হঠাৎ একদিন ফুটপাত থেকে বেলপুরি খাওয়ার অনুভূতি।।
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আবার হাজির হলাম নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। যেহেতো বেচেঁ আছি,খেতে হবে কাজও করতে হবে। আর ব্লগ তৈরী করাও সেই কাজেই একটি অংশ। আজকে আপনাদের সামনে খুবই লোভনীয় একটি খাবার খাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করবো। খাবারটা খেয়েছিলাম বেশ কিছুদিন আগে। আর অনুভূতি প্রকাশ করছি আজকে। চলুন মূল আলোচনা শুরু করি।
গত সাপ্তাহে সিলেট যাওয়ার আগে কিছু কেনা করার জন্য সন্ধার পরে মার্কেটে গিয়েছিলাম। পহেলা মে তে সাধারনত বড় বড় মার্কেট গুলো বন্ধ থাকে। তবে আমাদের বড় কোন মাকের্টে কাজ ছিল না। আমার হালকা কিছু কেনাকাটা করার ছিল, সে উদ্যেশ্যেই গিয়েছিলাম। বাসা থেকে বের হওয়ার পরই আকাশ কেমন করে ডাকাডাকি শুরু করলো। মনে মনে ভাবলাম গরমের ভয়ে সারাদিন শুয়ে বসে সময় কাটিয়ে সন্ধায় পরে মার্কেটে যাচ্ছি। আর আমাদেরকে দেখে আকাশ বৃষ্টির হুমকি দিচ্ছে। এক দিক দিয়ে ভাবতেছি বৃষ্টি আসলে ভালই হবে ওয়েদারটা ঠান্ডা হবে আবার অন্যদিকে ভাবতেছি বৃষ্টি হলে কেমন যেন সব কিছু একটু মলিন হয়ে যায়। যায়হোক অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করে বৃষ্টির হুমকি ধামকি মাথায় নিয়ে মার্কেটের উদ্যেশ্যে গাড়িতে উঠে বসলাম।
গাড়িতে উঠার সাথে সাথে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। বৃষ্টি আসার পরে আমার মনে হয়েছে আমরা গাড়িতে উঠার জন্য বৃষ্টি যেন অপেক্ষা করছিলো। মার্কেটে যেতে পনের থেকে বিশ মিনিট সময় লাগে। আমরা যতক্ষন গাড়িতে ছিলাম ততক্ষন মোটামুটি ভালই বৃষ্টি হয়েছে। আমরা গন্তব্যে পৌছে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে একটি মার্কেটের ভিতরে চলে গেলাম। সেখানে পাঁচ থেকে সাত মিনিট দাড়ানোর পরে বৃষ্টি মোটামুটি থেকে গেল। বৃষ্টির থামা দেখে আমরাও আল্লাহ তায়ালার শুকিয়া আদায় করে কেনা কাটা শুরু করলাম।
বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরাঘুরি করে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সময় ব্যায় করে আমাদের কেটাকাটা শেষ করলাম। সাথে যদি একজন মহিলা মানুষ থাকে তাহলে দশ মিনিটের কাজটাও চল্লিশ পঞ্চাশ মিনিট লাগে। আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন আর কিছু বললাম না। শপিং করা শেষ এখন খাওয়ার পালা। আমরা যে মার্কেটে শপিং শেষ করেছি সে মার্কেটের একটু দুরেই সুগন্ধা রেস্টুরেন্ট। কাছে আছে যেহেতো সেখান থেকে হেটেই সুগন্ধা রেস্টুরেন্টে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে রাস্তার পাশে দেখলাম এক মামা বেলপুরি বিক্রয় করতেছে।
সাধারনত বাঙ্গালিদের পেটে যত রকমের খাবারেই থাকুক না কেন,খেয়ে পেট ভরা থাকলেও সামনে ফুচকা,চটপটি আর বেলপুরি দেখলে খেতে মন চাইবেই। আর আমরা তো কিছুটা ক্লান্তই ছিলাম,পেটেও কিছুটা খিদা ছিল। আমি সাধারনত ফুটপাতের খাবার খেতে চাই না। কিন্তুু সবসময় তো আর মনকে মানানো যায় না। আমি বেলপুরি মামার চারপাশের পরিবেশটা দেখলাম। চারপাশ খুবই পরিষ্কার দেখলাম। তাছাড়া কিছুক্ষন আগে বৃষ্টি হয়েছে তাই রাস্তার ধূলাবালিও উড়ে আসার সম্ভবনা নেই। তাই বেলপুরি মামার দিকে এগিয়ে গেলাম। আমাদেরকে দেখেই বেলপুরি মামা বললো কয় প্লেট লাগবে। আমি বললাম প্রথম দুইজনকে দুই প্লেট দেন। খেয়ে মজা হলে আবার নেবো।
মামা বেলপুরি বানাচ্ছে আমি মোবাইলটা বের করে কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিলাম। লক্ষ করলাম সব কিছু ঠিক ঠাক ভাবেই দিচ্ছে। উনার সাধ্য মত উনি স্বাদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমি উনাকে জিঙ্গেস করলাম,মামা আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়। তিনি বললেন ঠাকুরগাঁও। আমি বললাম কি বলেন এত দুর থেকে এসে এখানে ব্যবসা করছেন। ঠাকুরগাঁও তো মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এলাকা। তিনিকে চিনেন না কি...? মামা বললো জি চিনি আমরা একই থানার লোক। যাক ভালো বেলপুরি রেডি হয়েছে..? ততক্ষনে মামা আমার হাতে বেলপুরির প্লেট ধরিয়ে দিলেন।
আমি দুইটি ফটো তুলে গপাগপ খাওয়া শুরু করলাম,হি হি হি। প্রথম দুইটি বেলপুরি খেয়ে ভালই টেষ্ট লাগলো। মামাকে বললাম মামা আরো দুই প্লেট রেডি করেন। চার দিকের ওয়েদার খুবই ঠান্ডা,মানুষজন কম। হালকা হালকা ঠান্ডা বাতাস শরীরে লাগতেছে আর আমরা দাড়িয়ে দাড়িয়ে বেলপুরি খাচ্ছি, দারুন একটি পরিবেশ ছিল। বেলপুরি গুলো সাইজে একটু বড় থাকে। যার জন্য ফুচকার মত পুরো একটা মুখে দেওয়া যায় না,হা হা হ। আমি আবার ঝাল একটু কম খায়। কিছুক্ষনের মধ্যেই দুই জনে চার প্লেট খালি করে ফেললাম। ধারুন টেষ্টি ছিল,তাই বউকে জিঙ্গেস করলাম আর খাবে কিনা। বললো আর খাবে না।
মামাকে জিঙ্গেস করলাম কত টাকা বিল হয়েছে ..? মামা বললো ১২০ টাকা হয়েছে। টাকা দিয়ে দুই জনে ফুটপাত দিয়ে হাটা শুরু করলাম। পরের গন্তব্য কি ছিলো সেট না হয় অন্য একদিন বলবো। আজকে এপর্যন্তই থাক। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। মন চাইলে মাঝে মাঝে বেলপুরি খাবেন। অনেক টেষ্টি লাগে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
বিষয় | হঠাৎ একদিন ফুটপাত থেকে বেলপুরি খাওয়ার অনুভূতি। |
স্থান | কালিবাজার রোড,নারায়নগঞ্জ,ঢাকা |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ০১-০৫-২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Hello, friend!
This post has been upvoted and manual selected by the Steemgoon curation team.
Thank you for sharing content and contributing to the STEEM blockchain.
We are an active witness on STEEM, thank you in advance for your support.
If you vote for us as a witness, you will get daily steem rewards and free upvote to your post.
ভাইয়া আপনার বেলপুরি খাওয়ার অনুভূতিটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো খুব মজা পেলাম। তবে আমি কখনো আকাশ থেকে বৃষ্টি ধমক খাইনি। হয়তো খেয়েছিলাম বুঝতে পারিনি। আর কি জানি বললেন সাথে বউ থাকলে পাঁচ মিনিটের কাজ ৫০ মিনিট লাগে এই কথাটা কিন্তু ঠিক না ভাইয়া কারণ বউ কিন্তু আপনাকে দেখে শুনে ভালো করে বুঝেশুনে যে কোন কিছু কিনে দিচ্ছে যাতে ভবিষ্যতে আপনি না ঠকেন। আর এরকম কিছু করতে হলে তো একটু সময় লাগবেই। আপনার ভালোর জন্যই তো।
জী আপু যখন বৃষ্টি আসার জন্য রেডি হয়,তখন বাহিরে গিয়ে আকাশে দিকে তাকাবেন তখন ধমক খেতে পারবেন,হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া পেট যতই ভরা থাক না কেনো বেলপুরি দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল। আর এটা সত্যি মহিলাদের কেনাকাটা করতে একটু বেশি সময় লাগে।আসলে মহিলারা সব সময় চাই ভালো জিনিস কিন্তু দাম কমে। যাই হোক এত টেস্টি যে দুজনে চার প্লেট খেয়েছেন হা হা হা। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু ফুসকা,চটপটি আর বেল পুরি দেখলে নিজেকে সামাল দেওয়া মুশকিল। ধন্যবাদ আপু।
আমিও খুব খেতাম রাস্তার পাশের ফুচকা,চটপটি ,কিন্তু করোনার সময় ছাড়ার পর এখন আর খেতে আগ্রহ হয় না। তবে আপনাদের খাওয়া দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। ভেল্পুরি খাওয়ার সুন্দর মুহুর্ত সুন্দর করে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ।
আপু আমি খেতে চাই না। কিন্তুু সঙ্গি গুনে খেতে হয়। এখন ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে।
আসলে বৃষ্টি ভালো লাগে কিন্তু কোথাও বের হলে বৃষ্টি হলে খুবই বিরক্তিকর লাগে । তবুও ভালো আপনারা গাড়িতে ওঠার পর বৃষ্টি হয়েছিল ।আপনার সঙ্গের জন আপনাকে সময় লাগিয়েছে সেটা কি সঙ্গের জন জানে ? যাই হোক বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছেন এবং শেষে রাস্তার পাশের ভেলপুরি খেয়েছেন। ভালো আবহাওয়া তারপরে এ ধরনের খাবার খেতে বেশ ভালই লাগে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
নাহ আপু যদি বলি অনেক সময় নষ্ট হয়ছে তাহলে তো আবার রাগ ভাঙ্গানোর জন্য আরেক জামেলায় পড়তে হবে,হা হা হা।
বেশ লোভনীয় একটি খাবারের রিভিউ দিলেন লোভ সামলানো বেশ মুশকিল। ওই যে বললেন যত খাবার খাই না কেন ফুচকা বেলপুরি কিংবা চটপটি হলে আর মুখের রুচিকে ধরে রাখা যায় না। কিছু মানুষ আছেন যারা বের হলে এমনিতেই বৃষ্টি চেয়ে থাকে হঠাৎ করে চলে আসে যাদেরকে বলা হয় মেঘ রাশি যা আমার সাথে ঘটে সব সময় 😂😂হা হা হা। ছেলেরা বুঝি খুব কম সময় পার করেন বাইরে মেয়েদের সাথে গেলে এমনিতে অস্থির হয়ে যায়🤣 । অনেক সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করলেন বেলপুরি খাওয়ার বেশ ভালই লাগলো।
জী আপু সারাদিন বৃষ্টি হয়নি সন্ধার সময় আসলো। তবে ভালই হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আমার কিন্তু ভাইয়া বৃষ্টিতে ভিজে হু হা করে ঝাল ঝাল বেলপুরি খেতে বেশ মজাই লাগে। বাপরে বাপ বেলপুলিসের দাম মাত্র চারখানা পিস ২০ টাকায়। ভাগ্যিস ভাবি সাথে গিয়েছিল। তা না হলে তো কেনাকাটা বারোটা বাজিয়েতা না হলে তো কেনাকাটার বারোটা বাজিয়ে দিতেন।
জী আপু আমি আবার বেশি সময় নেয় না। যার জন্য সব সময় কেনা কাটা করে ঠকে যায়। ধন্যবাদ আপু।