ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার সপ্তম পর্ব।। ( দুপুরের খাওয়া দাওয়া)
আসসালামুআলাইকু/ নমস্কার/ আদাব।
আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি ।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আপনারা হয়তো ভুলেই গেছেন যে আমি ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার অনুভূতি গুলো পর্ব আকারে শেয়ার করে আসতে ছিলাম। মাঝখানে কাজিনের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য পর্ব গুলোতে একটু গ্যাপ পড়ে গেছে। তবে আমি ভুলে যায়নি। তাই আজকে আপনাদের সাথে ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার সপ্তম পর্ব শেয়ার করবো।
আমরা জাদুঘরের ভিতরে অনেক ঘুরাঘুরি করেছি, অনেক ছবি তুলেছি। তারপর প্রায় দেড়টার সময় আমরা সেখান থেকে বের হয়েছি। সেখান থেকে বের হয়ে বাহিরে আবার একটু ঘুরাঘুরি ও কিনা কাটা করে আমাদের পিকনিক স্পটে চলে যায়। পিকনিক স্পটে পৌছে দেখি অনেকে লাঞ্চ করে ফেলেছে। সবাই আমাকে বলতেছে আপনি কোথায় গেলেন, আমরা তো খাওয়া দাওয়া শেষ করে ফেলেছি। আপনি সহ আর কয়েকজন বাকি আছে। আমি তারাতারি করে ফ্রেশ হয়ে খাবার আনতে গেলাম।
খাওয়া দাওয়ার সিস্টেমটা আমরা খুব সুন্দর ভাবে মেইন্টিন করেছি। যে লোকের থেকে আমারা পিকনিক স্পট ভাড়া নিয়েছি,উনার সাথে কথা বলে দুপুরের খাবারটাও উনাকে কন্টাকে দিয়ে দিয়েছি। আমরা জাস্ট উনাকে বলে দিয়েছি যে আমরা একশত পঞ্চাশ জন আসবো। আপনি আমাদের প্রত্যেককে বাটির মধ্যে যার যার খাবার তার হাতে দিয়ে দিবেন। তিনিও আমাদের কথা মত সব কিছু সুন্দর ভাবেই ব্যবস্থা করেছেন।
একটি বাটিতে পর্যাপ্ত পরিমান পোলাও,দুই প্রকারের রোস্ট, ডিম দিলো। আর আলাদা ভাবে মাংস,সালাদ,সাদা পানি আর একটি করে ড্রিংকস দিলো। সব কিছু স্পটেই একটি টেবিলে রাখা আছে। প্রত্যেকের হাতে আমরা একটি করে টিকেট দিয়ে দিয়েছি। যে টিকেট নিয়ে আসে তাকে খাবার দেওয়া হয়। আমার কাছে টিকেট ছিল না। কারন সব কিছুতো আমিই এরেন্জ করেছি,সবাই আমার পরিচিত। আমি জাস্ট দুইটি খাবার নিয়ে সোজা রুমে চলে গেলাম। স্পটে প্যান্ডেল লাগিয়ে চেয়ার টেবিল দিয়ে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিন্তুু আমার পারসোনাল সমস্যার কারনে রুমের ভিতরে চলে গেলাম। তাছাড়া স্পটের সাথে রেস্ট নেওয়ার জন্য দুইটি রুমও ভাড়া করা হয়েছিল।
পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার ছিল। সবাই খুব আনন্দের সাথে খাবার খেয়েছে। শীতের দিন হওয়ায় বাহিরে খাবার খেতেও কারো কোন সমস্যা হয়নি। আমি রুমে গিয়ে আমরা দুইজন বসে সুন্দর ভাবেই আমাদের লাঞ্চ গ্রহন করলাম। খাবারও খুব ভাল টেষ্ট হয়েছিল। সবাই খুব মজা করে খেয়েছি।
খাওয়ার দাওয়ার পরে শুরু হলো বিনোদন লটারি ও গিফট প্রদান পর্ব। এই পর্বের ফটো গুলো অষ্টম পর্বে শেয়ার করবো,ইনশাআল্লাহ।।
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কেমন হলো আজকের পোষ্ট অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
স্থান | সোনারগাঁও,নারায়নগঞ্জ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে যাওয়ার সপ্তম পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগল। আসলে ম্যানেজমেন্ট ঠিক থাকলে সব হয়। সবাই অনেক সুন্দর করে খাবার খেয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগল। কারো কোন সমস্যা হয় নেই সেদিক থেকে অনেক ভালো লাগল। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু সুন্দর ভাবে মেইনটিন করতে পারলে জামেলা হয় না। ধন্যবাদ আপু।
ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে বনভোজনে দারুণ সময় কাটিয়েছেন আপনারা।তাছাড়া সত্যিই বনভোজনে বিনোদন লটারি ও গিফট প্রদান পর্ব না থাকলে ভালো লাগে না।আপনারা বেশ বড় আয়োজন করেছিলেন মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু বিনোদন,গিফট আর লটারি পর্ব অনেক মজা হয়েছে, শেয়ার করবো। ধন্যবাদ আপু।