কার্তিক মেলার শেষ পর্ব ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
দুইটি মাটির ব্যাংক নিয়ে ফিরলাম।।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। গতকাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে শুরু হয়েছে ফিফা বিশ্বকাপ-২০২২। ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হলে বাংলাদেশের মানুষের মনে আলাদা একটি আনন্দ বিরাজ করে। বিশেষ করে শিশু কিশোরদের মাঝে বেশি উত্তেজনা থাকে। এ বিষয়ে অন্য একদিন বিস্তারিত একটি পোষ্ট সেয়ার করবো। আজকে আমার কার্তিক মেলার দ্বিতীয় ও শেষ পর্বটা শেষ করে ফেলি। চলুন শুরু করা যাক।
Device-Redmi Not-8 - Date-09-11-2022 - Time-5.00pm
মেলাতে এত মানুষ ছিল যে কোথাও দাড়িয়ে যে একটি সেলফি তুলবো সেই জায়গাটা খুজে পাচ্ছিলাম না। অনেক্ষন পরে একটু খালি জায়গা পেয়ে দুইটি সেলফি নিয়েছিলাম। একটি সেলফি আগের পর্বে সেয়ার করেছিলাম আর আজকে একটি সেয়ার করলাম। আমি আগের পর্বে আপনাদের বলেছিলাম যে মেলাটি জমেছে একটি গ্রামের এক কোনায় তিতাস নদীর তীরে। যার কারনে আমার সেলফির পিছনের ব্যাকগ্রাউন্ডটা তেমন সুন্দর দেখা যায় না। যেমন ছবি তুলেছি তেমনেই পোষ্ট করে দিলাম,কোন ধরনের এডিট করি নাই।
Device-Redmi Not-8 - Date-09-11-2022 - Time-5.00pm
হঠাৎ করে আমার মনে হলো মেলাতে কি কি খাবার এসেছে দেখা যাক। সে জন্য আমি খাবারের দোকান গুলোর দিকে এগিয়ে গেলাম। দেখলাম বিভিন্ন ধরনের খাবার বিক্রয় করতেছে। এক লোককে দেখলাম জিলাপি তৈরী করতেছে। জিলিপি এক মজার মিষ্টি খাবার। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশে যথা ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশে এই মিষ্টান্নটি জনপ্রিয়। বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে জিলাপি পাওয়া যায় না। আরেক জাগায় দেখলাম বিন্নি ধানের খই, মুড়ি-মুড়কি বিক্রয় করতেছে। মেলাতে এমন এমন খাবার বিক্রয় করেতেছে যে গুলোর নামও আমি জানি না। মানুষের ভিড়ের কারনে ভাল করে ছবিও তুলতে পারতেছি না। যায়হোক আমি মেলা থেকে কোন খাবার দাবাড় কিনি নাই।
Device-Redmi Not-8 - Date-09-11-2022 - Time-5.00pm
তারপর এক জাগায় দেখলাম মাটির তৈরী বিভিন্ন জিনিষ পত্র যেমন- মাটির তৈরী গরু, ঘোড়া, খরগোশ, বাচ্ছাদের খেলনার চুলা,কড়াই, হাড়ি-পাতিল, বড় বড় মাটির ব্যাংক সহ আরো অনেক কিছু। বাচ্ছারা মেলার আগে টাকা জমিয়ে মেলা থেকে এসব খেলনার জিনিষ ক্রয় করে থাকে। পৃথিবীতে ভ্রমন করলে দেখা যায় পৃথিবীর আজব মানুষেরা কত আজব আজব জিনিষ পত্র তৈরী করে। মেলাটির পাশেই রয়েছে কুমার পাড়া,যার কারনে মাটির তৈরী জিনিস পত্র বেশি দেখতে পেলাম। আরেকবার গেলে কুমারদের মৃৎশিল্প নিয়ে বড় একটি পোষ্ট সেয়ার করবো।
Device-Redmi Not-8 - Date-09-11-2022 - Time-5.00pm
মেলাতে যখন এত কষ্ট করে এলাম কিছুতো নিয়ে যেতে হবে। সবাই মেলা থেকে কিছু না কিছু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। আমি খালি হাতে গেলে কেমন দেখা যায়। তাই আমি বড় বড় দুইটি মাটির ব্যাংক কিনে নিয়ে গেলাম। একটি আমি নিজের বাড়িতে নিয়ে গেলাম। আর একটি আমার খালতো বোনকে দিয়ে দিলাম। আমার খালতো বোন এত বড় মাটির ব্যাংক দেখে হাসতে হাসতে শেষ। এই ব্যাংক টাকা দিয়ে পূর্ণ করতে করতে নাকি তার জীবন শেষ হয়ে যাবে। ব্যাংক গুলো বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর মানি ব্যাগ থেকে দুইটি পয়সা বের করে দুইটি ব্যাংকে জমা করে দিলাম। মনে মনে ভেবেছিলাম ঢাকা আসার সময় একটি ব্যাংক সাথে করে নিয়ে আসবো। কিন্তুু এত ওজন ছিল, যার কারনে আসার সময় আর আনতে মন চাইলো না। আবার গাড়ির ঝাঁকিতে ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার শেয়ার করা কার্তিক মেলার দ্বিতীয় পর্ব /শেষ পর্ব অনেক সুন্দর ছিল।জিলাপি আমার খুব ভালো লাগে বিশেষ করে গুড়ের তৈরি জিলাপী।মেলায় হরেক রকমের খেলনা দেখে আমার ছোট কালের কথা মনে পড়ে গেছে।মাটির ব্যাংক গুলো এত বড় হলে আমার ভালো লাগে না।ছোট হলে ভালো কারণ আমি এতদিন সহ্য করতে পারি না টাকা জমিয়ে তাড়াতাড়ি নিয়ে ফেলতে হয়।
আপু বড় ব্যাংক থাকলে বেশি টাকা হবে.......... হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
কার্তিক মেলার শেষ পর্ব করেছেন দেখে খুবই খারাপ লাগলো। কারণ আপনার মেলার পর্বগুলো আমার কাছে পড়তে অনেক ভালো লাগতো। যাই হোক আপনি মেলাতে ঘুরে ঘুরে অনেক কিছুই দেখতে এবং শিখতে পারলেন। বিশেষ করে কিছু না কিনে চলে আসেননি দেখে আরো ভালো লাগলো। অন্তত দুটো মাটির ব্যাংক কিনে নিয়ে আসলেন। ছোটবেলায় আমরা অন্য মেলায় গিয়ে মাটির ব্যাংক কিনে নিয়ে আসতাম। আমি আর আমার খালাতো বোন এরকম মাটির ব্যাংকের মধ্যে টাকা জমাতাম। আপনার পোস্টটি আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
জী আপু খালি হাতে আসলে কেমন লাগে তাই দুটি মাটির ব্যাংক নিয়ে আসলাম। টাকা জমিয়ে বড় লোক হয়ে যাবো, হি হি হি। ধন্যবাদ আপু।
আপনার শেয়ার করা কার্তিক মেলার শেষ পর্ব অনেক সুন্দর ছিল। মাটির দুইটি ব্যাংক কিনে অনেক ভালো করেছেন। কারণ সেখানে ভবিষ্যতের জন্য কিছু অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। ছোটবেলায় আমিও একটি মাটির ব্যাংক কিনে নিয়ে এসেছিলাম।তবে একটি কথা ভাই গুড়ের জিলাপি আমার খেতে বেশ ভালো লাগে।তবে শীতের সময় সকালে বেশি মজা লাগে খেতে।মেলায় অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন এবং খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া গুড়ের জিলাপি সত্যিই অনেক মজা। তাই মেলাতে জিলাপির দোকানে অনেক ভিড় ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এরকম মেলার আয়োজন অনেকদিন চোখে পড়ে না আমার। খুব মিস করি গ্রামের এই মেলাগুলো। আর মেলার কথা উঠলেই জিলাপি যেন চোখের সামনে ভেসে উঠে 😅। কখনো মিস করি না জিলাপি খেতে। আপনার কেনা মাটির ব্যাংক দেখে আমারও ছোটবেলার কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল। এরকম ব্যাঙ্ক আমিও মেলা থেকে কিনতাম, টাকা ফেলতাম ঠিকই, মাটির যে ছিদ্র দিয়ে টাকা ফেলতে হয় সেখানে লোহা দিয়ে আরেকটু বড় করে নিতাম ছিদ্রটা। যখনই টাকার দরকার পড়তো তখনই বের করে নিতাম 😅। ওখানে বেশিরভাগ টাকা ফেলত আমার দিদি। ব্যাংক ভাঙ্গার পরে দেখতো টাকা অর্ধেক হয়ে আছে 😉। সে কি বকুনি !! হিহিহিহি। ভালো লাগলো ভাইয়া পোস্টটা দেখে।
জী ভাইয়া ব্যাংকে টাকা জমানোর ধৈর্য আমারও নাই, যে করেই হোক বের করে ফেলতাম, হি হি হি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কার্তিক মেলায় আপনার শেষ পর্বটিও দেখতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। মেলায় তৈরি মাটির জিনিসপত্র আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। মাটির তৈরি ছোট ছোট হাড়ি পাতিল, পশুপাখি, দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। আপনি খুব সুন্দর সুন্দর দুটি মাটির ব্যাংক এনেছেন। খুব সুন্দর লাগছে একটা আমার জন্য পাঠিয়ে দিতেন 🤪।
আপু ঠিকানা দেন একটি পাঠিয়ে দিচ্ছি, হি হি হি।
মেলা ঘুরে দ্বিতীয় পর্বের ফটোগ্রাফি গুলা অসাধারণ ছিল বিশেষ করে মৃৎশিল্পের অনেক গুলো চিত্র দেখতে পেলাম।
ঠিকই বলেছেন আপনি বিশ্বকাপ উন্মাদনা শিশুদের মধ্যে বেশি ব্রাঞ্চ ম্যান। কেননা একটি জার্সি অথবা একটি নিজ দলের পতাকা পেলে তারা অনেক খুশি হয় যেমনটি দেখেছি আমি আমার ছোট ভাই কে।।
জী ভাইয়া পাড়া মহল্লায় হাটা যাচ্ছে না পতাকার কারনে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা চলে এসেছে। অনেক উন্মাদনায় মেতে উঠবে ফুটবল ভক্তরা। মেলার ঘুরতে ভালোই লাগে। মেলায় গরম গরম জিলাপি ভাজা খাইতে সেই লাগে। প্রথম পর্ব মিস করেছি। তবে ২য় পর্ব পড়ে নিলাম। যে ব্যাংক গুলো কিনেছেন সেগুলোতে টাকা জমিয়ে ভরে ফেলুন।