বরিশালের সব থেকে বড় পাচঁটি লঞ্চের ফটোগ্রাফি //১০% @shy-fox ৫% abb-school //
হ্যালো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ বাসি,কেমন আছেন সবাই, আশা করি মহান আল্লাহর মেহেরবানিতে ভাল আছেন। সর্বপ্রথম আমার বাংলা ব্লগের ফাউন্ডার ,এডমিন ও মডারেটর দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আজকে আপনাদের সামনে খুব সুন্দর একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গত কিছুদিন আগে আমার এক অফিসের কলিগের শশুড় বাড়ি থেকে লঞ্চের মাধ্যমে কাঠাঁল পাঠিয়েছে । কলিগের শশুড় বাড়ি শরীয়তপুর। তো কলিগ কাঠাঁল আনার জন্য সদরঘাটে আমাকে নিয়ে গেলেন। আমি রাতের বেলা সদরঘাটে এই প্রথম গেলাম। সদরঘাটে গিয়ে দেখি বরিশালের বিশাল বিশাল লঞ্চ দাড়িয়ে আছে। কলিগ কাঠাঁল বুঝে নেওয়ার সময় আমি কয়েকটা ফটোগ্রাফি নিলাম। সময়ের অভাবে লঞ্চের ভিতরের কোন ফটোগ্রাফি নিতে পারি নাই। আজকে আপনাদের নিকট সেই ফটোগ্রাফি গুলো সেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। চলোন তাহলে শুরু করা যাক..
সুন্দরবন-১১ |
---|
এই লঞ্চটির নাম সুন্দরবন-১১। নতুন সাজে সজ্জিত বিলাসবহুল সুন্দরবন-১১ লঞ্চটি চলাচল করে ঢাকা টু বরিশাল নদী পথে। যাত্রিদের মন আকষর্ন করার জন্য নিচের ফ্লোরে রয়েছে কেন্টন ও কফি হাউস। তা ছাড়া রয়েছে ওয়াই ফাই এর সু-ব্যবস্থ। এই লঞ্চটি ঢাকা থেকে রাত ৯ টার সময় বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
প্রিন্স আওলাদ-১০ |
---|
এই লঞ্চটির নাম প্রিন্স আওলাদ-১০। বর্তমান সময়ের জন্যে এই লঞ্চটিকে সব থেকে বড় ও বিলাসবহুল লঞ্চ মনে করা হয়। এই লঞ্চটিও ঢাকা থেকে রাত ৯ টার সময় বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিলাসবহুল এই লঞ্চটিকে বরিশালের ভাসমান রাজপ্রাসাদ নামেও ডাকা হয়।
এ্যাডভেঞ্চার ১ |
---|
এই লঞ্চটির নাম এ্যাডভেঞ্চার ১। তিনবার এই লঞ্চটিকে আপডেট করা হয়েছে। এই বিলাসবহুল এই লঞ্চটিকে বরিশালের টাইটানিক নামেও ডাকা হয়। আবার কেউ কেউ এই লঞ্চটিকে গতির রাজাও মনে করে। এই লঞ্চটি ঢাকা থেকে রাত ৯ টার সময় বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
পারাবত-১২ |
---|
এই লঞ্চটির নাম পারাবত-১২। এই লঞ্চটিতে আধুনিকতা ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে কোন কমতি নেই। লঞ্চটিতে যাত্রীদের জন্য রয়েছে এটিএম বুথ সহ ওয়াইফাই এর সু-ব্যবস্থা। রয়েছে সুসজ্জিত খাবার হোটেল।
কুয়াকাটা-০২ |
---|
এই লঞ্চটির নাম কুয়াকাটা-০২। আধুনিক ডিজাইন করা এই লঞ্চটি প্রথম দেখায় যাত্রিদের নজর কাড়বে। ঢাক টু বরিশাল ভ্রমন করার জন্য এই লঞ্চটি কে বেছে নিতে পারেন। বিকাশ,রকেট,ডেবিট কার্ড,ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করার সুবিধা রয়েছে।
প্রিয় বন্ধুরা আজকের পোষ্টটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ রইল।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
ক্যামেরা | রেডমি নোট-০৮ |
ক্যাপচার | @joniprins |
ধরন | বরিশালের সব থেকে বড় পাচঁটি লঞ্চের ফটোগ্রাফি |
স্থান | সদরঘাট,ঢাকা |
অসাধারণ কনসেপ্ট ভাই। আসলে যেহেতু সদর ঘাটের কাছেই বাসা আমার সেহেতু লঞ্চগুলো অনেক বার দেখা।হইছে। তবে আপনার ফটোগ্রাফিতে লঞ্চ এর আলাদা সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
জী ভাইয়া আমার কাছেও রাতে লঞ্চ গুলোকে অনেক সুন্দর লাগছে। তাই ফটোগ্রাফি করতে ভুল করলাম না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি খুবই চমৎকার ভাবে বরিশালের বড় পাঁচটি লঞ্চের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমরা বরিশালের পাঁচটি লঞ্চের ফটোগ্রাফি দেখতে পারলাম দেখে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া লঞ্চ গুলোকে দেখলে মনে হয় রাজ মহল অনেক আপডেট করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে বরিশালের সবথেকে বড় পাঁচটি লঞ্চ ফটোগ্রাফি করেছেন যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে রাতের এই গ্রীষ্মে ফটোগ্রাফি গুলো আরো বেশি ফুটে উঠেছে। সেই সাথে আপনি খুব সুন্দর ভাবে লঞ্চ সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেছেন যা আপনার পোস্টটি কে আরো বেশি প্রাণবন্ত করেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনিও খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কমন্টে করেছেন। আপনার প্রতিও শুভকামনা রইল।
লঞ্চগুলো ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন,তার সাথে বর্ণনা করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া,আপনাদের সাপোর্ট আশা করি নেক্স টাইমে যেন আরো ভাল করতে পারি।
ভাই আপনি খুব সুন্দর করে বিশাল পাঁচটি লঞ্চের ফটোগ্রাফি করেছেন। বড় বড় লঞ্চগুলো দেখলে আমার কেন জানি খুব ভয় লাগে। জাহাজ এক্সিডেন্ট খুব ভয়ানক হয় হয়তোবা সেই জন্য। আমি কোনদিন লঞ্চে উঠে নি আর ওঠা আমার কোন ইচ্ছাও নেই 🙄। তবে জাহাজ গুলো দেখতে সত্যি খুব চমৎকার ভিতরে দেখতে বেশ ঝমকালো মনে হচ্ছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপু ভয় পাবেন না সাহস করে একবার লঞ্চ ভ্রমন করে দেখেন অনেক ভাল লাগবে। আর একবার লঞ্চ ভ্রমনের মজা পেয়ে গেলে বার বার ভ্রমন করতে মন চাইবে। ধন্যবাদ আপু।
এ জীবনে কখনো লঞ্চে চড়ার সৌভাগ্য হয়নি। বরিশাল নদীমাতৃক জেলা আর আমাদের জেলা প্রায় নদী বিহীন। তাই জলজান সম্পর্কে আমি বেশি কিছু জানিই না। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে কিছুটা জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি। ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
ভাইয়া একবার সময় করে লঞ্চ চড়ে বরিশাল বা কুয়াকাটা ভ্রমন করবেন। অনেক ভাল লাগবে । আমার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কিন্তুু আমি কয়েকবার লঞ্চ ভ্রমন করেছি অনেক ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এ জীবনে কখনো লঞ্চে চড়ার সৌভাগ্য হয়নি। বরিশাল নদীমাতৃক জেলা আর আমাদের জেলা প্রায় নদী বিহীন। তাই জলজান সম্পর্কে আমি বেশি কিছু জানিই না। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে কিছুটা জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি। ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
বড় লঞ্চে আমি জীবনে মাত্র একবার ভ্রমণ করেছি। এই বিশাল সাইজের লঞ্চ গুলো দেখতে আমার কাছে দারুন লাগে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি লঞ্চেই আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা আর নানা রকম সুযোগ-সুবিধা সংযুক্ত হচ্ছে। দারুন লাগলো আপনার পোষ্ট। ধন্যবাদ
জী ভাইয়া সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে লঞ্চ গুলো অনেক আধুনিক করেছে। সেবার মানও ভাল। ভ্রমন করতেও ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ব্যাতিক্রমধর্মী ফটোগ্রাফি দেখলাম। আপনার কনসেপ্ট এর প্রশংসা করতেই হয়। বরিশাল এর লঞ্চ গুলো আগে অনেক দেখা হতো চাঁদপুর যেতে নিলেই। কিন্তু কয়েকবছর ধরে চাঁদপুর এর ঘাট আলাদা করে দেওয়ায় এখন আর দেখা হয়না।
দোয়া করবেন ভাইয়া নতুন নতুন কনসেপ্ট নিয়ে যেন আপনাদের সামনে হাজির হতে পারি। ধন্যবাদ ভাইয়া।