বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টো মার্কেটের পতন বিটকয়েন ও ইথেরিয়াম বড় ধস।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে আবারও বড় ধস নেমেছে। Bitcoin তথা BTC Etherium তথা ETH এই দুই শীর্ষ ডিজিটাল মুদ্রার দামে হঠাৎ করেই তীব্র পতন ঘটেছে। যার ফলে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ মুহূর্তেই হারিয়ে গেছে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে নিজেদের সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছেন।
২০২৫ সালের অক্টোবরের শুরুতে বিটকয়েনের দাম ১২৫,০০০ ডলার অতিক্রম করেছিল। কিন্তু মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে এর দাম নেমে এসেছে প্রায় ১০২,০০০ ডলারে, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন। অন্যদিকে, ইথেরিয়ামের দামও ৪৭০০ ডলার থেকে নেমে ৩৬০০ ডলার-এর নিচে চলে এসেছে।
এই পতনের ফলে শুধু ছোট বিনিয়োগকারীরাই নয়, বড় প্রতিষ্ঠান ও এক্সচেঞ্জগুলোও ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেক দেশেই ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে ট্রেডিং ভলিউম ৩০% পর্যন্ত কমে গেছে।
কেন ঘটছে এই পতন?
ক্রিপ্টোকারেন্সির দামের পতনের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে যথা-
আমেরিকার সুদের হার বৃদ্ধি: যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ আবারও সুদের হার বাড়িয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদে যেমন ডলার বা সরকারি বন্ডের টাকা সরিয়ে নিচ্ছেন, যা ক্রিপ্টো মার্কেটে তারল্য সংকট তৈরি করছে।
চীনের নতুন ক্রিপ্টো নিষেধাজ্ঞা:
চীন আবারও ক্রিপ্টো ট্রান্সঅ্যাকশনের ওপর কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে, যার ফলে এশিয়ান মার্কেটের বড় অংশ প্রভাবিত হয়েছে।বাজারে জল্পনা-কল্পনা ও ভয়:
সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো বিভিন্ন গুজব- যেমন বড় এক্সচেঞ্জ দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে বা নতুন রেগুলেশন আসছে। এই খবরগুলো বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করছে।AI ও ব্লকচেইন টেকনোলজিতে পরিবর্তন:
নতুন AI-চালিত আর্থিক সিস্টেমগুলো বাজারে প্রবেশ করছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। ভবিষ্যতে ব্লকচেইন কি টিকে থাকবে, এই প্রশ্ন উঠছে।
বিনিয়োগকারীদের মানসিক অবস্থা
বাজারের এই পতনের ফলে অনেক নতুন বিনিয়োগকারী বিশাল ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কেউ কেউ আতঙ্কে সব বিক্রি করে দিচ্ছেন। panic selling বেড়ে গেছে। আবার কেউ কেউ buy the dip নীতি মেনে দাম কম থাকতেই নতুন করে কিনছেন।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে- বাজারে এখন অনিশ্চয়তা খুব বেশি, তাই কেউই নিশ্চিত নন যে এই পতন কতদূর পর্যন্ত যাবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ক্রিপ্টো মার্কেটের এই ধস অস্থায়ী হতে পারে, কারণ এটি অতীতে অনেকবার এমন ধাক্কা সামলেছে। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা, কারণ এখন ক্রিপ্টো মার্কেট অনেক বেশি বড় ও বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত।
বিটকয়েনের এই পতন তার প্রাকৃতিক সাইকেলের অংশ। ইতিহাস বলে, বড় পতনের পরেই বড় উত্থান আসে। অন্যদিকে, কেউ কেউ সতর্ক করে দিচ্ছেন যে,
রেগুলেশন ও সরকারের কড়া নজরদারির কারণে ক্রিপ্টো মার্কেটের স্বাধীনতা সীমিত হচ্ছে, যা এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে।
বাজার পতনের এই সময়টিকে অনেকেই পরিশুদ্ধির সময়বা correction phase হিসেবে দেখছেন। দুর্বল প্রজেক্ট ও অবিশ্বস্ত কয়েনগুলো বাদ পড়বে, টিকবে শুধু শক্তিশালী ও বাস্তব প্রয়োগযোগ্য কয়েনগুলো।
আতঙ্কে বিক্রি না করে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত।বিনিয়োগের আগে বাজার বিশ্লেষণ করা জরুরি।
ক্রিপ্টোতে সর্বদা সেই অর্থই রাখুন, যা হারানোর সামর্থ্য আপনার আছে। দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন, কারণ বাজার সব সময় ওঠানামা করে।
ক্রিপ্টোকারেন্সির জগৎ এখনো নবীন ও পরিবর্তনশীল। পতন মানেই ধ্বংস নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের জন্য আরও শক্ত ভিত্তি তৈরি করার একটি সুযোগ। বিনিয়োগকারীদের উচিত আতঙ্ক নয়, জ্ঞান ও ধৈর্যের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া। কারণ ইতিহাস বলে, যারা ভয়কে জয় করতে পারে, তারাই ভবিষ্যতের সুযোগ ধরতে পারে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server