কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।।
হ্যালো বন্ধুরা,আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাাফি শেয়ার করবো। আশা করি ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের নিকট অনেক ভালো লাগবে।
ফটোগ্রাফি আমার শখ। সেই শখ থেকেই প্রায় সাতশোর মত ফটোগ্রাফি আমার পারসোনাল একটি ফোল্ডারে জমা হয়েছে। প্রতিদিন সেই ফোল্ডারে কিছু না কিছু ফটোগ্রাফি জমা হয়। সেখান থেকেই আজকে কিছু ফটো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। ধীরে ধীরে সব গুলো ফটোগ্রাফি দেখতে পারবেন। আমাদের মাঝে অনেক মেম্বার রয়েছে তারা অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে থাকে। তাদের নিখুঁত কাজ দেখে ফটোগ্রাফি করার উৎসাহ বাড়ে।
আজকে আমার জুড়িতে বেশ কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি রয়েছে। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির পিছনে বিশাল বড় বড় ইতিহাস রয়েছে। সব গুলোর বিস্তারিত বর্ণনা হয়তো দেওয়া সম্ভব হবে না। কারন তখন লেখা অনেক বেশি হয়ে যাবে। তাই যথা সম্ভব যে টুকু না বললেই নয় ততটুকু বর্ণনা করার চেষ্টা করবো। অল্প লেখার মাধ্যমেই আপনার সব কিছু বুঝতে পারবেন।
Date-10-10-23
Location
প্রথমেই যে ফটেগ্রাফিটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা হলো লাড্ডু। এই লাড্ডুর মধ্যে বিভিন্ন উপকরন ব্যবহার করা হয়েছে। সব থেকে বেশি স্বাদের উপকরনটা হলো কাজু বাদাম। আপনারা জানেন যে কাজু বাদামে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে। এছাড়াও আটা ময়দা,চিনি ও একটি ফুড কালার ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফিটা আমি নিয়েছি আমাদের বাসার পাশের একটি মসজিদ মার্কেট থেকে। অনেক মানুষ এই লাড্ডু কিনে নিয়ে তাবারক হিসাবে বিতরন করে থাকে। এই লাড্ডু গুলো থেকে ভীষন স্বাদ লাগে।
Date-15-08-23
Location
উপরে দুইটি ট্রেনের রাস্তা দেখতে পাচ্ছেন। ট্রেনের রাস্তার ফটোগ্রাফি করার পিছনে ভয়ংকর একটি কারন রয়েছে। আমি যেখানে থেকে ফটোগ্রাফিটা করেছি তার একটু সামনেই রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। আমি একদিন ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়ে ট্রেন থেকে স্টেশনে নেমে বাম পাশের ট্রেন লাইনের উপর দিয়ে হেটে আসতে ছিলাম। এই জাগায় আসার পরে হঠাৎ করে সামনের দিক থেকে একটি ট্রেন চলে আসে। আমি তখন সাথে সাথে লাফ দিয়ে ট্রেন লাইন থেকে সরে যায়। পাথরের উপরে পড়ে গেলেও তেমন ব্যথা পায়নি। সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানি ছিল, তাই সেদিন বেঁচে গেছিলাম। জায়গটা ফটোগ্রাফি করে স্মৃতির পাতায় রেখে দিয়েছি।
Date-10-10-23
Location
উপরের ফটোগ্রাফিতে কিছু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতে পাচ্ছেন। আর সে গুলো আঁচার। আচার দেখলে সকলের জিহ্বেই জল চলে আসে। এই মামার কাছে সর্বমোট ত্রিশ প্রকারের আচাঁর রয়েছে। বর্তমানে যে কোন মানুষের জমায়েত স্থানে আচাঁরের দোকান দেখা যায়। আর এই আচাঁর মানুষ প্রচুর খেয়ে থাকে। আমি মাত্র পাচঁ ছয়টি আচারের নাম জানি। কত রকমনের আচাঁরের নাম রয়েছে,শুনলে হাঁসি পায়।
Date-09-11-23
Location
বলুন তো এগুলো কি...। আমি জানি অনেকেই গুলো কি সেটা বলতে পারবেন না। এগুলো হলো আইস বা বরফ। এই ফটোগ্রাফিটা আমি যাত্রাবাড়ি আড়ৎ থেকে নিয়েছিলাম। বিশাল বড় বড় বরফের টুকরো ভ্যানগাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিলো। এগুলো গুড়ো করে মাছের উপরে দিয়ে সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাছ পাঠানো হয়। মাছকে তরতাজা রাখার জন্য এই বরফ ব্যবহার করা হয়। পানিকে প্রযুক্তির মাধ্যমে শক্ত করে আইস বানানো হয়।
Date-26-02-24
Location
এই ফটোগ্রাফি টা গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে নিয়েছিলাম। গত কাল সেখানে বিপিএল খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। এই বিষয়ে বিস্তারিত একটি ব্লগ শেয়ার করবো। স্টেডিয়ামের চার পাশে এমন বিশাল বড় বড় বেলুন উড়তে দেখা যায়। বেলুনের গায়ে বড় করে বিপিএল লেখা রয়েছে। জিনিষটা দেখে আমার কাছে দারুন লেগেছিল। তাই ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
Date-10-10-23
Location
এই ফটোগ্রাফিটা কালের স্বাক্ষী হয়ে রয়েছে। আপনাদের হয়তো মনে আছে আমি বাসার গ্যাসের প্রবলেম নিয়ে আপনাদের সাথে একটি ব্লগ শেয়ার করেছিলাম। গ্যাস না থাকার কারনে কয়েকজন পরিবার মিলে লাকড়ি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খেয়েছিল। আমার বাসার নিচে রান্না বান্না হয়েছিল। আমি জানালা দিয়ে ফটোগ্রাফিটা করেছিলাম। কত স্মৃতি কত জাগায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আজকে কিছু আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | কিছু এলোমেলো ফটোগ্রাফি।। |
পোষ্ট তারিখ | ২৭/০২/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
বরাবরের মতোই ফটোগ্রাফি পোস্টগুলি আমার পড়তে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন। ওয়াজ মাহফিল হলে আমরা এরকম দেখতে পায়। অনেকগুলি ছবি আপনি বেশ দুর্দান্তভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক ভালো লাগলো।
ফটোগ্রাফি পোস্টটি ভালো হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ আছে আজকের ফটোগ্রাফিটিতে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। তবে জানালা দিয়ে উপর থেকে তোলা, একটি পরিবারের গ্যাস সংকটের কারণে, বাসার বাইরে রান্নার ছবিটি বেশ ভালো লেগেছে। এই ছবিটি শুধু ছবি নয়, একটি পরিবারের গ্যাস বিড়ম্বনার সাক্ষী। ফটোগ্রাফি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার করা আজকের এলোমেলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কিছু ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্য দেখতে পেলাম। খাবারের দৃশ্যটি ভালো লেগেছে দেখে মনে হচ্ছে খাইতে পারলে আরো ভালো লাগতো। তাছাড়া অন্যান্য ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর করে ক্যামেরাবন্দি করেছেন। সব মিলিয়ে আপনার আজকের ফটোগ্রাফির আয়োজন সুন্দর ছিল।
সবগুলো ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া তবে সবথেকে যেটি ভালো লেগেছে সেটি হচ্ছে পেঙ্গুইন এবং লাড্ডুর ফটোগ্রাফি। কারণ লাড্ডু আমার ছেলের খুবই পছন্দ তাই সবাই ওকে ভালোবেসে লাড্ডু বলে ডাকে। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি এবং তার সাথে সুন্দর বর্ণনা শেয়ার করার জন্য।
ফটোগ্রাফি করতে আমারও খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলোতে বিভিন্ন সময়ের অনুভূতি দেখা যাচ্ছে। সবকিছুর শেষে কয়েকটা পরিবার নিয়ে সাময়িক গ্যাসের সমস্যা সমাধানের জন্য খিচুড়ি রান্না করে খেয়েছেন। এতে করে যেমন কিছুটা আনন্দ ছিল ঠিক তেমনি আপনাদের প্রয়োজনীয়তাও পূরণ হয়েছে।সবগুলো ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে ভাইয়া।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। আপনি ঠিক বলেছেন সব ফটোগ্রাফি সম্পূর্ণ বর্ণনা দেওয়া সম্ভব নয়। সত্যি লাড্ডু গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এর পাশাপাশি সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনি আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি এবং তার সাথে বর্ণনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিশেষ করে আচারগুলোর ফটোগ্রাফি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।
ভাইয়া আপনার বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন এখন যে কোন জায়গায় লোকজনের সমাগম হলে সেই জায়গায় বিভিন্ন রকমের আচার দেখা যায় ।এই মামার কাছে ত্রিশ রকমের আচার রয়েছে জেনে সত্যি ভিষণ অবাক হয়েছি। কেননা এখন বিভিন্ন ধরনের আচার পাওয়া যায় যেগুলোর নামই এর আগে জানতাম না। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে ট্রেনের রাস্তা ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন বিশেষ করে চার নম্বর ফটোগ্রাফি টা আমার অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে এবং সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।