রোহিঙ্গা সংকটের আজকের চিত্র।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
বাংলাদেশ মানবিকতার খাতিরে ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছিল। আজ ২০২৫ সালে এসে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ। ছোট একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের কাঁধে এটি নিঃসন্দেহে এক বিশাল বোঝা। আট বছর পেরিয়েও রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়নি। বরং প্রতিদিন পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
আজকের বাস্তবতা: আট বছর পরও অনিশ্চয়তা, ২৫ আগস্ট ২০২৫ আজ রোহিঙ্গারা কক্সবাজার শিবিরে ‘গণহত্যা স্মরণ দিবস’ পালন করেছে। তাদের দাবি একটাই, আর নয় শরণার্থী জীবন, আমরা চাই আমাদের দেশে ফিরে যেতে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মিয়ানমারের সামরিক সরকার এখনো রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট করে বলেছেন, বাংলাদেশ নিজের সম্পদ দিয়ে আর শরণার্থীদের অতিরিক্ত সহায়তা দিতে পারছে না। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই দ্রুত এগিয়ে আসতে হবে।
শিবিরে বসবাসরত প্রায় ২৭৭,৫০০ রোহিঙ্গা শিশু বর্তমানে শিক্ষার বাইরে। মার্চ ২০২৫ থেকে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ৪,৫০০ শিক্ষা কেন্দ্র। শিশুরা বই-খাতা ফেলে এখন ঝুঁকছে অল্প বয়সে বিয়ে বা শ্রমের দিকে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, এভাবে চলতে থাকলে তারা একটি হারানো প্রজন্মে পরিণত হবে।
২০২৫–২৬ সালের রোহিঙ্গা ত্রাণ তহবিলে প্রায় ৯৩৫ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হলেও এখন পর্যন্ত এসেছে মাত্র ৩৬ শতাংশ। ফলে খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। শুরুতে যেসব দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য উদারভাবে সহায়তা দিয়েছিল, তাদের আগ্রহ এখন অনেকটাই কমে গেছে। এতে পুরো সংকট আরও গভীর হচ্ছে।
এই আগস্ট মাসেই কক্সবাজারে শুরু হয়েছে দুই দিনের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন। সেখানে মুহাম্মদ ইউনূস সাত দফা প্রস্তাব দিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ, মানবাধিকার নিশ্চিতকরন, তহবিল পুনঃসঞ্চালন, শিবিরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা বজায় রাখা, নিরাপত্তা হুমকি হ্রাস করা এবং একটি সুস্পষ্ট বৈশ্বিক রোডম্যাপ তৈরি করা। এখন দেখা যাক আন্তর্জাতিক মহল কতটা কার্যকরভাবে এগিয়ে আসে।
রোহিঙ্গা সংকট শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। বাংলাদেশ মানবিকতার খাতিরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে, কিন্তু আট বছর পরও সমাধান অধরাই রয়ে গেছে। আজকের বাস্তবতা হলো শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত, তহবিল কমছে, অপরাধ বাড়ছে এবং বাংলাদেশের সম্পদ শেষ হয়ে আসছে।
এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু সহানুভূতির কথা নয়, এখন চাই সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন। অন্যথায় এই সংকট আরও দীর্ঘায়িত হয়ে বাংলাদেশসহ পুরো অঞ্চলের জন্য ভয়াবহ হুমকিতে পরিণত হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1960299541304955141?t=vM9Cd5uHy69cRChYoa-bzA&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1960299824307179643?t=rhrtulTUEihk6nvlza7M0w&s=19