"বিয়ের মোহরানা " নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। জুম্মার নামাজ শেষ করে, লাঞ্চ করে শুয়ে শুয়ে চিন্তা করতেছি এখন কি করবো। ঘুমিয়ে যাবো না কি নাটক দেখবো। যদি এখন ঘুমিয়ে যায় তাহলে রাতে ঘুমাতে সমস্যা হবে তাই একটি নাটক দেখলাম। নাটকের নাম হলো “বিয়ের মোহরানা" নিলয় আলমগীরের নাটক। নাটকটি দেখে আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে সেই নাটকের রিভিউটা সেয়ার করি। চলুন শুরু করা যাক।
নাম | বিয়ের মোহরানা |
---|---|
পরিচালনা | নাজমুল রনি। |
প্রযোজনা | ভিজ্যুয়াল সিন এন্টারটেইনমেন্ট |
অভিনয়ে | নিলয় আলমগীর, জেএস হিমি, মাসুম বাশার,রিমি করিম, কে এম পামির, এমরান আজান ও আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৩৬ মিনিট |
সম্পাদনা | তানভীর তাহসান |
সঙ্গীত | আপেল মাহমুদ এমিল |
মুক্তির তারিখ | ২০ই অক্টোবর- ২০২২ |
ধরন | পারিবারিক নাট্য |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- নিলয় আলমগীর-পাশা
- জান্নাতুল সুমাইয়া হিমে-পিংকি
নাটকের প্রথমে দেখা যায় পাশা বিয়ে করার জন্য পিংকিদের বাসায় বিয়ে স্টেজে বর সেজে বসে থাকে। কাজী বিয়ের পড়ানোর জন্য বিয়ের মোহরানা জিঙ্গেস করে। তখন পিংকির মামা বলে বিয়ের মোহরানা বিশ লাখ টাকা। তখন পাশা বলে না বিশ লাখ টাকা না বিয়ের মোহরানা আমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড,কারন পিংকির সাথে আমার সব কথা বার্তা হয়ে আছে। তখন পিংকির মামা বলে বিশ লাখ টাকার কমে এ বিয়ে হবে না। পাশা বলে বিশ লাখ টাকা আমার বাবা কোথায় পাবে। আমার বাবাকে বিক্রয় করলেও তো আড়াই কেজি বেগুন কিনার টাকা হবে না। তখন পিংকির মামা বলে ঐ ফকিন্নি পোলা তর বাবাকে যদি বিক্রয় করলে আড়াই কেজি বেগুনের দাম না হয় তাহলে বিয়ের পরে বউকে খাওয়াবি কি। তখন পাশার বন্ধু বলে দোস্ত তরে ফকিন্নির পোলা বলছে। তখন পাশা রাগে বসা থেকে দাড়িয়ে পিংকির মামার নাকে ঘুসি মেরে বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে যায়।
পাশা বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে একটি বাশঁ ঝাড়ে আশ্রয় নেই। তখন পিংকি তার ভালবাসার টানে পাশাকে খুজতে খুজতে ঐ বাশঁ ঝাড়ে যায়। পিংকি পাশাকে বুঝিয়ে আবার বাড়িতে আনার সময় পিংকির বাড়ির ছেলে পেলেরা পাশাকে ধরে মারতে থাকে। তখন পাশা পালাতে গিয়ে তার বাবা আর বন্ধুর সাথে দেখা হয়। তারপর সেখানে অনেক কথা কাটাকাটির পরে পাশার বন্ধু পাশাকে আর তার বাবাকে বুঝিয়ে আবার বিয়ের আসরে নিয়ে যায়। তখন পিংকির বাবা পাশার বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে খাবার খেতে বলে। তখন সবাই যখন খাবার খাওয়া শুরু করে তখন পিংকির মামা মামি আবার বিয়ের আসরে আসে। তখন এক লোক বলে খাবার নষ্ট হয়ে গেছে এই খাবার খেলে আমাদের পেট খারাপ করবে। তখন পিংকির মামা রেগে বর যাত্রীকে গালি দিতে গিয়ে বরকে গালি দেয়। তখন পাশা বিয়ের স্টেজ থেকে পিংকির মামার সাথে কথা কাটাকাটি করে। তখন পিংকির মামি পাশাকে থাপ্পর মারে। তখন পাশা পিংকির মামির হাত ভেঙ্গে দিয়ে আবার বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে যায়।
পিংকি আবার পাশাকে বুঝিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। তখন পিংকির মামা পাশাকে মারার জন্য লাঠি নিয়ে তাড়া করে। পিংকির মামি পাশাকে পিছন থেকে ধরে তার স্বামীকে পাশার মাথায় আঘাত করতে বলে। পিংকির মামা আঘাত করার সাথে সাথে পাশা সরে যায় আর সেই আঘাত গিয়ে লাগে পিংকির মামির মাথায়। তখন পিংকির মামির মাথা ফেটে গেলেও তার মামা বলে বউ মরলে মরছে তকে আমি ছাড়বো না। তখন লাঠি নিয়ে পাশাকে আবার তাড়া করে। পাশা আবার পালিয়ে যায়।
পিংকির মামা মামি পিংকিকে বুঝায় যে বিশ লাখ টাকা মোহরানা ছাড়া বিয়ে করলে তার জীবন ঝুকির মধ্যে থাকবে। বিশ লাখ টাকা মোহরানা থাকলে তাকে তার হাসবেন্ড ছেড়ে যাবে না বা তালাক দিবে না। বিয়ের ছয় মাস পরে ভালবাসা থাকে না। এভাবে বেশি মোহরানার বিষয়ে বিভিন্ন যুক্ত তুলে ধরে। তখন পিংকি সবাইকে বুঝায় যে প্রত্যেকটা পুরুষের তৌফিক অনুযায়ী মোহরানা ধার্য করা উচিত। কারন বেশি মোহরানা ধার্য করলে সেই মোহরানা না দিতে পেরে পুরুষরা সারাজীবন গুনার অংশীধার হতে থাকে। আর দুই জনের মাঝে ভালবাসা না থাকলে কোটি টাকা মোহরানা থাকলেও দাম্পত্য জীবন সুখের হয় না। সাংসারিক জীবনে সুখি হওয়ার জন্য মোহরানা মূখ্য বিষয় নয়। একজন অন্য জনের প্রতি বিশ্বাস ভালবাসাই মুখ্য বিষয়। তখন পিংকির বাবা বলে তাহলে কি মোহরানা ছাড়াই পাশাকে বিয়ে করবি..?
তখন পিংকি বলে না। আমার আর পাশার মধ্যে কথা হয়েছে। আমাদের বিয়ের মোহরানা হবে পাচঁ লক্ষ এক টাকা। তখন পিংকির মামি বলে পাত্র যে বলে বিয়ের মোহরানা তার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড। তখন পিংকি বলে আসলে তার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড হলো পাচঁ লক্ষ এক। তখন সবাই বলে আমাদেরকে আগে বলবি তো। তখন সবাই খুশি মনে তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। পাশা আর পিংকিও তাদের বাসর ঘরে চলে যায়। পাশা তার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে নতুন পাসওয়ার্ড দেয় আই লাভ ইউ পিংকি। এভাবে কথা বলতে বলতেই নাটক টি শেষ হয়ে যায়।
নাটকটিতে অমাদের সমাজের একটি কুসংস্কার তুলে ধরা হয়েছে। যে কুসংস্কারের কারনে শত শত সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নারী পুরুষ সবাই দিনের পর দিন গুনাগার হচ্ছে। কুসংস্কারটি হলো বিয়ের সময় একজন পুরুষের সামর্থের থেকে বেশি মোহরানা দাবি করা। সবাই মনে করে মোহরানা বেশি থাকলে ছেলে মোহরানা দেওয়ার ভয়ে মেয়েকে ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা করবে না। তাই বেশি করে মোহরানা দিলে মেয়ে সুখে শান্তিতে থাকবে। নাটকটিতে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে মোহরানা কম বেশি সেটা মূখ্য বিষয় নয়। সুখে তাকার জন্য ভালবাসা বিশ্বাসই মূখ্য বিষয়।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
ভিন্ন রকম একটি নাটক ছিল ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে নাটকটি রিভিউ আকারে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আসলে এই নাটকটি দেখা হয়নি তবে আপনার রিভিউ এর মাধ্যমে দেখার ইচ্ছে পোষণ করছি। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
মেহেদী না পরলে বিয়ের একটা অপূর্ণতা থেকে যায়। আপনি জোর করে আপনার দেবরের হাতে মেহেদি দিয়ে খুব ভালো একটা কাজ করেছেন। আর ছেলে বলে সিম্পল একটি ডিজাইন করেছেন যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি মেহেদি ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি মনে হয় ভুলে অন্য কারো পোষ্টের কমেন্ট আমার পোষ্টে করে ফেলেছেন।
নাটকটি আমার দারুন লেগেছে। আসলে বেশি মোহরানা ধার্য করলেই যে সংসারে শান্তি আসবে আর কখনো বিচ্ছেদ হবে না এমনটা কখনো নয়। ভালোবাসা হলো সবথেকে বড় বিষয়। নাটকের গল্পটা সত্যিই বেশ মজার এবং বোঝার বিষয় আছে বেশ কিছু। ধন্যবাদ ভাই নাটকটি রিভিউ করার জন্য।
ইতিমধ্যে এই দুজনের প্রায় অনেকগুলো নাটক বেরিয়েছে। সেদিন প্রায় অনেকগুলো নাটক ডাউনলোড করে দেখেছিলাম। মনে হচ্ছে এই নাটকটি দেখা হয়নি। যেহেতু আপনি রিভিউ দিয়েছেন খুব শীঘ্রই দেখার চেষ্টা করব। এদের দুইজনের খুনসুটি বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।
ব্যক্তিগতভাবে খুব ছোটবেলা থেকেই আমি নিলয় আলমগীরের নাটক অনেক বেশি পছন্দ করি তার অভিনয় আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। যদিও বেশ কিছুদিন সে নাটক সিনেমা থেকে একদমই দূরে সরে গিয়েছিল কিন্তু বর্তমান সময় এসে আবার ফিরে এসেছে এবং অনেক সুন্দর সুন্দর নাটক আমাদের মাঝে উপহার দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। আপনার এই নাটক যদিও এখন পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি তবে খুব শীঘ্রই দেখবো নাটকটি সংক্ষিপ্তভাবে পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।