বাৎসরিক বনভোজন উপলক্ষে কক্সবাজার ভ্রমন- অন্তিম পর্ব।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। গত পর্বে আমি আপনাদের সাথে কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টের ফিশ ফ্রাই পর্বে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি সহ বর্ণনা শেয়ার করেছিলাম। আজকে ফিশ ফ্রাই সহ বিভিন্ন ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করে কক্সবাজার ভ্রমনের ইতি টানবো।
আমি বার্মিজ মার্কেট থেকে ফেরত এসে সন্ধার সময় দুইজন কলিগকে সাথে নিয়ে সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়েছিলাম। রাতের বেলা সাগরের গর্জন অনেক ভালো লাগে। যারা রাতে সাগরের গর্জন শুনে নাই, তারা সেই অনুভূতি বুঝতে পারবে না। আমি সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম। বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আগের পর্বে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আরো কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
উপরে অনেক গুলো সাগরের মাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। এখানে অনেক ধরনের মাছ রয়েছে। আমি কিছু কিছু মাছের নাম জানি, যেমন চিংড়ি, পোয়া, সুরমা, রুপচাঁদা মাছ। এছাড়াও অক্টোপাস ও কাঁকড়া রয়েছে। এখানে কেউ ইচ্ছে করলে আস্ত মাছ ফ্রাই করে খেতে পারে। আবার তারাও অগ্রিম কিছু মাছ ফ্রাই করে রাখে। কেউ খুচরো ভাবেও কিনে খেতে পারে, ৫০ টাকা ১০০ টাকার মাছও খেতে পারে। এখানে অনেক গুলো মাছ আছে, যে গুলোর নামও আমি জানি না। আপনাদের জানা থাকলে জানাবেন।
ফিশ ফ্রাই মার্কেট ঘুরে গেলাম ঝিনুক মার্কেটে। সেখানে গিয়ে তো মাথা নস্ট। ঘর সাজানোর হাজারো আইটেম রয়েছে। ঝিনুক দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস বানিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি দশ জোড়া কানের দুল নিয়েছিলাম। দুটি রকেট, দুটি ঝিনুক মালা আরো কিছু জিনিস এনেছিলাম। ঝিনুক বেশি আনলে কেমন যেন একটা গন্ধ করে। সে জন্য বেশি ঝিনুক আনি নাই।
কক্সবাজার থেকে রাত নয়টায় আমাদের গাড়ি ছাড়ার কথা ছিল, তবে ৩০ মিনিট লেইট করে ছেড়েছে। গাড়ি ছাড়ার আগে সবাই নিজেদের মত রাতের খাবার খেয়ে নিলো। আর যারা খেতে পারে নাই, তারা খাবার কিনে নিলো। রাত সাড়ে নয়টায় গাড়ি ছেড়েই ডলফিন জ্যামের মধ্যে আটকে গেলাম। প্রায় আধা ঘন্টা সময় সেখানে নষ্ট হয়েছে।
যায়হোক দশটার সময় আমরা কক্সবাজার শহর ত্যাগ করলাম। গাড়িতে আমি তেমন ঘুমাতে পারি না। তবে অনেকেই ঘুমিয়েছে। আমি ১৫/২০ মিনিট পর পর গুগল ম্যাপ দেখেছি আর কত দূর বাকি আছে। চৌদ্দগ্রাম গ্রাম এসে একটি রেস্টুরেন্টে যাত্রা বিরতি দিয়েছিল। সেখানে অনেকে ফ্রেশ হয়েছে, হালকা নাস্তা করেছে। ফ্রেশ হয়ে আবার গাড়ি ছুটলো নিজ গতিতে। আমাদের গাড়ি শেষ রাতের দিকে এসে ভালো স্পিডে চলে ছিল। কুমিল্লা পার হয়ে মুন্সিগঞ্জ এসে আমরা ফজরের আজান শুনেছিলাম। সূর্য উঠার আগেই সুস্থ ভাবে বাসায় ফিরেছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রিয়েলমি সি-৫৩ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
তারিখ | ১৭-০১-২০২৫ |
সময় | রাত ৮.৩০ মিনিট |
স্থান | সুগন্ধা পয়েন্ট,কক্সবাজার |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
@joniprins, [12/30/2024 3:52 PM]
Click Here For Join Heroism Discord Server
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
ওইগুলো অক্টোপাস নয় স্কুইড। গোল গোল রিং কেটে খাওয়া হয়। কক্সবাজারের মাছ বাজারে দেখছি বেশ বড় বড় সাইজের বাংড়া পাওয়া যায়। সম্ভবত আপনাদের ওদিকে নামটা আলাদা। এছাড়াও বেশ বড় সাইজের রানি মাছ রয়েছে দেখছি। এইসব মাছগুলো পুনাতেও পাওয়া যায় ভালই। ঝিনুকের তৈরি জিনিসগুলো খুব ভালো লাগলো দেখে। আমার আসলে এই ধরনের জিনিস গুলো খুবই পছন্দের। বাকি সমুদ্র সৈকতের ছবিটিও বেশ ভালো।
জী আপু সেখানে সমুদ্রের অনেক ধরনের মাছ পাওয়া যায়। আমি সবগুলো মাছের নাম জানিনা।
এই পর্বতে দারুন কিছু দৃশ্য শেয়ার করলেন। সত্যি কক্সবাজারে দৃশ্যগুলো আমার অনেক ভালো লাগে। আমি এখানকার স্থানীয় বলে নয় এমনিতেই অনেক সুন্দর একটি জায়গা। সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন বার্ষিক বনভোজনের ভ্রমণ কালে। কক্সবাজারের এমন পছন্দের দৃশ্য দেখতে পেয়েছি অনেক ভালো লাগলো।
জী কক্সবাজার সত্যি অনেক সুন্দর। একবার গেলে বারবার যেতে মন চায়।