২০২৩ সালটা বাংলাদেশের জন্য সংকটময় হতে পারে,সবাই সতর্ক থাকুন।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। গরম বিদায় নিয়ে শীত চলে এসেছে। এখন ঘুমাতে অনেক আরাম লাগে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতেই মন চাই না। তারপরও পেটের দায়ে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কাজে বের হতে হয়। কাজ না করলে তো আবার পেটে খাবার আসবে না। শীতের সকাল উপভোগ করার সময় আমাদের নেই। চলুন আপনাদের সাথে একটি নতুন নিউজ সেয়ার করি।
আমি আপনাদেরকে আগেও বলেছি,এখনও বলছি,ভবিষ্যতেও বলবো আমি কোন রাজনীতি করি না। আমি নিজস্ব ভাবে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করি না। আমার জীবনে এখনও জাতীয়, জেলা, উপজেলা,ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ে কোন নির্বাচনেও কাউকে ভোট দেয় নি। আমি আমার মত করে স্বাধীন ভাবে চলি। কে কি করলো না করলো সেদিকে আমি তেমন খেয়াল রাখি না।
আজকে আপনাদের সামনে যে আলোচনাটা করবো সেটা কোন রাজনৈতিক আলোচনা না। আর সব থেকে বড় কথা হলো “আমার বাংলা ব্লগ” কোন প্রকার রাজনৈতিক আলোচনা সাপোর্ট করে না। আমার বাংলা ব্লগে সবাই সমান। এখানে কারো পক্ষ পাতিত্ব করা হয় না। আর রাজনৈতিক আলোচনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমি পত্রিকার হেডলাইনের উদ্দেশ্য অনুযায়ী আমাদের সতর্কতার জন্য কিছু কথা সেয়ার করবো।
গত কাল বিকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম তিনটি কারন দেখিয়ে বলেন “২০২৩ সাল সংকটময় হতে পারে, সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে”। আবার কোন কোন পত্রিকায় দেখা যায় হেডলাইন করতেছে ২০২৩ সালে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। তিনটি কারন কি কি আগে সে গুলো নিয়ে আলোচনা করি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রথমে যে কারনটা উল্লেখ করেন সেটা হলো “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ” সেটা তো আমার সবাই দেখতেছি প্রায় এক বছর হয়ে যাচ্ছে, এখনো যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার কোন সম্ভাবনা দেখতেছি না। যত তারাতারি যুদ্ধ বন্ধ হবে তত তারাতারি আমাদের জন্য মঙ্গল। তারপর যেটা বলেন “বিশ্ববাজারে ডলার সংকট” এটা অবশ্য ঠিক বর্তমানে ডলারের অনেক মূল্য। আগে আমরা বাংলাদেশি আশি থেকে পঁচাশি টাকায় এক ডলার পেতাম সেটা এখন বেড়ে ১২০ টাকা হয়ে গেছে। বাংলাদেশি টাকার মান কেন এত নিচে নেমে গেল,আর ডলারের দাম কেন এত উচুঁতে উঠে গেল সে বিষয়ে পরে একদিন বিস্তারিত আলোচনা সেয়ার করবো।মন্ত্রিপরিষদ সচিব তৃতীয় যে কারনটি উল্লেখ করেন সেটি হলো কোভিড-১৯ পরবর্তী চীনে উৎপাদন কমে যাওয়া। এসব কারনে ২০২৩ সালটা বাংলাদেশের জন্য সংকটময় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এখন আমার নিজেরর চিন্তা হলো এই কারন গুলোর জন্য শুধু বাংলাদেশেই কেন সংকট আসবে। পৃথিবীতে তো আমরা একা বাস করি না, তাই না। পৃথিবীতে প্রায় ২৩০ টা দেশ আছে। তারা সংকটে পড়বে না শুধু আমরাই সংকটে পড়বো। যায়হোক এসব বিসয় আমার ক্ষুদ্র মাথায় আসবে না। বাংলাদেশ একটি পররাষ্ট্র নির্ভর দেশ। এ দেশ নিজে স্বয়ং সম্পূর্ণ না। আমাদের প্রায় সবকিছুই বাহিরের দেশ থেকে আমাদানি করে আনতে হয়। সংকটময় মুহূর্তকে মোকাবেলা করতে হলে আমাদের সর্বপ্রথম খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। কোথাও কোন খালি জমি ফেলে রাখা যাবে না। যে যেভাবে পারি পরিত্যক্ত জমিতে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। আর বিশেষ ভাবে যে দিকে নজর দিতে হবে সেটা হলো অপচয় রোধ করতে হবে। বাংলাদেশিরা অনেক বেশি অপচয় করে। খেতে পারবে এক প্লেট অর্ডার করতে তিন প্লেট। বড়লোকি দেখাতে গিয়ে খাবার নষ্ট করে। অথচ অন্য দিকে মানুষ দুবেলা দুমুঠো ডাল ভাত খেয়ে বাচার জন্য জীবন বাজি রেখে লড়াই করে।
তারপর যেটা করতে হবে সেটা হলো বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স আসার ব্যবস্থা করতে হবে। যে যেভাবে হোক নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে হবে। আর বড় বড় যে মেগা প্রকল্প গুলো হতে নেওয়া হয়েছে সে গুলো বন্ধ রাখলেই ভাল হয়। কারন মানুষ যদি না খেয়ে মারা যায় তাহলে প্রকল্প দিয়ে কি হবে।
সবার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ থাকবে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অপচয় রোধ করুন। তেল,গ্যাস,বিদ্যুৎ, পানি,খাদ্য এগুলো বেশি অপচয় হয়। বিনা কারনে অযথা বাজারে বা মার্কেটে যাওয়া বন্ধ করুন,কিনা কাটা বন্ধ করুন। যে জিনিষটা না কিনলে চলবে না শুধু সেটাই কিনবেন। আপনার টাকা আছে বলে আপনি বিলাসিতা করতে গিয়ে সব কিছু কিনে গোদামজাত করে ফেললেন অন্যদিকে মানুষ না খেয়ে কষ্ট করবে এটা অবশ্যই আপনি মেনে নিবেন না।
আমি অনেক আগে থেকেই আমার পোষ্টের প্রথম অংশে বলে আসতেছি যে আমাদের সামনের দিন গুলো বেশি ভাল না। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে ভয়াবহ একটি পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে। সবাই সতর্ক থাকুন। সবাই ভাল থাকুন। আরো অনেক কিছু লেখা বাকি রয়ে গেছে। পোষ্টটি বড় হয়ে যাবে তাই আর লিখলাম না। সবাইকে ধন্যবাদ । আল্লাহ হাফেজ।।
প্রথম ছবিটি চেঞ্জ করে দিন।
চেঞ্জ করে দিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমরা মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তরা ঠিকই অপচয় রোধ করি,আমরা চাইলেও আগ থেকে আগাম পন্য কিনে গুদাম জাত করে রাখতে পারি না।বরং বাংলাদেশের উচ্চ লেভেলের কর্মকতারা একটার জায়গায় তিনটা অর্ডার করে,আর বিলাসিতার কথা বাদেই দিলাম।সামান্য বাহিরের দেশের ফুটবল খেলা নিয়ে এই দেশের মানুষের কত টাকা কত দিক উড়াচ্ছে কে বলবে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ আসবে।
ভাইয়া আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। ২০২৩ সালটা বাংলাদেশের জন্য সংকটময় হতে পারে অবশ্যই ভাইয়া, আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। অজাতা টাকা খরচ করা যাবে না। চিন্তা ভাবনা করে চলতে হবে। আপনার পোস্ট ভিজিট করে ভালো লাগলো।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে পেটের দায়ে তো সবকিছু করতে হয়। এইজন্য আরামের ঘুম হারাম করতে হয়। আসলেই কয়েকদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি দুর্ভিক্ষ লাগার হেডলাইন চলছে। আপনি যে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এগুলো কিন্তু একদম পারফেক্ট। আসলে আমাদের বেশি করে ফসল ফলানো উচিত। কোন জমিন খালি রাখা উচিত নয়। বিশেষ করে আমাদের মত মধ্যবিত্ত পরিবারের সমস্যায় পড়তে হবে। বর্তমানে এমনিতে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম এত বাড়তি এইজন্য অনেক বেশি সমস্যা হচ্ছে। আর সত্যিই নিজ অবস্থান থেকে অপচয় বন্ধ করলেও কিছুটা অন্তত ঠিক হবে।
ভালো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন একটি ভাই।
নিজেদের অবস্থান থেকে মিতব্যায়ী হতে হবে এবং খাবারের অপচয় রোধ করতে হবে। সারা বিশ্বে একটি অর্থনৈতিক মন্দা আবহাওয়া বিরাজ করছে তাই, সতর্ক হয়ে চলতেই হবে।
আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমাদের মাঝে আজকে শেয়ার করেছেন। যা পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আমরা মধ্যবিত্ত আমি মনে করি মধ্যবিত্ত মানুষের অপচয় রোধ করে। আমরা যারা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ তারা চাইলেও আগাম সবকিছু কিনে রাখতে পারেনা। এটা আমরাও শুনতেছি ২০২৩ সাল খুবই সংকটময় হতে পারে। তাই আমাদের উচিত অনেক হিসেব-নিকেশ করে চলা এবং যে জায়গাগুলো খালি পড়ে রয়েছে সেগুলোকে আবাদ করা। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক সতর্ক মূলক একটি পোস্ট আপনি করেছেন।
২০২৩ সালটা আমাদের দেশের জন্য সংকটময় হতে পারে। তাই জেনে শুনে বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক জায়গায় অর্থ ব্যয় করতে হবে এবং আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি অপচয় করে। আর আগামী বছর আমাদের সকলের জন্য খুবই বিপদজনক একটি বছর আমরা শুনে আসছি, তাই আমাদের সকলেরই একটু চিন্তা ভাবনা করে খরচ করা উচিত এবং সতর্ক থাকা উচিত। আমার মনে হচ্ছে
উপরোক্ত তিনটি কারণে ই বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ দেখা যেতে পারে।