ভাগ্যের খেলা কেউ বুঝে না। প্রথম পর্ব ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই বৃষ্টি বিলাস করে ভালই সময় কাটাচ্ছেন। গত দুইদিন ধরে সারা বাংলাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। হিমালয় থেকে ঠান্ডা আবহাওয়া আসতেছে। আর সেই ঠান্ডা আবহাওয়া শীতরে আগমনি বার্তা দিচ্ছে। কয়েক জাগায় ফোন দিয়ে জানতে পারি যে সব জায়গার আবহাওয়া একই অবস্থা। প্রচন্ড গরমের পরে ঠান্ডা আবহাওয়া খুবই ভাল লাগতেছে। ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব নিয়ে চলোন একটি পোষ্ট পড়ে ফেলি।
আজকে আমি সকাল সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠার পর থেকে আমার মনটা অনেক খারাপ। কোন কাজে মন বসতেছে না। হাত কাজ করতে চাইতেছে না। কম্পিউটারে টাইপিং করতে চাইতেছি কিন্তুু টাইপিং করতে পারতেছি না। টাইপ করতেছি একটি শব্দ হয়ে যাচ্ছে আরেকটি শব্দ। লিখতে চাই মামা হয়ে যাচ্ছে নানা। মানে মনে সাথে হাত দুটোও অবশ হয়ে গেছে। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে এমন হওয়ার কারন কি বা মন খারাপের কারণ কি। চলোন তাহলে বিস্তারিত বলি....
আমার একজন বেষ্টফ্রেন্ড আছে নাম জান্নাত। জান্নাত নাম শুনে সবাই হয়তো চোখ বড় বড় করে তাকাচ্ছেন বা অন্য কিছু চিন্তা করছেন। অন্য কিছু চিন্তার করার দরকার নেই, জান্নাত একটি ছেলের নাম। সে আমার লেংটা কালের বন্ধু। সাদা সাদা দাঁত বের করে হাসতেছেন তো, দাঁত পরিষ্কার থাকলে কোন সমস্যা নেই। চলোন সামনের দিকে যায়।
শিক্ষা জীবনের প্রথমে আমরা দুইজন এক সাথে প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হয়। আমাদের বাড়ি থেকে জান্নাতের বাড়িতে যেতে এক মিনিট সময় লাগে। তাহলে সম্পর্কটা কি দাড়ালো চাচাতো ভাই, ক্লাসমেট এবং বন্ধু। আমাদের গ্রামের স্কুলে আমরা দুইজনে এক সাথে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ি। দুই জন এক সাথেই প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করি। তারপর দুইজন এক সাথে হাইস্কুলে ভর্তি হয়। বলতে লজ্জা নেই যে, জান্নাত আমার থেকে ছাত্র হিসাবে একটু ভাল ছিল। মানে তার রোল এক থাকলে আমার দুই আবার তার দুই থাকলে আমার তিন থাকতো। দুইজনে তিনের গন্ডির ভিতরেই থাকতাম। তিনের উপরে যেতাম না।
দুই জন ভাল ভাবেই মাধ্যমিকের প্রিপারেশন নিতে লাগলাম। পরিক্ষার আগে তিন চার মাস খুব ভাল ভাবেই পড়াশোনা করলাম। যথা সময়ে পরিক্ষা দিয়ে রেজাল্টের আসায় দিন গুনতে লাগলাম। দিন যায় মাস যায় অবশেষে রেজাল্টের দিন আসলো। যথা সময়ে রেজাল্টও দিলো। আমার রেজাল্ট এ+ আসলেও জান্নাতের রেজাল্ট আসে ৪.৭৯। রেজাল্ট নিয়ে জান্নাতের মা জান্নাতকে একটু বকা ঝকা করলো। আমরা আবার এক সাথে উচ্চ মাধ্যমিকেও ভর্তি হয়। উচ্চ মাধ্যমিকেও জান্নাত ভাল স্টুডেন্ট ছিল কিন্তুু ফাইনাল রেজাল্ট আমারই ভাল হলো এ+ আসলো আর জান্নাতের আসে ৪.৮৯।
উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর আমরা বাড়িতে ঘুরা ফেরা করতেছি,অবসর সময় পার করতেছি। জান্নাতের এক চাচা ঢাকা একটি প্রাইভেট কোম্পানেতে ম্যানাজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করতো। ঐ চাচা ঈদের সময় বাড়িতে যাওয়ার পর আমরা দুইজনে দুইটি সিভি দিয়ে দিলাম উনার কোম্পানিতে চাকরির জন্য। সিভি দেওয়ার কয়েক মাস পরে আমাদের চাকরির ব্যবস্থা হয়ে গেল। আমাদেরকে বাড়ি থেকে আসতে বললো। চাকরির খবর পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত হলাম যে, দুই জন এক সাথে পড়াশোনা করেছি, এখন এক সাথে এক কোম্পানিতে চাকরি করবো। জান্নাতেকে যখন বললাম চল ঢাকা যায় সে তখন বেকে বসলো। সে ঢাকা যাবে না চাকরিও করবে না। এখন চাচাকে কি বলবো, এত শখ করে দুইজনে সিভি দিলোম। এখন যদি না যায় তাহলে তিনি কি ভাববেন, তাই মনটা খারাপ করে বাধ্য হয়ে আমি একাই ঢাকা আসলাম।
পরের গল্পটা দ্বিতীয় পর্বে আসতেছে ধন্যবাদ।
Hello friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
আসলে ভালো ছাত্র হলেই যে সে সব সময় পরীক্ষায় ভালো করবে এটা কিন্তু ঠিক নয়। পরীক্ষার বিষয়টি এমনই একটা বিষয় সেখানে যে সব থেকে বেশি স্বাচ্ছন্দের সাথে লিখতে পারবে সেই ভালো নম্বর পাবে। আর বলছেন সে চাকরিতে না আসায় আপনার মন খারাপ হয়ে গেল কিন্তু বিষয় কি জানেন ভাইয়া মানুষের জীবন সবসময়ই একা চলতে হয়। যতই প্রিয় বন্ধু হোক না কেন কোন না কোন সময় তাদেরকে নিজেদের সুবিধার্থে পথ আলাদা করে নিতেই হয়।
জী ভাইয়া দিন শেষে সবাই একা। তাই একাই চলে এসেছি। আর পরিক্ষার দিন যে ভাল লিখতে পারে সেই ভাল রেজাল্ট করে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার গল্পটি সুন্দর ছিল। দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। আপনাকে অভিনন্দন একাই চলে এসেছেন বন্ধুকে রেখে চাকরির জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া তাকে অনেক রিকুয়েষ্ট করেছি আসার জন্য কিন্তুু আসে নাই। তাই একাই চলে এলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আমাদের যত প্রিয় বন্ধই হোক না কেন কখনো চাইলে একসাথে চলা যায় না কোন না কোন কারণে পথ আলাদা করতেই হয়। আর রেজাল্ট যে সব সময় ভালো হবে তা কিন্তু না, কিন্তু তারপরেও সকলে চেষ্টা করতে হবে। রেজাল্ট খারাপ করলে বাবা মায়েরা একটু বকাঝকা করে। জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন জান্নাত পরে ঢাকায় যাবেনা শুনে আসলে আমার কাছে একটু খারাপ লাগলো।