“কাইকারটেক” ভ্রমনের চতুর্থ ও শেষ পর্ব ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমার শরীরটা বেশি ভাল না। হালকা হালকা জ্বর আর ঠান্ডা লাগছে। গত কয়েকদিন ধরে মাথাটা খুব ব্যাথা করতো। আজকে সেই মাথা ব্যাথা থেকে জ্বর এসে গেছে। সবার নিকট সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করে আমি আমার “কাইকারটেক” ভ্রমনের চতুর্থ ও শেষ পর্ব সেয়ার করতে যাচ্ছি। চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি গত পর্বে আপনাদের সাথে বলেছিলাম যে আমি কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করেছি,যে গুলো চতুর্থ পর্বে সেয়ার করবো। আমরা কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে প্রথমে সেতুর উপর থেকে ফুচকা আর চটপটি খেলাম। তারপর সেতুর নিচে যে ভাসমান রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে গেলাম। রেস্টুরেন্টের নাম হলো জলতরঙ্গ। জলতরঙ্গে খাবারের অনেক দাম। আমরা প্রথমে ভেবিছিলাম কফি খাবো। কিন্তুু প্রবেশ করে যখন কফি অর্ডার করলাম তখন তারা বললো আজকে কোন কফি হবে না। কারন তাদের কফির মেশিন না কি নষ্ট। তারপর পর বড় ভাইয়াকে জিঙ্গেস করলাম,কফিতো নাই এখন কি খাবেন। তিনি বললেন কফি না থাকলে তিনি আর কিছু খাবেন না। আমরা আমাদের ইচ্ছামত খেতে। তারপর আমি আর আমার ফ্রেন্ড দুইটি ফালুদা খেলাম। তারপর একটু বসে সময় কাটানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তুু মশার কামড়ে আর থাকতে পারলাম না। তারপর জলতরঙ্গ থেকে বের হয়ে গেলাম। বড় ভাইয়া বললো বাসায় চলে যাবে। আমরা বললাম ঠিক আছে চলেন। আমি অটোতে উঠার আগে আগে রাস্তায় বিক্রয় করা খাবারের কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম। সে গুলো আপনাদের সাথে সেয়ার করতেছি।
এই মিষ্টি গুলোকে খেজুরের মিষ্টি বলা হয়ে থাকে। মিষ্টি গুলো তৈরী করার সময় খেজুরের রস বা খেজুরের মিঠাই দেয় কিনা সেটা আমি জানি না। তবে মেলাতে খেজুরের মিষ্টি নামেই পরিচিত। আমি অনেক আগে এই মিষ্টি খেয়েছিলাম। মোটামুটি ভালই স্বাদ লাগে।
ঐখানের আঞ্চলিক ভাষায় এই খাবারটিকে খাস্তা নিমকি বলা হয়ে থাকে। নিমকি গুলো বানানোর সময় একটু ঘুরিয়ে পেচিয়ে বানানো হয়। যার কারনে এগুলোকে খাস্তা নিমকি বলা হয়। এই ছবির উপরের অংশে আরেকটি খাবার দেখা যায়। যার নাম হলো লাড্ডু। খুব সুস্বাদু আর পরিচিত একটি খাবার।
ঐখানের আঞ্চলিক ভাষায় এই খাবারটিকে রস মুঞ্জরি মিষ্টি বলা হয়। এই মিষ্টি গুলো খেতে অনেকটা চালকুমড়ার মুরুব্বার মত লাগে। উপড়ে গাঢ় করে চিনির সিরা দেওয়া হয়েছে। যার কারনে দেখতে সাদা দেখাচ্ছে।
এই খাবারটিকে মচমচে নিমকি বলা হয়ে থাকে। একটি ফরমেটের মাধ্যমে অনেক গুলো নিমকি এক সাথে বানিয়ে বিশাল বড় কড়াইতে ছেড়ে দেয়। পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যেই এই খাবার গুলো তৈরী হয়ে যায়।
এই খাবারটিকে আঞ্চলিক ভাষায় পুরি পিঠা বলা হয়ে থাকে। আমার যথা সম্ভব ধারনা এই পুরি পিঠা দিয়ে পানি পুরি বানানো হয়। অনেক মানুষকে কেজি হিসাবে কিনতে দেখলাম।
এই খাবারটিকে তারা মুরুলি নিমকি বলে থাকে। এই নিমকি টা খেতে কিছুটা লবনাক্ত লাগে। আবার মুরুলির মতো দেখা যাওয়ার কারনে মুরুলি নিমকি বলা হয়।
সুস্বাদু কৎবেল ফল আপুদের খুব প্রিয়। এই ফলটিকে কয়েটি নামে ডেকে থাকে যথা কৎবেল বা কদবেল বা কয়েত বেল ফল। এর খোলস শক্ত ও বেলের মত খসখসে। গাছ ২০-৫০ ফুট উঁচু হয়। এই ফলটি খেতে টক লাগে।
উপরের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো করতে করতে অটোতে এসে বসলাম। আসার সময়ও ভাড়া পনের টাকা করেই নিলো। কেউ কিছু বলে নাই। নৌকা ঘাটে এসে টলারে না গিয়ে ফেরিতে গেলাম। অনেক মানুষ এক সাথে ভালই লাগলো। নদীর এপারে এসে বড় ভাইয়া বললো কফি খাবে। তারপর আমারা তিনজনে তিন কাপ কফি খেলাম। নদী থেকে ঠান্ডা বাতাস আসতেছিল। খুব ভাল লাগছে সময় কাটাতে। আমাদের মত হাজারো মানুষ দালান কোটা ছেড়ে এখানে আসে একটু সময় কাটাতে। পনের থেকে বিশ মিনিট অতিক্রম করার পর আবার অটো দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসতে আসতে রাত প্রায় নয়টা বেজে যায়।
প্রিয় বন্ধুরা আর দীর্ঘায়িত করবো না এখানেই শেষ করে দিচ্ছি। আবার দেখা হবে। নতুন কোন বিষয় নিয়ে। কেমন হলো আজকের পোষ্টটি অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ক্যামেরা | রেডমি নোট-৬ প্রো |
স্থান | কাইকারটেক, সোনাগাঁও, নারায়ণগঞ্জ। |
তারিখ | ২১-১০-২০২২ |
সময় | ৭.০০PM |
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
এই ব্লগটির জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। নতুন নতুন অনেক কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানলাম।খেজুরের মিষ্টি টি আমি খেয়েছি।এটা মেইনলি খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি।তাই আলাদা একটা স্বাদ পাওয়া যায়।ধন্যবাদ ভাইয়া এরকম সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া এই খেজুরের মিষ্টিটি আমিও খেয়েছে অনেক বার। ভালই লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী ভাইয়া তাদের আঞ্চলিক ভাষায় এই নাম গুলো দেওয়া হয়েছে। তবে অন্য জাগায় অন্য নামও থাকতে পারে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাপরে! আপনি তো এঅদম বিজয়া দশমীর খাবার দেখিয়ে দিলেন। গজা, রসমঞ্জরী, নিমকি, পিঠে সবটাই এই মরসুমের আদর্শ খাবার।খেজুরে মিষ্টি কে আমরা বটফল বলি।আর লাড্ডু টা এমন ভাবে সাজানো যে ছোটা ভীমের লাড্ডু খাওয়ার কথা মনে পড়ে গেলো। চারিদিকে ভিষণ ডেঙ্গু হচ্ছে। তাই বেশী মশার কামড় নআ খাওয়াই ভালো। ওভার অল ঘোরা এবং খাওয়া দুই-ই বেশ জমিয়ে হয়েছে। 😊
জী দিদি এই খাবার গুলো লোভনীয়। দেখলে শুধু খেতেই মন চাই। ধন্যবাদ দিদি।