কিছু সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
পৃথিবীতে অনেক ধরনের খাবার রয়েছে, সব ধরনের খাবার হয়তো আমাদের দেশে গব খাওয়া হয়না। দেশ জাতি বর্ণ ভেদে বিভিন্ন খাবার দেখা যায়। অনেক দেশ-জাতি বর্ণের মানুষ যে খাবার গুলো নিজেদের প্রিয় খাবার মনে করে খায়, সে খাবারগুলো হয়তো আমাদের পছন্দ হবে না। আবার আমরা যে খাবারগুলো প্রিয় মনে করে খায় সেগুলো হয়তো তাদের পছন্দ হবে না। আবার একই জিনিস আমরা যেই পদ্ধতিতে রান্না করে খেয়ে থাকি,তারা আবার অন্য পদ্ধতিতে খেয়ে থাকে। অনলাইন অথবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা একই খাবার বিভিন্ন পদ্ধতিতে খেতে দেখি।
আজকে আমি আপনাদের নিকট এমন কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো,যেগুলো আমাদের দেশের সাধারণ পদ্ধতিতে রান্না করে খাওয়া হয়। এই খাবারগুলোতে সাধারণত ভিন্নতা দেখা যায় না। তারপরও কেউ যদি ইচ্ছে করে ভিন্নভাবে রান্না করে খেতে পারে। চলুন তাহলে আমার ঝুড়িতে কি কি খাবারের ফটোগ্রাফি রয়েছে সেগুলো এক নজর দেখে আসা যাক।
এখানে যে ফটোগ্রাফিটা দেখতে পাচ্ছেন,সেটি হল পাস্তা। এই খাবারটি সম্পূর্ণরূপে একটি বিদেশি খাবার। কালের বিবর্তনে ধীরে ধীরে এই খাবারটি আমাদের সংস্কৃতির সাথে যুক্ত হয়েছে। প্রায় সময় আমরা এই খাবারটি খেয়ে থাকি। নুডুলসের পরিবর্তে এই পাস্তাটি খেয়ে থাকে। তবে আমি মনে করি পাস্তা থেকে নুডুলসের স্বাদ অনেক গুনে বেশি। গতকালকে সন্ধ্যার দিকে এই খাবারটি খাওয়ার সময় ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম।
এখানে যে ফটোগ্রাফি টা দেখতে পাচ্ছেন সেটি একটি কেকের ফটোগ্রাফি। কেকটি মোটামুটি অনেক বড়। বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে এক কেকটি বাড়ানো হয়েছে। যেমন ময়দা,ডিম, কাজুবাদাম, তেলসহ আরো অনেক কিছু। আমি এই কেকটিকে কয়েকটা ভাগ করেছি। তবে সত্যি কথা হল আমি তেমন কেক খেতে পারি না। অল্প একটু খেলেই আমার পেট ভরে যায়।
আমাদের গ্রামের ভাষায় এই পিঠাটিকে সিটা পিঠা বলা হয়। যেহেতু কড়াইয়ের মধ্যে হালকা তেল দিয়ে হাত দিয়ে ছিটিয়ে ছিটিয়ে এই পিঠাগুলো বাড়ানো হয় তাই এগুলোকে ছিটা পিটা বলা হয়। এলাকাভিত্তিক এই পিঠা গুলোকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে। কার এলাকায় কি নামে ডাকা হয় সেটা জানতে খুবই আগ্রহী।
এখানে উপরে যে ফটোগ্রাফি টা দেখতে পাচ্ছেন এটি হলো আমাদের দেশের অতি প্রিয় খাবার সেমাই। এই সেমাইকে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন স্টাইলে মানুষ রান্না করে খেয়ে থাকে। কেউ শুকনা শুকনা করে খাই, কেউ দুধ দিয়ে ভিজেয়ে ভিজিয়ে খায়,আবার কেউ চাকা চাকা করে খায়।অর্থাৎ যার যেভাবে ইচ্ছা সেভাবেই এই সেমাইটা রান্না করা যায়। মার্কেটে সেমাই আবার কয়েক কালারের কয়েক প্রকারের রয়েছে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি মাংসের রেসিপির ফটোগ্রাফি। এটি হল দেশি মোরগের মাংস। আমাদের দেশে বেশ কয়েক প্রকারের মোরগ দেখা যায়। যথা দেশি মোরগ, টার্কি মোরগ,পাকিস্তানি মোরগ, পোল্ট্রি মুরগ এছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রকারের মোরগ থাকতে পারে, সেগুলোর নাম আমার এই মুহূর্তে জানা নেই। তবে সব থেকে মজা হল আমাদের দেশি মোরগের মাংস।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন একটি রুই মাছের রেসিপি ফটোগ্রাফি। এই রুই মাছটির ওজন ছিল সাড়ে তিন কেজির উপরে। এটি কোন চাষের রুই মাছ ছিল না, সরাসরি নদী থেকে তুলে আনা রুই মাছ। চাষের রুই মাছ থেকে নদীর রুই মাছ শতগুনে স্বাদ বেশি। ঢাকা শহরে সাধারণত নদীর রুই মাছ পাওয়া যায় না। নদী এলাকা অথবা গ্রাম থেকে দেখে নদীর রুই মাছ নিয়ে যেতে হয়।
বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিবো। আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি-53 |
শিরোনাম | কিছু সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি ।। |
স্থান | ভাদুঘর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ১১/ ১২ /২০২৩ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
এমন লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে জিভে জল আসা স্বাভাবিক। খাবার গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে পরিচিত করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দোয়া রইল আপনার জন্য।
জী ভাইয়া সব গুলো খাবার লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আপনি বেশ লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে পোস্ট সাজিয়েছেন। এধরনের খাবার গুলো দেখলে তো নিজেকে কন্ট্রোল করা খুব মুশকিল। আমার পছন্দের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
জী ভাইয়া খাবার গুলো সত্যিই লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ।
আমার এটাই মনে হয় আমরা মানুষ হিসেবে যেমন ভিন্ন ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করার আকাঙ্ক্ষাটাও ভিন্ন। এক এক জন একেক খাবার পছন্দ করে এক একজনের চাহিদাও ভিন্ন। যাইহোক খুবই মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বিশেষ করে আমার কাছে সেমাই এবং কেকের যাইহোক খুবই মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বিশেষ করে আমার কাছে সেমাই এবং কেকের রেসিপি তার ফটোগ্রাফি দেখে মনে হয়েছে এই দুটো রেসিপি অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া সেমাই আর কেকটা সত্যিই দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার প্রত্যেকটা রেসিপি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অতিশয় লোভনীয় মনে হয়েছে। কারণ এ জাতীয় রেসিপিগুলো চোখের সামনে উপস্থিত হলে যেন চোখ সরানো বড় কঠিন হয়ে যায়। যাই হোক প্রত্যেকটাই কিন্তু ছিল ভালো লাগার মত রেসিপি।
ভাইয়া এটা কোন রেসিপি না। ভিন্ন ধরনের কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। ধন্যবাদ।
সুস্বাদু খাবারের সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করে লোভ লাগিয়ে দিলেন ভাইয়া। ছিটা রুটি খেতে খুবই ভালো লাগে। ছিটা রুটি এবং দেশি মোরগের মাংস দেখে এখনি খেতে ইচ্ছা করছে। লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু আমাদের গ্রামের ভাষায় এটাকে ছিটা রুটি বলা হয়। খেতে দারুন লাগে। ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপনি দেশ জাতি বর্ণ ভেদে খাবারের আইটেমগুলো ও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
তবে বাঙালি খাবার গুলো কিন্তু সবার মধ্যে অন্যতম।
আপনার পোষ্টের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি খুব লোভ হয়ে পড়ে গেলাম।
এত এত মজার খাবার দেখে ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।
জী ভাইয়া বাঙ্গালীদের খাবার সবার থেকে আলাদা। কারো সাথে মিলে না। ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমরা সচারচর যে খাবারগুলো খেয়ে অভ্যস্ত অন্যরকম খাবার খেতে হলে বিপদে পড়তে হয়। ঠিক যেমন ইন্ডিয়াতে গিয়ে আমাদের অবস্থা এরকম হয়েছিল। যাইহোক আপনার আজকের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। ছিটা রুটি দেখে আম্মাকে ছিটা রুটি বানানোর কথা বললাম। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু সবাইতো সব খাবার খেতে পারে না। তাই এমন হয়। ধন্যবাদ।
এতো সুন্দর রেসিপির কেউ দেয়। আপনার রেসিপি ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। আসলে প্রতিটি রেসিপি অনেক লোভনীয় ছিল। মাংস ও সেমাই দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। যাইহোক ভাই আপনার প্রতি কি রেসিপি অনেক মজার ছিল ধন্যবাদ আপনাকে বেশ কিছু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু এগুলো কোন রেসিপি টা। প্রত্যেকটা বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ।
আপনি তো দেখছি আমার সব প্রিয় খাবারের ফটোগ্রাফি করে আজকে শেয়ার করেছেন। আমার পছন্দের খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি দেখেই খেয়ে নিতে ইচ্ছে করতেছে। বিশেষ করে ফুচকা, পাস্তা, মাংস এবং মাছ আমার একটু বেশি পছন্দের। আপনি বলুন পছন্দের খাবারের ফটোগ্রাফি দেখলে লোভ তো লাগবেই। একেবারে লোভনীয় ছিল প্রত্যেকটা খাবার। সব খাবারের ফটোগ্রাফি সুন্দর করেই করেছেন।
আপু আপু ফুচকাটা স্পেশাল ছিল। খুবেই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ।