“কাইকারটেক” ভ্রমনের প্রথম পর্ব ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি যখন পোষ্টি লিখছিলাম তখন বাহির প্রচুর পরিমাণ বাতাস আর বৃষ্টি হচ্ছিলো। রাস্তায় অনেক পানি জমে গিয়েছে। সকালে বৃষ্টিতে ভিজে অফিসে এসেছি। দুপুরে খাবার খেতে গিয়ে এমন ভাবে ভিজে গেছি যে সন্ধা হয়ে গেছে তারপরও শার্ট পেন্ট শুকায়নি। যায়হোক যে যেখানে থাকেন সতর্ক থাকবেন। চলুন আজকে আপনাদের সাথে একটি ভ্রমন কাহিনী সেয়ার করি।
গত শুক্রবারে আমার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় দিনটি আমি খুব ভাল ভাবে কাটিয়েছি। শুক্রবারের প্রথম অংশটা তেমন ভাল কাটেনি,বৈরিং বৈরিং ভাব ছিল। সকালের অংশটা সুয়ে বসেই কাটিয়েছি। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে গোসল করে জুম্মার নামাজ পড়তে চলে গেলাম। যথা সময়ে জুম্মার নামায শেষ করে বাসায় এসে খাবার খেলাম। শুক্রবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে, তাই খাওয়া দাওয়া একটু ভালই হয়। খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে বিছানার উপরে শরীরটা ছেড়ে দিলাম। আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে আমার এক ফ্রেন্ড আমাকে ফোন দিয়ে বলে তারাতারি দরগাহ বাড়ির মসজিদের সামনে আসতে। আমি বললাম কি হয়েছে,হঠাৎ এত জরুরী তলব। সে বললো আগে তারাতারি আয়, পরে বলতেছি। আমি বিছানা ছেড়ে উঠে হাত মুখটা ধোয়ে একটি টি-শার্ট পড়ে বের হয়ে গেলাম। গিয়ে দেখি আমার ফ্রেন্ডের সাথে তার এক বড় ভাইয়াও দাড়িয়ে আছে। আমি বললাম কি ব্যাপার কোথায় যাওয়া হবে। সে বললো চল আজকে তোকে একটি নতুন জায়াগায় নিয়ে যাবো। আমি বললাম কোথায়, সে বললো “কাইকারটেক”। আমি বললাম সেটা আবার কোথায় সে বললো চলো নিয়ে যাচ্ছি।
আমরা তিনজন দরগাহ বাড়ির মসজিদ থেকে দুইতিন মিনিট হেটে শিবু মার্কেটে গিয়ে একটি অটোতে উঠলাম। অটোর ভাড়া হলো জনপ্রতি পনের টাকা। আমারা তিনজন মিলে একটি অটোতে উঠে বললাম মামা চলো তিনজন যাবো পঞ্চাশ টাকা দিবো। সে আমরা তিনজনকে নিয়েই অটো ছেড়ে দিলো। প্রায় দশ মিনিট অতিক্রম করার পর অটো মামা আমাদেরকে হাজীগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে নামিয়ে দিলো। হাজীগঞ্জ লঞ্চ ঘাটে অনেক মানুষ আর হরেক রকম দোকান দেখলাম। দোকান গুলোতে খুব কমন জিনিষ বিক্রয় করতেছে। কেউ ফুচকা বিক্রয় করে,কেউ আইসক্রিম,কেউ চা,কফি, পান, বিড়ি সিগারেট আবার কেউ বাচ্ছাদের খেলনা, ফল মূল এসব বিক্রয় করতেছে।
আমি আমার ফ্রেন্ডকে বললাম এখন কোথায় যাবো, সে বললো নদী পার হয়ে ঐপারে যেতে হবে। আমাদের সামনে যে নদীটি দেখতে পাচ্ছেন এই নদীটির নাম হলো শীতলক্ষা নদী। সারা বাংলাদেশে শীতলক্ষা নদীর অনেক সুনাম রয়েছে। কারন এই শীতলক্ষা নদী দিয়ে অনেক মালবাহী জাহাজ আসা যাওয়া করে। কয়েকদিন আগে এই নদীতেই তিন জন জোয়ান ছেলে পানিতে ডুবে মারা যায়। ঐ ঘটনাটিও আপনাদের সাথে সেয়ার করেছিলাম। এখান থেকে তিন ভাবে নদী পার হয়ে ও পারে যাওয়া যায়। প্রথমত রয়েছে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা, দ্বিতীয় রয়েছে টলার আর তৃতীয় রয়েছে ফেরি। ফেরিতে গেলে ফ্রী কোন টাকা পয়সা লাগে না। তবে একটু সময় বেশি লাগে। আর টলারে গেলে গেইটে জনপ্রতি দুইটাকা করে দিতে হয়। আর ডিঙ্গি নৌকায় গেলে সেটা পারসোনাল যার থেকে যত টাকা নিতে পারে। সেটার নির্ধারিত কোন ভাড়া নাই। ফটোগ্রাফিতে যেই গেইটটি দেখা যায় আমরা সেই গেইটটি দিয়ে ঘাটে প্রবেশ করলাম। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমরা টলারে করে যাবো। তাই তিনজন ছয়টাকা দিয়ে ঘাটে গিয়ে টলারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।
আমাদের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই টলার চলে আসলো। আমাদের মত আরো অনেক মানুষ দাড়িয়ে ছিল। টলার আসার সাথে সাথে সবাই সবাই লাফিয়ে লাফিয়ে টলারে উঠে গেলাম। টলারে উঠে কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিলাম। আমি যে প্রথম ছবিটা সেয়ার করেছি সেটা টলার উঠার পরে তুলে ছিলাম। আমরা নদীর মাঝ খানে এসে দেখেছি অনেক গুলো মালবাহি জাহাজ আনলোডের অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে। আমরা যে জায়গা থেকে টলারে উঠেছি সেখানে একটি সেতু হওয়ার কথা থাকলেও ধীর্ঘ দিন অতিক্রম হওয়ার পরও সেখানে কোন সেতু হচ্ছে না। কিছুক্ষনের মাঝেই আমরা ওপারে চলে গেলাম।
ওপারের গল্পটা দ্বিতীয় পর্বে সেয়ার করবো।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ক্যামেরা | রেডমি নোট-৬ প্রো |
স্থান | হাজীগঞ্জ লঞ্চ ঘাট,নারায়ণগঞ্জ |
তারিখ | ২১-১০-২০২২ |
সময় | ৫.৩০PM |
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
ঘাটে জনপ্রতি দুই টাকা শুনে কিছুটা অবাক হলাম। যদিও ঘাটে এরকমই টাকা নেয়। কয়েকদিন আগে আমি চট্টগ্রাম গিয়ে কর্ণফুলী নদীর পার হওয়ার জন্য ঘাটে তিন টাকা করে নিয়েছিল। তখনই বুঝতে পারলাম যে ঘাটে আসলে এই রকমই টাকা নেয়। পানিপথে এই ধরনের ভ্রমণগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনারা সবাই মিলে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। ফটোগ্রাফি গুলো খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
শুক্রবার মানেই আরাম আর ভালো ভালো খাবার। জম্মার নামাজ পড়ে খেয়ে ঘুরতে বেড়িয়ে পড়লেন তার মানে দিনটি বেশ ভালোই কাটিয়েছেন। নদীতে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে সেই সাথে ভয়ও লাগে। কেন বন্ধু আপনাকে তড়িঘড়ি করে ডেকে কোথায় নিয়ে গেলো সেই বিষয়টি এখনো জানতে পারলাম না আশাকরি আগামীতে পর্বে জানতে পারবো সেই অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দেখে মনে হচ্ছে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন। আপনাকে ঠিকই বলেছেন সারা বাংলাদেশের শীতলক্ষা নদীর অনেক সুনাম রয়েছে। নদীতে ঘোরাঘুরি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। একটু বেশি ভালো লাগে পুরো নদীতে ঘুরতে। খুবই মনমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি ও করেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল আপনার পোস্ট।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভেজা কাপড় নিয়ে অর্ধেক বেলা ছিলেন অসুস্থ হয়ে যাওয়ার কথা তো। শুক্রবারের দিন একটু ভালো-মন্দ খেয়ে ঘুম দিলেন বন্ধুর ফোনের জন্য ঘুমটাও শেষ করতে পারলেন না। যাক বন্ধুর সঙ্গে খুব ভালো জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। ট্রলারে করে এত মানুষ একসঙ্গে ওঠা খুবই রিক্স। মাত্র ২ টাকা দিয়ে পার হয়ে গেলেন। ২ টাকায় এখনকার যুগে কিছু হয় নাকি। যাইহোক আশা করি ভালো সময় কাটিয়েছিলেন।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.