ব্যস্তময় জীবনের একদিন।।
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকে আপনাদের সাথে ব্যস্তময় জীবনের একটি দিনের কর্ম সম্পর্কে আলোচনা করবো।
যতদিন বেচে থাকবো ততদিন কর্ম করেই খেতে হবে। কর্ম ছাড়া পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অসম্ভব। ছোট সময় আমার দাদা একটি কথা বলতেন কর্ম হলো নিজের পেট হলো পরের। এর অর্থ হলো যদি তুমি কর্ম করতে পারো তাহলে তোমার খাবারের অভাব হবে না। কর্মহীন অলস মানুষকে কেউ দেখতে পারে না। ছোট হোক বড় হোক যে কোন একটি কর্ম করেই খেতে হবে।
গত কাল আমার দিনটি খুবই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে অতিক্রম হয়েছে। গতকালকের আগেরদিন রাতে মা ফোন করে জানায় কিছু টাকা লাগবে। আমি তখন মাকে বলেছিলাম বাড়ির পাশের দোকানে কারো রকেট আছে কিনা। খুজ খবর নিয়ে জানায় যে কারো কাছে রকেট একাউন্ট নেই। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হয়েছে।
ব্যাংক আবার দশটার আগে অপেন করে না। আমার অফিস টাইম হলো নয়টার সময় তাই দুপুরে ব্যাংকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। সকালে অফিসে এসে যাবতীয় হাতের কাজ শেষ করে বারোটার দিকে অফিস থেকে বের হয়ে গেলাম। আমাদের অফিসের আশে পাশে ইসলামী ব্যাংক,আই এফ আই সি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া,ডাচ বাংলা ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক রয়েছে তবে আমার অম্মুর একউন্ট হলো উত্তরা ব্যাংকে। উত্তরা ব্যাংক আবার আমাদের অফিস থেকে একটু দুরে। তাই একটি রিকশা নিয়ে চলে গেলাম উত্তরা ব্যাংকের সামনে।
Device-Redmi Not-8 Time-12.30pm
উত্তরা ব্যাংকের সামনে গিয়ে পকেটে হাত দিয়ে মনে হলো টাকা তো আমার মোবাইলে রকেট একাউন্টে। টাকা তো বের করা হয়নি। এখন টাকা বের করতে যেতে হবে ডাচ বাংলা এটিএম বুথে। কারন আমাদের অফিসের সেলারি দেওয়া হয় ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংক একাউন্টে। উত্তরা ব্যাংকের সামনে থেকে আবার গেলাম ডাচ বাংলা এটিএম বুথে।
Device-Redmi Not-8 Time-12.30pm
সেখানে গিয়ে আবার আরেক জামেলায় পড়লাম। মানুষের অনেক ভিড়। এই বুথ গুলোতে সবসময় অনেক মানুষের ভিড় থাকে। যেখানেই গিয়েছি সেখানেই সিরিয়াল ধরতে হয়েছে। ঐ জাগায় ছয়টা বুথের মধ্যে তিনটাই নষ্ট ছিল। যার কারনে ভিড়টা আরো বেশি হয়েছে। যায়হোক দশ পনের মিনিট দাড়িয়ে থেকে টাক তুলে নিলাম।
Device-Redmi Not-8 Time-12.30pm
সেখান থেকে আবার গেলাম উত্তরা ব্যাংকে। সেখানে তেমন সিরিয়ালে পড়তে হয়নি। তবে তাদের লাঞ্চ টাইম হয়ে যাচ্ছে তাই একটু তারাতারি করছিলো। যায়হোক ব্যাংকে টাকাটা জমা দিয়ে ব্যাংকের ভিতরে একটু বসলাম। রোদের মধ্যে ঘুরাঘুরি হাটাহাটি করে শরীর ঘেমে গেছে। তাই ব্যাংকের এসির সাতাসের মধ্যে একটু বসে রেস্ট নিলাম।
Device-Redmi Not-8 Time-1.00pm
তারপর প্রায় দেড়টার দিকে ব্যাংক থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। বাসা থেকে লাঞ্চ করে আবার অফিসে যেতে হবে। মানুষের জীবনটাও ঘড়ির মত হয়ে গেছে। যারা শহরে থাকে তাদের জীবনটা একটা ঘড়ি। ঘড়ির কাটার মতই তাদের চলতে হয়।
Device-Redmi Not-8 Time-1.30pm
এভাবেই আমাদের ব্যস্তময় জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। দিন যাচ্ছে রাত আসছে,আবার রাত যাচ্ছে দিন আসছে। এভাবেই মাস ঘুরে বছর যাচ্ছে। ঘড়ির মত আমাদের জীবনও ঘুরছে।
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কেমন হলো আজকের পোষ্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
স্থান | চাষাড়া,নারায়নগঞ্জ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
আপনার ভাই একদম চরম একটা সত্যি কথা বলেছে। আসলেই আমাদের নিজের কাছে যদি টাকা থাকে তাহলে কখনো খাবারের অভাব হবে না। আর সেই টাকার জন্যই সারাক্ষণ ব্যস্ততার মধ্যে থাকতে হয়। সেরকম দেখতে পেলাম আপনার পুরো দিনটাই ব্যস্ততার মধ্যেই গেল। টাকা পাঠানোর জন্য আপনাকে অনেক বেশি ভুগতে হয়েছে দেখলাম। যদি দোকানে রকেট একাউন্ট পেয়ে যেতেন তাহলে এত সমস্যা হতো না। আমাদের সারাদিনটাই কাজের মধ্যে চলে যায়। নিজের জীবনের সময় বলতে কিছুই থাকে না।
জী আপু দাদার কথাটা এখন বাস্তবের সাথে মিল পাচ্ছি। ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন কর্মহীন মানুষকে কেউ পছন্দ করেন। মায়ের কাছে টাকা পাঠানোর জন্য দেখছি আপনার বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত যে আপনি টাকাটা পৌঁছে দিতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। মানুষের জীবনে ব্যস্ত থাকবে কারো কম বা কারো বেশি। আপনি ঠিক বলেছেন মানুষের জীবন কাটার মত চলতেই থাকে। পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া ঐদিন অনেক ঘাম জড়েছে শরীর থেকে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি ভাইয়া ব্যাংকে গেলে ভোগান্তির শেষ নেই। যেহেতু আপনার মায়ের জন্য টাকা পাঠানো খুবই জরুরী ছিল তাই তো ব্যস্ততা একটু বেশি হয়েছে। আসলে নিজের কাছে টাকা থাকলে খাবারের অভাব হয় না এটা চিরন্তন সত্য কথা। যাইহোক ব্যস্ততম একটি দিনের গল্প জানতে পারলাম। আসলে এরকম ভাবেই হয়তো আমাদের বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যেই দিন কাটে।
জী আপু টাকা থাকলে খাবারের অভাব হয় না। ধন্যবাদ আপু।
আপনার মায়ের জন্য টাকা পাঠাতে আপনাকে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হলো।যাক শেষ পর্যন্ত তো টাকা পাঠাতে পারলেন জেনে ভাল লাগলো। ব্যস্ততম দিনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু শেষ পর্যন্ত টাকা পাঠাতে পেরে অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
কর্মহীন মানুষের জীবনে কোন দাম নেই।ঠিক বলেছে ভাইয়া কর্ম থাকলে ভাতের অভাব হয়না।আপনার মায়ের জন্য টাকা পাঠাতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে আপনাকে। যাক সবশেষে যে আপনি আপনার মায়ের কাছে টাকা পাঠাতে পেরেছেন সেটা শুনে খুবই ভালো লাগলো।
জী আপু কর্মহীন মানুষকে কেউ দেখতে পারে না। ধন্যবাদ আপু।
আপনি আপনার মায়ের জন্য টাকা পাঠাতে গিয়ে বেশ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে তা উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। আপনি যে হয়রানির মধ্য দিয়েও টাকা পাঠাতে পেরেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। তবে মানুষের জীবনটা ঠিক, এমন সংগ্রামী। যাদের কর্ম রয়েছে তাদের কখনো ভাতের অভাব হয় না।
জী ভাইয়া মানুষের জীবনে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।