দেশি মুরগির মাংসের মজাদার রেসিপি।।
আসসালামুআলাইকু/ নমস্কার/ আদাব।
আজকে আপনাদের সাথে মজার একটি রেসিপি শেয়ার করবো।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আমি একটি মজার রেসিপি শেয়ার করবো। রেসিপিটি তৈরী করেছি গত কাল সন্ধার সময়। চলুন বিস্তারিত বর্ণনা করি।
আজকে দেশি মুরগির সাথে আলু দিয়ে মজাদার একটি রেসিপি তৈরী করেছি। গত কাল আমার এক বড় ভাইয়া এসেছে গ্রাম থেকে। আমার আম্মু আমার জন্য ভাইয়ার কাছে দুইটি দেশি মুরগি জবাই করে দিয়ে দিছে। আমি দুপুর দুইটার সময় সাইনবোর্ড থেকে গিয়ে মুরগি গুলো নিয়ে এসেছি। তারপর সন্ধার পরে অফিস থেকে গিয়ে শুরু হলো দেশি মুরগি রান্নার আয়োজন।
শুধু যে আমি একা রান্না করেছি তা না সাথে একজন হেলপার ছিল সেও আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। তরকারির মাঝে ঝোল দিতে গিয়ে আমি একটু বেশিই দিয়ে ফেলেছিলাম। যারফলে দীর্ঘ সময় চুলায় বসিয়ে রেখে তারপর ঝোলটা শুকিয়েছি। তবে তরকারির স্বাদ কিন্তুু কোন দিক দিয়ে কমে নাই। অনেক মজা হয়েছিলো।
এখন আমি রেসিপিটি তৈরী করার মূল প্রক্রিয়া গুলো শেয়ার করতে যাচ্ছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:

মুরগির মাংস | ৫০০ গ্রাম |
---|---|
আলু | দুইটি |
টমেটো | একটি |
পেয়াজ,রসুন কুচি | পরিমান মত |
কাঁচা মরিচ | পাঁচটি |
লবন | পরিমান মত |
তেল | পরিমান মত |
হলুদ | পরিমান মত |
আদা | পরিমান মত |
জিরার গুড়া | পরিমান মত |
লং,এলাচি | পরিমান মত |
তেজ পাতা,দারুচিনি | পরিমান মত |
আলু দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করার ধাপ সমূহ:
প্রথমে চুলার মধ্যে একটি ডেকচি বসিয়ে পরিমান মত তৈল দিয়ে দিলাম। তৈলটা গরম হওয়ার পর লং,এলাচি তেজ পাতা দিয়ে দিলাম।
তারপর আদা, হলুদ, লবন,মরিচ, পেঁয়াজ,রসুন সহ যাবতীয় সব মসলা দিয়ে দিলাম।
তারপর মসলার সাথে হালকা একটু পানি দিয়ে নাড়া দিলাম। মসলা গুলো একটু গরম হওয়ার পর মুরগির মাংস গুলো ডেকচিতে দিয়ে দিলাম।
তারপর মাংসটা কষিয়ে মোটামুটি ভাবে একটু সিদ্ধ হওয়ার পর আলু গুলো দিয়ে দিলাম।
তারপর সব কিছু ভালভবে মিক্স করে পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ডেকে দিলাম।
তারপর বিশ থেকে পঁচিশ মিনিট পরে দেখলাম সব কিছু ঠিকঠাক ভাবেই হচ্ছে। ঝোলের পরিমান ধীরে ধীরে কমিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
বন্ধুরা রান্না করতে করতে দশটা বেজে গেছিলো। ফ্রেশ হয়ে খাওয়া শুরু করে দিলাম। অনেক মজা হয়েছে।
আশা করি রেসিপিটা আপনাদের কাছে ভাল লাগবে। আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
মায়ের পাঠানো দেশি মুরগির মাংস তাহলে ভালোভাবেই খেয়েছেন। দেশি মুরগির মাংস এমনিতে খেতে অনেক টেস্টি। আপনি খুব সুন্দর করে রান্না করেছেন অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে।
জী ভাইয়া দেশি মুরগির স্বাদই আলাদা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
দেশি মুরগির মাংসের রেসিপি আমার ফেভারিট।
উফ্ দেখে জিহ্বায় জল চলে আসছে 😋
মাংসের পিস গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। কীভাবে এমন লোভনীয় রেসিপি তৈরি করতে হয় সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী ভাইয়া আমারও দেশি মুরগি অনেক ফেবারিট। ধন্যবাদ ভাইয়া।
মজাদার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। দেশি মুরগির মাংস আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আসলে ঢাকা শহরে দেশি মুরগির মাংস পাওয়া খুব কষ্টকর। আপনাকে বলবে দেশি কিন্তু বাড়িতে এসে দেখবেন পাকিস্তানি। আপনার মা পাঠিয়েছে জেনে ভালো লাগলো। রান্নার প্রসেস সমূহ দেখে লোভনীয় লাগছে।
জী ভাইয়া ঠিক বলেছেন ঢাকায় দেশি মুরগি পাওয়া কষ্টকর। তাই গ্রাম থেকে আনলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার দেশি মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে একেবারে।মুরগির মাংসের রেসিপির কালার কম্বিনেশন দেখে বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে রেসিপিটি। এরকম মজাদার রেসিপি গুলো দেখলে মনটা একেবারে ভরে যায়। মুরগির মাংস খেতে কম বেশি আমরা সবাই পছন্দ করি বিশেষ করে দেশি মুরগি।
জী আপু রেসিপিটা সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।
মায়ের ভালোবাসা বলে কথা সন্তানদের জন্য মায়ের ভালোবাসার কমতি থাকে না।অনেক কষ্ট করে আপনার জন্য গ্রাম থেকে দেশি মুরগি জবাই করে পাঠিয়েছেন আপনার মা শুনে অনেক ভালো লেগেছে।বেশ ভালো রান্না করেছেন দেশি মুরগির সাথে আলু দিয়ে অসাধারণ একটি রেসিপি।এভাবে দেশি মুরগি দিয়ে ভুনা করে খেতে বেশ ভালো লাগে।ঠিক বলছেন হেল্পার তো আছেই সাথে আপনিও আছেন দুইজনে মিলে বেশ জমিয়ে রান্না করছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে।
জী আপু আপনি ঠিকই বলেছেন,সন্তান যেখানেই থাকে না কেন মায়ের ভালবাসা কমে না। ধন্যবাদ আপু।
আপনি আমার খুবই ফেভারিট একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। এরকম মজাদার রেসিপি গুলো দেখলে আমার কাছে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগে। রেসিপির কালার কম্বিনেশনও খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে দেখে বুঝতে পারছি খুবই মজা করে খেয়েছেন এবং সুস্বাদু হয়েছে। আমার কাছে দেশি মুরগির মাংস খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। এমনিতে শহরের মানুষেরা দেশি মুরগি খেতে পারে না কারণ এরকম জায়গা গুলোতে দেশি মুরগি সহজে পাওয়া যায় না। সম্পূর্ণ রেসিপি ভালোই ছিল আপনার।
জী ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন,দেশি মুরগি সবসময় হাতের কাছে পাওয়া যায় না। পেলেও চিনা যায় না। তাই গ্রাম থেমে মা দিয়ে দিলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ওয়াও ভাইয়া আপনার দেশি মুরগির মাংসের রেসিপি রেসিপি পোস্ট দেখতে লোভনীয় লাগছে।খেতেও নিশ্চয় দারুন ছিল।আপনি রান্নার ধাপগুলো বেশ সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।এটা দেখে যে কেউ রেসিপিটি সহজেই তৈরি করে নিতে পারবে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু খেতে সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।
আপনার মা দিয়েছে সেই দেশি মুরগি রান্না করেছেন, অনেক মজা হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। তবে হেলপার রান্না করে না শুধু হেলপারি করে। সত্যি বলতে ভাইয়া দেশি মুরগির মজায় অন্যরকম। আপনার রেসিপি কালার দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতি প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু সন্তান যেখানেই থাকুক না কেন মায়ের ভালবাসা কমে না। ধন্যবাদ আপু।
দেশি মুরগির মাংসের রেসিপি দেখে তো লোভ সামলানো কঠিন হয়ে গেল ভাইয়া। রেসিপির কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। গরম ভাত কিংবা রুটির সাথে এই রেসিপিটা খেতে জোস লাগবে। প্রতিটি ধাপের বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন এবং পরিবেশনও চমৎকার হয়েছে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনি মনের কথাটা বললেন। গরম ভাত কিংবা রুটির সাথে এই রেসিপিটা খেতে জোস লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।