ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার চতুর্থ পর্ব।। ( পার্কের ভিতরে কি কি দেখলাম)
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। শীতকাল মোটামুটি শেষ হয়ে গেছে,গরমের আগমনি বার্তা পাচ্ছি। কারন এখন দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় ফ্যান ছাড়া ঘুমানো যায় না। মাথার উপরে ঝুলে থাকা ফ্যানটা কাজে লাগাতে শুরু করলাম। যায়হোক চলুন মূল আলোচনা শুরু করি।
আপনারা সবাই জানেন যে আমি ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার অনুভূতি গুলো পর্ব আকারে আপনাদের নিকট প্রকাশ করতেছি। সেই ধারা অনুযায়ী আজকে চতুর্থ পর্ব শেয়ার করবো। আজকে আপনাদের দেখাবে যে পার্কের ভিতরে দেখার মত উল্লেখ যোগ্য কি কি আছে। অনেক কিছু আছে দেখার মত ও সেলফি তুলার মত। চলুন দেখা যাক।
এটা হলো রাজ বাড়ি। টিকেট কেটে প্রধান গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেই এই ছবিটা নিলাম। কালের সাক্ষী হয়ে বিশাল বড় রাজ দরবার দাড়িয়ে আছে। জায়গা আছে,রাজ দরবার আছে,রাজ বাড়ি আছে কিন্তুু রাজা নেই। যারা তৈরী করেছে তারাও নেই। এখন সবই স্মৃতি।
মেইন গেইট থেকে একটু সামনের দিকে গেলেই গরুর গাড়ির এই চিত্রকর্মটি দেখতে পাওয়া যায়। এটি তৈরী করে ছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। এই চিত্রকর্মটির নাম হলো “সংগ্রাম”। সাধারনত এটার সামনে দাড়িয়েই সবাই সেলফি তুলে।
আরেকটু সামনে গেলেই দেখা যায় বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যের কিছু জিনিষ পত্র। এখানের সব গুলোর নামও আমি জানি না। তবে কয়েকটির নাম জানি যেমন-লাঙ্গল,মাছ ধরার পলো,মই,উড়া,খাড়ি,ডোলা,কোলা,ঢেঁকি,মাটির হাঁড়ি,পাতিল সহ আরো অনেক কিছু। আপনারা যদি কোন একটির নাম জানেন তাহলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
তারপর আরেকটু সামনে গেলেই একটি লেক পড়বে। লেকের উপরে তিনটি ব্রিজ হয়েছে। একটি হলো ইটি সিমেন্টের ব্রিজ, একটি বাঁশের ব্রিজ আরেকটি হলো বাঁশের সাঁকো। বাকি দুইটি ব্রিজের ছবি তুলতে ভুলে গেছি। রাজবাড়ির চার পাশেই লেক রয়েছে। ব্রিজ গুলো নতুন করা হয়েছে।
লেক পার হয়ে ওপারে গেলে দেখা যায় বিশাল বড় দুইটি ষাঁড়ের চিত্রকর্ম। এই চিত্রকর্মটি কে করেছে সেটা অবশ্য আমার জানা নেই। তবে দুইটি ষাঁড়ের গায়ে দুই রকম কালার দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। বেষ্টনির ভিতরে প্রবেশ ও স্পর্শ করা নিষেধ।
ষাঁড়েরর চিত্রকর্মের পাশেই রয়েছে বিশাল বড় একটি লেক। আর লেকের অপর পাশেই রয়েছে হাতির চিত্রকর্ম। তিনটি হাতি সিরিয়াল ধরে দাড়িয়ে আছে। দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে তাই ফটো তুলে নিলাম।
তারপর সামনে গিয়ে হাতের বাম দিকে আরেকটি ব্রিজ আছে। সেই ব্রিজটি পার হয়ে গেলেই দেখা যায় বাঘের চিত্রকর্ম। এগুলোকে যদি বাঘ বলে তাহলে বাঘের অপমান হবে,হা হা হা। কুকুরের চিত্রকর্ম করতে গিয়ে ভুলে মনে হয় বাঘের চিত্রকর্ম করে ফেলেছে,হি হি হি। বিশাল বড় জায়গা। সম্পূর্ণটা ভাল ভাবে ঘুরতে হলে তিন চার ঘন্টা সময় লাগবে।
এগুলো হলো পার্কের ভিতরের উল্লেক যোগ্য দৃশ্য। সেখান থেকে আমরা ঘুরে এসে মেইন জাদুঘরে প্রবেশ করেছিলাম। সেগুলোর ছবি পরের পর্বে শেয়ার করবো। আজকে এখান থেকেই বিদায় নিলাম। সবাইকে আমার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
আবার দেখা হবে পঞ্চম পর্বে....
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
স্থান | সোনারগাঁও জাদুঘর,নারায়গঞ্জ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁওয়ে যাওয়ার মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন তাও এটি চতুর্থ নাম্বার পর্ব ভীষণ ভালো ছিল কিন্তু প্রত্যেকটি পর্ব। আপনি কিন্তু খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন যেগুলো খুবই মনোমুগ্ধকর। বাঁশের ব্রিজটি কিন্তু খুবই চমৎকার দেখতে। পার্কের ভিতরে কি কি দেখেছেন সেগুলোর খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করলেন পার্কে না ঘুরতে পারলেও কিন্তু সবকিছু দেখে নিলাম।
জী আপু পার্কে ভিতরের গুলো শেয়ার করেছি। পরের পর্বে আরো অনেক কিছু আছে। সে গুলো শেয়ার করবো। ধন্যবাদ আপু।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সোনারগাঁও থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে নিয়ে আমাদের দেখিয়েছেন। যেখানে অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন পশু পাখির মূর্তির মাধ্যমে এবং বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী তৈরি করে দেখানো রয়েছে। যে সমস্ত উপকরণগুলো তৈরি করা হয় বাস বেত দিয়ে। আপনাদের এই শিক্ষা সকল অনেক সুন্দর ভাবে অতিবাহিত হয়েছে দেখে বুঝতে পারলাম।
জী ভাইয়া বিশেষ করে প্রাচীন অনেক কিছু সেখানে গেলে দেখা যায়। আরো অনেক কিছু আছে। পরের পর্বে দেখাবো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে সোনারগাঁ জাদুঘরে ঢুকলে মনটা ভরে যায়। সেখানে এত সুন্দর সুন্দর চিত্র রয়েছে যেগুলোর ফটোগ্রাফি না করলেই নয়। আমিও ভাবছি একবার ঘুরে আসব। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু বেশ হয়েছে। অনেক সুন্দর করে আপনি ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
আপনার মত ঘুরতে না যেতে পারলেও ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় এবং স্থান দেখে নিতে পারলাম। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন দেখে কিন্তু ভীষণ ভালো লেলেগেছে। আসলেই রাজবাড়ী রয়েছে কিন্তু রাজা নেই, যারা তৈরি করেছে তারাও নেই সব কিছুই স্মৃতি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এসব জিনিস গুলো দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। সত্যি এরকম পোষ্টের মাধ্যমে কিন্তু অনেক কিছুই দেখা যায়। ভালোই ছিল আপনার আজকের পোস্ট।
জী ভাইয়া রাজবাড়ি এখন স্মৃতি হয়ে আছে। কালের সাক্ষী হয়ে আছে এখন ঐসব দালান-কোঠা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া আপনার সোনার গাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার অনুভূতিগুলো বেশ ভালই লেগেছে আমার কাছে । আপনি ঠিকই বলেছেন রাজবাড়ী আছে , রাজদরবার আছে কিন্তু রাজা নেই । গরুর গাড়ির চিত্রকর্মটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ।এছাড়া প্রাচীন ঐতিহ্যের ঢেঁকি ,কুলা,পলো, চালা এগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগলো । বাঁশের ব্রীজ টিও সত্যিই ভীষণ চমৎকার । সব মিলিয়ে বেশ ভালই লাগলো ।আপনি বেশ আনন্দঘন সময় কাটিয়েছেন ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
জী আপু সব মিলিয়ে আমাদর সময়টা ভালই কেটেছে। অনেক আনন্দ করেছি আমরা। ধন্যবাদ আপু।
সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার আজকে পর্ব খুব অসাধারণ হয়েছে।। খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। প্রাচীন ঐতিহ্যের অনেকগুলো জিনিসপত্র দেখে খুব ভালো লাগলো। গরুর গাড়ি ফটোগ্রাফি বেশ মনোমুগ্ধকর। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া ঐ গরুর গাড়ির চিত্রকর্মটার নাম হলো সংগ্রাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁও আমি কখনও যাইনি।তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক কিছুই দেখে নিলাম।আগের পর্ব গুলো যদিও দেখা হয়নি।তবে এ পর্বে আপনার ঘোরাঘুরির আর ফটেগ্রাফিগুলো দেখে অনেক ভাল লাগলো। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু একদিন সুযোগ করে চলে আসেন জাদুঘরে। অনেক কিছু আছে। দেখে ভালই লাগবে। ধন্যবাদ আপু।