বাবুর জন্য শীতের কাপড় কেনার অনুভূতি।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিউট বেবি শপ থেকে শপিং করার অনুভূতি শেয়ার করবো।
শপিং করতে কার না ভালো লাগে। শপিং করতে মার্কেটে গেলে মন চায় আরো কিনি, আরো লাগবে। যেটা দেখি সেটাই যেন পছন্দ হয়। তবে সমস্যা হলো ম্যানি। শপিং করতে গেলে পকেটে অনেক টাকা রাখতে হয়। কিন্তু সবার তো এত টাকা নাই। আমি তেমন শপিং করি না। দরকার ছাড়া কোন জিনিস ক্রয় করি না। দুই ঈদের সময় কিছু কাপড় কেনাকাটা করি। এছাড়া মাঝেমধ্যে দরকার পড়লে কিছু কেনাকাটা করা হয়। যেমন ইনকাম তেমন মার্কেট।
কিছুদিন আগে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে গিয়েছিলাম। সে অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে আমাদের পরিচিত এক বড় ভাই একটি কাপড়ের শপ ভাড়া নিয়েছেন। উনি যে মার্কেটে শপটা ভাড়া নিয়েছেন তার লোকেশন হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মুক্ত মঞ্চের উত্তরপাশে সমবায় মার্কেটের নিচতলায়। বেশ কয়েকবার তিনি আমাকে তিনির শপে যেতে বলেছেন। কিন্তু সময়ের অভাবে আর যাওয়া হয় না। ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়ে বেশিদিন থাকা হয় না। সেজন্য আত্মীয়-স্বজন বন্ধুবান্ধব কারো সাথে তেমন দেখা-সাক্ষাৎ হয় না।
সাধারণত শীত মৌসুমের আগে অনেকেই এটা সেটা কিনে থাকে। আমি অবশ্য দরকার ছাড়া তেমন কোন জিনিস কেনার চেষ্টা করি না। ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাওয়ার আগে নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বাবুর জন্য কিছু কাপড় কেনাকাটা করেছিলাম। তবে সেটা কম হয়ে গিয়েছে। বাচ্চা মানুষ অনেক কাপড়চোপড় লাগে। কখন কোনটা বিজিয়ে ফেলে বলা যায় না। সেজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়ে সেই বড় ভাইয়ের শপে গেলাম। তিনি তার শপের মধ্যে বাচ্চাদের সকল আইটেম রেখেছেন। বাচ্চাদের যত ধরনের কাপড় রয়েছে তিনির শপে সেটা পাওয়া যায়।
আমি আর আমার ওয়াইফ তিনটার দিকে তিনির শপে হাজির হয়েছিলাম। তখন মোটামুটি ভালোই কাস্টমার ছিল। নিচতলা সম্পূর্ণ মার্কেটে বাচ্চাদের কাপড়-চোপড় কেনাবেচা করা হয়। মা-বাবা সব সময় চেষ্টা করে নিজে কষ্ট করে হলেও বাচ্চাদেরকে আরামে রাখতে। সেজন্য সবাই নিজেদের ছেলে মেয়ের জন্য সেখানে কেনাকাটা করতে গিয়েছে। আমি তিনির দোকানে প্রবেশ করে বেশ কিছু জামাকাপড় দেখতে লাগলাম। ছেলে মেয়ে উভয়ের কাপড়-চোপড় সেই বড় ভাইয়ের দোকানে রয়েছে। আমি আমাদের বাবুর জন্য কয়েক সেট জামা পছন্দ করলাম। আমাদের বাবু আবার দুই সেট গেঞ্জি পছন্দ করলো। সব মিলিয়ে চার পাঁচ সেট জামা আমরা নিলাম। দাম তুলনামূলক একটু বেশি মনে হলো। তবে প্রত্যেকটা কাপড়ের মান ভালো। সে অনুযায়ী আবার দাম ঠিক আছে। সব জিনিসের দাম বেড়েছে তো, সেজন্য তারাও তুলনামূলকভাবে কিছুটা দাম বেশি রাখে।
যাই হোক তারপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে চলে গেলাম টিএ রোডের আশিক প্লাজাতে। সেখানে গিয়ে আমার নানী শাশুড়ির জন্য একটি শাড়ি কিনলাম। আমাদের বাবুর জন্য আরও দুই সেট জামা নিলাম। আমার ওয়াইফের জন্য কিছু কসমেটিকস কিনলাম। তবে আমার জন্য কিছু কিনি নাই। কারণ আমার তেমন কোন কিছুর দরকার নেই। ঐদিন মোটামুটি সারাটিদিন মার্কেটে কেটেছে। খাওয়া-দাওয়া বাহিরে হয়েছে। সন্ধ্যার পরে বাসায় ফিরেছিলাম।
বাসায় গিয়ে বাবুর জন্য যে জামাগুলো কিনেছিলাম। সবগুলো জামা পড়িয়ে দেখলাম মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর লাগে। সবাই আমাদের বাবুর জন্য দোয়া করবেন। গতকাল থেকে তার শরীরটা কিছুটা অসুস্থ। সবার কাছে দোয়া কামনা করি।
তো বন্ধুরা আজকে এখান থেকে বিদায় নিলাম। আবার আগামীকাল অন্য কিছু নিয়ে দেখা হবে। শীত এসেছে, সবাই শীতকে উপভোগ করুন। শীতের পিঠা খাওয়ার চেষ্টা করুন, শীতের শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। আশা করি শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
Device- Realme-53
Location- Brahmanbaria, Dhaka.
Date.14.12.2024
Time-3.30 pm
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
শীত মানে নতুন নতুন জামা কাপড় কেনাকাটা। শীতের সময় বাচ্চাদের জামা কাপড় অনেকটাই বেশি লাগে। আপনি আপনার মেয়ের জন্য কেনাকাটা করেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
জী আপু বিশেষ করে বাচ্চাদের শীতের সময় জামাকাপড় অনেক লাগে।
আপনি ঠিক বলেছেন কিনতে অনেক ভালো লাগে। তবে পকেটে টাকা থাকতে হয়।যাইহোক বেশ ভালো কেনাকাটা করেছেন।আসলে বাচ্চাদের জামা গুলো সত্যি অনেক সুন্দর হয়।এখন তো শীত তাই বাচ্চাদের সাবধানে রাখতে হবে। দোয়া করি বাবু তারাতাড়ি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে।
যে আপু এই শীতে বাচ্চাদেরকে খুব সাবধানে রাখতে হবে। ধন্যবাদ।
Task Done
আমিও বেশ অনেকদিন আগে বাবুর জন্য কেনাকাটা করে ফেলেছি। ঠান্ডার সময় বাবুদের জন্য অনেক পোশাকের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যাহোক আপনি আপনার অনুভূতি কেনাকাটা সবকিছু উপস্থাপন করেছেন। আর এরই মধ্য দিয়ে আপনাদের ওখানকোর বাজার সম্পর্কে কিছু না ধারণা পেলাম।
শীত শুরু হওয়ার আগেই বাচ্চাদের কাপড় কিনে ফেলা ভালো। ধন্যবাদ।
শীতের দিনে বাচ্চাদের জন্য অনেক বেশি কাপড়ের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে বাচ্চারা ঘন ঘন ভিজিয়ে ফেলে তাই। আর বাচ্চারা বড় হওয়ার সাথে সাথে কাপড়গুলো ছোট হয়ে যায়। বাবুর জন্য খুব সুন্দর সুন্দর জামা কাপড় কেনার মুহূর্ত শেয়ার করলেন ধন্যবাদ।
জী আপু বাচ্চারা দুষ্টুমি করে বেশি। কাপড় ও লাগে বেশি। ধন্যবাদ।
নিজেদের জন্য কেনাকাটা করা হোক আর না হোক, বাবুদের জন্য অবশ্যই কেনাকাটা করা লাগে তাও আবার অনেক বেশি। আপনি আপনার বাবুর জন্য শীতের কেনাকাটা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। অনুভূতিটা অনেক সুন্দর করে আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দোয়া করি বাবু যেন আগের মত সুস্থ হয়ে উঠে, আর সব সময় সুস্থ থাকে।
জী ভাই বড়দের কাপড় কম লাগে। বাচ্চাদের বেশি লাগে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন মার্কেটে গেলে মন চায় আরো কিনতে। আর মার্কেটে গেলে এমনিতে ভালো লাগে। আপনি দেখতেছি আপনার বাবুর জন্য ৫ সেট জামা কিনেছেন। আর মাঝেমধ্যে বাইরে ঘুরতে গেলে দেরি হলে বাইরে খাওয়া-দাওয়া করতে ভালো লাগে। যাইহোক কেনাকাটা করতে গিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন। আমি নিজেও মাঝেমধ্যে বাবুর জন্য কেনাকাটা করতে যায়।
জী শপিং করে রেস্টুরেন্টে না খেলে,শপিং পূর্ণ হয় না,হা হা হা।
প্রথমে বাবুর সুস্থতা কামনা করি।বাচ্চাদের কাপড় একটু বেশী ই কিনতে হয়।কখন, কোনটা নষ্ট করে ফেলে বলা যায় না।আপনি বাবুর জন্য বেশ কিছু ড্রেস নিয়েছেন।আর নানী শ্বাশুড়ির জন্য কাপড় ও ভাবীর জন্য কসমেটিকস নিলেন।আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই।
বাবুর জন্য শীতের কেনাকাটা করেছেন শুনে ভালো লাগলো। শীতের সময় বাচ্চাদের জন্য অনেক বেশি কেনাকাটা করা লাগে। বাবুর জন্য জামাগুলো কিনে আবার পরিয়ে দেখেছিলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। আপনার বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।