বিরক্তি কাকে বলে ( ফানি পোষ্ট)
আসসালামুআলাইকু/ নমস্কার/ আদাব।
আজকে আপনাদের সাথে চমৎকার একটি পোষ্ট শেয়ার করবো।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে মজার একটি পোষ্ট শেয়ার করবো। আপনারা যদি পোষ্টি পড়েন তাহলে সেটার মজা বুঝতে পারবেন। চলুন শুরু করি।
একদিন এক অনুষ্ঠানের স্টেজে এক ভদ্র লোককে জিঙ্গেস করা হলো,আচ্ছা বলুন তো বিরক্তি কাকে বলে। তখন লোকটি একটু সময় চিন্তা করে বললো শুধু কি মুখে বলবো না কি বাস্তবে প্রমান করে দেখাবো। প্রশ্নদাতা বললো মুখেও বলবেন আবার বাস্তবে প্রমানও করে দেখাবেন। এবার ভদ্রলোক শুরু করলেন।
অনেক বছর আগে দুই জন লোক খুলনা থেকে হেঁটে বরিশালের দিকে যাত্রা শুরু করলেন। তারা ছিল আপন দুই ভাই। হাটতে হাটতে তারা বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় চলে গেল। সেখানে গিয়ে বড়ভাই বলল আমি আর যাবো না এখানেই থাকবো।কিন্তু ছোট ভাই থামেনি। সে হেঁটে হেটেঁ ভোলা জেলার লালমোহন এলাকায় চলে গেল। সেখানে গিয়ে জায়গাটা তার ভাল লেগে যায়। সে সেখানেই বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিলো। সেখানে গিয়ে এলাকার নাম অনুসারে তার নিজের নাম দিলো মোহন ফকির।
ফকিরা গিরি করে অনেক কষ্টে মোহন ফকির তার সংসার চালাতো। বিয়ের কয়েক বছর পর তার একটা ছেলে হলো। ছেলের নাম রাখলো লালন ফকির। লালন ফকির বড় হয়ে বিয়ে করলো। তার দুইটি ছেলে হলো নাম দিলো কালু ফকির,দলা ফকির। কালু ফকিরের দিনকাল ভালোই যাচ্ছিল।
এই পর্যায়ে এসে ভদ্রলোক দেখলেন অনুষ্ঠানে আসা দর্শকরা এক পলকে তার দিকে তাকিয়ে আছে। ভদ্রলোক কি বলছে সেটা খুব মনযোগ সহকারে শুনতেছে। এবার ভদ্রলোক সামনের দিকে বলতে লাগলেন।
একদিন লালমোহন এলাকার রাজা কালু ফকিরের একটি বিশেষ কাজে তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে গেল। কালু ফকির মিলিয়ে মিলিয়ে খুব সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারতো এবং বুদ্ধিও ভাল ছিল। রাজা খুশি হয়ে কালু ফকিরকে উপহার স্বরুপ কিছু জমি দিতে চাইলো। কালু ফকির বললো মাননীয় রাজা মহদয় আমাকে কোন এক নদীর মধ্য হতে কিছু জমি দিন। রাজা বললো ভাল জমি নেও নদীর মধ্যে কেন..? কালু ফকির বললো দয়া করে আমাকে নদীর মধ্যেই দিন। রাজা নদীর মধ্যেই বিশাল জায়গা নিয়ে কিছু জমি দিয়ে দিলো। কয়েক বছর পরে ঐ নদীতে চর জাগলো। এক সময় নদী বিলীন হয়ে চমৎকার আবাদি জমি হয়ে গেল। বিশাল এলাকায় চাষাবাদ করে কালু ফকিরের দিন কাল ভালই যাচ্ছে। একসময় তার দুই জন ছেলে হলো। চাঁন্দু সরকার, লালু সরকার। তাদের মধ্যে বড় ছেলেটা শিক্ষিত ছিল। একসময় তারা ফকির গিরি ছেড়ে দিলো। কিছুটা আধুনিক হয়েছে। চাঁন্দু সরকার সবার মাঝে একজন জ্ঞানী লোক হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। সম্পূর্ণ চর এলাকা তার অধীনেই পরিচালিত হতে লাগলো। চান্দুঁ সরকারের তিন ছেলে ছিল প্রথম জনের নাম হলো মনু সরকার আর দ্বিতীয় জনের নাম দুলু সরকার আর তৃতীয় জনের নাম ফালু সরকার।
এই পর্যায়ে এসে দর্শকদের মাথা একটু এলেমোলো হয়ে গেল। যার ফলে কয়েক জনের মাঝে বিরক্তিকর ভাব আসতে লাগলো।
চান্দুঁ সরকারে মৃত্যুর পরে চর এলাকার দায়িত্ব পালন করতে লাগলো তার বড় ছেলে মনু সরকারের । মনু সরকারের আবার চার ছেলে ছিল যাদের নাম হলো, ইজ্জত আলী, মন্নর আলী, কদ্দুস আলী, দিনার আলী। ইজ্জত আলীর ছিল আবার পাচঁ ছেলে তালেব মন্ডল,মহসিন মন্ডল, আর্জু মন্ডল,বির্জু মন্ডল,দানু মন্ডল। এবার কয়েকজন দর্শক বিরক্ত হয়ে অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে গেল।
তালেব মন্ডল আবার কিছুটা ধনী ছিল। তালেব মন্ডল ধনী হওয়ার কারনে তার কিছু শত্রু হয়ে গেল। শুরু হয়ে গেল তাদের ভাইয়ে ভাইয়ের মাঝে দন্ড। একসময় জগড়া করতে গিয়ে মহসিন মন্ডলের হাতে তালেব মন্ডল খুন হয়ে গেল। মহসিন মন্ডল চলে গেল জেলে। তালেব মন্ডলের আবার চার ছেলে ছিল, বেলু মিয়া,বাচ্চু মিয়া, দুলন মিয়া, নুরু মিয়া। ভদ্র লোক সামনের দিকে চেয়ে দেখলেন অর্ধেক দর্শক চলে গেছে।
দুলন মিয়ার আবার সাত ছেলে তারু মিয়া,শানু মিয়া,ইদ্রিস মিয়া,তাজু মিয়া,মলায় মিয়া,জাঙ্গু মিয়া,হারিস মিয়া। এই পর্যায়ে প্রশ্ন কর্তা দেখলেন অনুষ্ঠানের সব দর্শক অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে গেছে। তিনি ধৈর্য ধরে বসে রইলেন। ভদ্রলোক বললেন তারু মিয়া মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার ছিল পাচঁ ছেলে সোনায়,দানাই.........................
হঠাৎ করে প্রশ্ন কর্তা ভদ্রলোকের মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরে বললেন আল্লাহর দোহায় লাগে ভাই বন্ধ করেন, ভাই বন্ধ করেন।😂😂😂😂😂😂
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
হাহা হাহা হা আমার তো হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গিয়েছে তবুও হাসি থামাতে পারছি না। সত্যি এরকম বিরক্তিকর একটি বিষয়। ভদ্রলোকটি এটাই বুঝাতে চেয়েছিল কথার মাধ্যমে বিরক্তিকর বোঝানোর। তারু মিয়ার ছেলেদের নাম তো শুনলাম না। আচ্ছা এখানে আমার একটি প্রশ্ন আছে। সবার কি ছেলে হয়েছে কোন মেয়ে হয় নাই??হাহা। আসলে খুবই মজার একটি বিষয় যে পড়বে তার ই মাথা খারাপ হয়ে যাবে। ফকির, সরকার, আলী, মন্ডল, মিয়া আরো কত কি যে নাম আছে। প্রত্যেক নামের শেষে এই নামগুলো দেওয়ার কারণে বিরক্তি আসছিল। যাইহোক খুবই মজা পেয়েছি ধন্যবাদ।
জী আপু লোকটি কথার মাধ্যমে সবাইকে হাসিয়ে আবার বিরক্ত বানিয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
এই লোক এত নাম মনে রেখেছে কেমনে আর আপনি বা কেমনে মনে রাখছেন নাকি আপনিও আন্দাজে নামগুলো লিখেগিয়েছেন।ভাই আপনার কাছে প্রশ্ন আপনার এত নাম লিখতে বিরক্ত লাগেনি🤣🤣।লোকটা বেশ ভালোভাবেই উদাহরণ সহ ব্যাখা দিয়েছে।
আপু যারা স্টেজে কথা বলে তারা অনেক কিছু মুখস্ত করে রাখে। একটু হেসে ফেলেন,হা হা হা ধন্যবাদ আপু।
বিরক্তি কাকে বলে একেবারে উদাহরণসহ দারুণভাবে বুঝানো হয়েছে 😅😅। সত্যি একেবারে ফানি ছিল। আপনার পোস্ট পড়ে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো। একেবারে ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে অনেক সময় হয়তো এই ধরনের পোস্টগুলো পড়লে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী আপু বিরক্তি কাকে বলে একেবারে উদাহরণসহ বুঝিয়ে দিয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আপনি যদি তারু মিয়ার পাঁচ ছেলে এবং তাদের ছেলেদের কথা বলতেন তাহলে মনে হয় আমি ঘুরেই পড়ে যেতাম হাসতে হাসতে। এমনিতেই তো হাসতে হাসতে আমি একেবারেই ক্লান্ত। এখানে কত ফকিরের কথা সরকারের কথা মিয়া আরো কত কি বলে ফেলেছেন আপনি। আমি তো একেবারে গল্পটির মাঝেই হারিয়ে গিয়েছিলাম মনে হয় দর্শকদের মধ্যে আমিও একজন ছিলাম। কিন্তু আমি শেষ পর্যন্ত ছিলাম এটা কিন্তু সত্যি। যাইহোক দিনশেষে বিনোদন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
যাক ভাইয়া আপনি যে মাথা ঘুরে পড়ে যাননি এটাই অনেক বেশি,হা হা হা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিরক্তি যে কাকে বলে তাতো এই পোস্টটি যে পড়বে সেই বুঝতে পারবে। এই পোস্টটি পড়ে কেউ যদি আধাঘন্টা না হাসে তাহলে পয়সা ফেরত। এত ফকির মিয়া আরো কত নাম। এত নাম কি কারো মনে রাখার কথা? আপনিই বা কিভাবে এতগুলো নাম মনে রাখলেন? আরেকটি কথা খুব জানতে মন চাচ্ছে এখানে যে এত শত শত ছেলে হলো মেয়ে কি কারো হলো না?
আপু আপনি কয় ঘন্টা হাসলেন,সেটা আগে জানা দরকার। আর মেয়ে হয়েছে,তবে তাদের নাম উল্লেখ করা হয়নি। ধন্যবাদ আপু।