ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৪ এ যাওয়ার অনুভূতি- প্রথম পর্ব।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথেন নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৪ এ যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করবো। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার অনুভূতি ও সেখানে গিয়ে কি ক দেখলাম সব কিছু আমি দুইটির পর্বের মাধ্যেমে শেষ করে দিবো। আশা করি ব্লগটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
১৯৯৫ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হয় । তখন থেকে ১ই জানুয়ারী প্রতি বছর বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে শিল্প পণ্য ও ভোগ্যপণ্য নিয়ে নিয়মিত আয়োজিত হচ্ছে এ মেলাটি। ঢাকার শেরে বাংলানগরে এ মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। প্রথমে আমাদের দেশীয় পন্য দিয়ে মেলাটি শুরু হলেও ধীরে ধীরে সেখানে বিদেশীরা তাদের পণ্য নিয়ে মেলাতে অংশ নিতে থাকে। সব থেকে বেশি বিক্রয় হয় গৃহস্থালীয় জিনিষ পত্র। বিদেশিরা মেলায় অংশগ্রহন করার মাধ্যমে বাংলাদেশি মানুষ বিদেশি পণ্য কেনার সুযোগ পায়। সেই সাথে বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্য বিদেশে যায়। এই মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যের মান যাচাই বাছাই করা যায়।
ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ২০২১ সালে সর্বশেষ মেলাটি হয়। তারপর থেকে মেলার পরিধি বৃদ্ধি করার জন্য মেলার স্থান পরিবর্তন করা হয়। ২০২২ সালে থেকে এই বাণিজ্য মেলা রাজধানীর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত হচ্ছে। তবে নতুন জায়গা ও দূরত্ব হওয়ার কারনে মেলা শেরে বাংলা নগরের মত এত জমজমাট হয়ে উঠেনি। আশা করা যায় সেখানেও ধীরে ধীরে বাণিজ্য মেলা আরো জনপ্রিয়তা লাভ করবে। প্রতি বছর পহেলা জানুয়ারী মেলা শুরু হলেও এই বছর বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মেলাকে ২০ দিন পেছানো হয়েছে। এই বছর ২০শে জানুয়ারী থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত টানা এক মাস মেলা বসেছিল।
ঢাকা থেকে রূপগঞ্জ মোটামুটি অনেকটা দূরে অবস্থিত। যার কারণে মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । মেলা শুরুর দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত ঢাকার ফার্মগেট, কুড়িল, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী থেকে বিআরটিসি’র বাস সার্ভিস চালু করেছিল। তারা শুধু বাণিজ্য মেলাতে যাত্রী আনা-নেওয়া করতো। আমার এক ফ্রেন্ড আবার বিআরটিসিতে জব করে। সেই আমাকে মেলাতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রন জানালো। তাই আমি মেলার শেষের দিন তথা ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধার দিকে মেলাতে যাওয়ার সিধান্ত নিলাম। যাওয়ার দিন ফার্মগেট পর্যন্ত এত জ্যাম হয়েছিল যা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়েতে উঠার পরে আর জ্যামে পড়েনি। সেখান থেকে মাত্র ১৫/২০ মিনিটে বাণিজ্য মেলায় পৌছে গেছিলাম। আমি মেলায় যেতে যেতে রাত হয়েগেছিলো। কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে পূর্বাচলের দিকে এত সুন্দর রাস্তা করা হয়েছে যে,ভ্রমন করলে প্রশান্তি পাওয়া যায়। আর রাস্তা গুলোও নতুন ডিজাইন করে বানানো হয়েছে। যারা ঐদিকে গেছেন তারা বুঝতে পেরেছেন।
সেখানে বাণিজ্য মেলার বাহিরে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজেক্টের কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আপনারা উপরের ছবিতে লক্ষ করলে দেখতে পারবেন। পদ্মা সেতু ও নিচ দিয়ে ট্রেনের রাস্তার চিত্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিত্র,মেট্রোরেলের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্প পণ্যের চিত্র তুলে ধরেছিল। বাহিরের অংশটা বিভিন্ন ডিজাইন করে খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। আমরা সেখানে গিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে দুইটি টিকেট নিলাম। সেখানে বড়দের প্রবেশ ফি ছিল ৫০ টাকা আর ছোটদের ত্রিশ টাকা। তবে স্টুডেন্ট হলে সাথে আইডি কার্ড থাকলে মেলায় প্রবেশ করতে কোন ফি লাগে না।
টিকেট শো করে গেইট দিয়ে মেলায় প্রবেশ করলাম। বিশাল বড় এড়িয়া ছিল মেলার। পাশে অনেক রকমের পতাকা ছিল, ঝর্ণা ছিল। দিনের বেলা গেলে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করা যেতো। তবে আমি যখন মেলাতে প্রবেশ করেছি তখন রাত নয়টা বেজে গেছিলো। মূল ভবনের বাহিরে অনেক পণ্যের দোকান ছিল। কি কি পণ্য রয়েছে সেটা আমি পরের পর্বে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আজকে এখান থেকে বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৪ এ যাওয়ার অনুভূতি- প্রথম পর্ব।। |
স্থান | পূর্বাচল,রূপগঞ্জ, ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২০ /০২/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
চমৎকার অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। ভালো লাগলো নতুন একটা বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে। আসলে বাণিজ্য মেলায় অনেক কিছু দেখতে পাওয়া যায়, আর অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এই সমস্ত মেলার এরিয়া অনেক বড় হয়ে থাকে ভাইজান।
জী ভাইয়া বাণিজ্য মেলায় গেলে,নতুন অনেক কিছু দেখা যায়। ধন্যবাদ।
বাণিজ্য মেলা গিয়েছ জেনে খুব ভালো লাগলো।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা যাওয়ার কিছু অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে ভাই । আসলে বাণিজ্য মেলা যেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি গত বছর গিয়েছি। বাণিজ্য মেলা কাটানো কিছু মুহূর্তের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
যারা ঢাকার ভিতরে থাকে,সবাই চায় একদিন হলেও ঘুরে আসতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় দারুন সময় উপভোগ করেছেন। আমারও খুব যাওয়ার শখ এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় । জেলা পর্যায়ে যে বাণিজ্য মেলা গুলো হয় প্রতিবারই যাওয়া হয় । আপনি দারুন সময় অতিবাহিত করেছেন প্রথম পর্ব দেখে ভালো লাগলো।
ভাইয়া ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় একদিন আসবেন। অনেক মজা পাবেন। ধন্যবাদ।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ভ্রমণ করে সুন্দর ফটোগ্রাফি সেই সাথে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো।
আমিও বেশ কিছুদিন আগে ঢাকা বাণিজ্য মেলা ভ্রমণ করেছিলাম আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল।
আপনি মেলায় গেছেন,শুনে খুশি হলাম। অনেক সুন্দর জায়গাটা। ধন্যবাদ।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৪ এ গিয়ে দেখছি ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন আপনি। আপনার যেতে যেতে প্রায় রাত হয়ে গিয়েছিল দেখেই বুঝতে পারতেছি ভাইয়া। মেলাতে অনেক বড় একটা এরিয়া ছিল। এটা দেখে বোঝা যাচ্ছে। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখে সত্যি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। ঢাকার অধিকাংশ মানুষ এই বাণিজ্য মেলাতে গিয়েছিল এটা তো বোঝাই যাচ্ছে। আপনার আজকের এই পোস্ট পড়তে সত্যি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার কাটানো মুহূর্তটা সুন্দর করে তুলে ধরার জন্য।
জী আপু রাস্তায়ে জ্যামের মধ্যে পড়ে,যেতে যেতে রাত হয়ে গেছিলো। তবে মেলায় গিয়ে ভালোই লেগেছে। ধন্যবাদ।