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ফটোগ্রাফি সম্পর্কে বর্ণনার মাধ্যমে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগতেছে।
জী আপু ছোট গাছে আম ধরলে দেখতে কিন্তুু দারুন লাগে। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কাচা আমের ফটোগ্রাফি দেখে জিভে জল চলে এসেছে ভাইয়া।আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে আমের ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভালো লেগেছে।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
কাচাঁ আম দেখলে সত্যিই লোভ লাগে। ভর্তা করে খেলে জাষ্ট ওয়াও লাগবে। ধন্যবাদ।
এলোমেলো কি বলছেন ভাইয়া সবগুলো ফটোগ্রাফিই সুন্দর হয়েছে।আমগুলো দেখেই লোভ লেগে গেলো।আহা বেচারি কত নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। বেশ ভালো করেছেন দূর থেকে ফটোগ্রাফি করে।কাছে গেলে হয়তো ঘুম ভেঙে যেত।যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু আমি তাকে ডিস্টার্ব করি নাই। জাষ্ট ফটো তুলে চলে এসেছি। ধন্যবাদ।
বর্তমানে যে পরিমাণ গরম পড়ছে এই পরিমাণ গরমে মানুষের অবস্থা খারাপ। সামনে তো আরো বেশি হবে তাপমাত্রা, তখন কিভাবে আসলে মানুষ বাঁচবে সেটাই ভাবছি। আমাদের পরিবেশের তাপমাত্রা কিন্তু আমরাই বাড়িয়ে তুলেছি। আর এজন্য আমাদের অবশ্যই উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণ গাছ রোপন করা এবং পরিবেশটাকে শীতল করে তোলা। যাইহোক আজকের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। বর্তমানে অনেকেই ছাদ কৃষি করে থাকে। শহরাঞ্চলে প্রায়ই দেখেছি। আর এটা কিন্তু সব দিক দিয়েই ভালো। চাহিদা যেমন পূরণ হয় তেমনি অক্সিজেন এর পরিমাণটা বৃদ্ধি পায়। আর জায়গাটাও শীতল রাখে। যাই হোক ভাইয়া ফটোগ্রাফি গুলো বেশ সুন্দর ছিল, আর আমের ছবিগুলো বেশি দারুন লেগেছে।
জী আপু আমি সবসময় ছাদ কৃষিকে সাপোর্ট করি। ধন্যবাদ।
গরমের কথা আর কি বলবো। ভাই এত বেশি গরম পড়তেছে যে, প্রত্যেকটা মানুষ তো গরমে একেবারে ক্লান্ত। সামনে গরমের তাপমাত্রা আরো বেশি বেড়ে যাবে।আমি তো মনে করি আমাদের দেশে একটু কম রয়েছে। অন্যান্য দেশগুলোতে তো আরো বেশি গরম পড়তেছে। দক্ষিণ এশিয়ার কথা শুনেছি, তাদের কথা ভাবতেই তো অনেক খারাপ লাগতেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ও নাকি গরমের তাপমাত্রা অনেক বেশি। যাইহোক ভাই আপনি দেখছি আজকে অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। কাঁচা আমের ফটোগ্রাফি দেখিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন। রাস্তার পাশে থাকা এরকম মানুষগুলোকে দেখলে অনেক খারাপ লাগে।
জী ভাইয়া গরম থেকে বাচঁতে হলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। ধন্যবাদ।
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। সবগুলো ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। তবে বিশেষ করে আমার কাছে কুমড়ো ফুলের ফটোগ্রাফি ও কাঁচা আমের ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
যথা সম্ভব চেষ্টা করি সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করার জন্য। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কিছু অসাধারণ ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে দেখতে বেশ চমৎকার লেগেছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে কুমড়ো ফুলের ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
কুমড়ো ফুলের ফটোগ্রাফিটা সবাই পছন্দ করেছে। ধন্যবাদ।
আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনি অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। কাঁচা আমের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে আমি পেরে মাখিয়ে খেয়ে ফেলি 😋
বাড়িওলা আন্টি শুনলে আপনাকে মাখিয়ে খেয়ে ফেলবে,হা হা হা।
আসলে এখন বর্তমানে প্রচন্ড গরমে মানুষের জীবন হয়ে পরেছে দূর্বিষহ। আমরা যারা ঘরে বসে থাকি তারাই গরমে অসুস্থ হয়ে পরছি। আর যারা খেটে খাওয়া মানুষ তাদের কি অবস্থা ভাবলেই খারাপ লাগে। আর এই গরমের সৃষ্টির জন্য আমরাই দায়ী। আমরা নিজেদের আরাম আয়েস ও সুখ শান্তির জন্য গাছপালা কেটে গড়ে তুলছি বড় বড় লিফ্ট ওয়ালা এপার্টমেন্ট। তাতে কি আমরা শান্তিতে আছি? আর আমরাই পারি এই গরম থেকে একটু শান্তি পেতে এ জন্য আমাদের প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। যে যেইভাবে পারি কেউ গ্রামে বা কেউ শহরের পরে থাকা জায়াগায় বা খালি ছাদগুলোতে। যাই হোক আজ কিন্তু আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দারুন ছিল। আমরা দেখেন এত গরমেও বাসায় ফ্যান বা কেউ এসিতে আরাম আয়েশে থেকেও ভালো ঘুম হয় না। কিন্তু রাস্তার পাশে অসহায় মানুষটি কি সুন্দর শান্তির ঘুম দিয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
জী আপু বর্তমানে কেউ শান্তিতে নেই। সবাই গরম সহ্য করছে। ধন্যবাদ।