পদ্মা নদীর তীরে //১০% @shy-fox//
হ্যালো বন্ধুরা, আপনাদের সামনে আজ নতুন একটি টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি। গত কয়েক বছর আগে আমরা অফিস থেকে ভ্রমনে গিয়ে ছিলাম। সেই পদ্মা নদীর চরে। ভ্রমনটা আমার কাছে এত ভাল লেগেছিল যে সেই ভ্রমনের অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করে, সে গুলো স্মৃতির পাতায় রেখে দিয়ে ছিলাম। আজকে আপনাদের সামনে কিছু স্মৃতি সেয়ার করবো।
Location Camera-Canon EOS R5 C
এ ফটোগ্রাফিতে আমরা অফিস থেকে যারা ভ্রমনে গিয়েছিলাম তারা সবাই আছি। আমি মাঝখানে সানগ্লাস পড়া। আর পিছনের বাসটি দিয়ে আমরা ভ্রমনে গিয়ে ছিলাম। এটি পদ্মা নদীর পাড়ে।
Location Camera-Redmi Note-6 Pro
রাস্তায় যাওয়ার সময় বাস রানিং অস্থায় একটি ফটোগ্রাফি নিলাম। তখন আমরা সকালের নাস্তা শেষ করেছিলাম। আমরা ভ্রমনের উদ্যেশ্যে যে টি-শার্ট নিয়ে ছিলাম সেগুলো এখনো কেউ পড়েনি।
Location Camera-Redmi Note-6 Pro
নৌকা দিয়ে পদ্মা নদীর চড়ে যাওয়ার সময় একটি ফটোগ্রাফি নিলাম। চড়ে যাওয়ার সময় নৌকার মধ্যে অনেক মজা করেছি।
Location Camera-Redmi Note-6 Pro
এই ফটোগ্রাফিটি নদীর চড়ে যাওয়ার পর নিয়েছিলাম। বিশাল বড় চর এ পাশ থেকে দেখলে ও পাশে বালু ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। আর বালু অনেক গরম ছিল। খালি পায়ে হাটা যাচ্ছিল না।
Location Camera-Redmi Note-6 Pro
অবশেষে পানিতে নেমে পড়লাম। মেঘনা নদীর পানি থেকে পদ্ম নদীর পানি অনেক পরিষ্কার। এ যেন মিনি কক্সবাজার।
Location Camera-Redmi Note-6 Pro
প্রায় তিন ঘন্টা আমরা নদীতে গোসল করলাম। ফটোগ্রাফি করলাম , আনন্দ করলাম।
অবশেষে খাওয়ার সময় আসলো। পদ্মা নদীতে গিয়ে যদি ইলিশ না খায় তাহলে কেমন লাগবে..? সুতরাং ইলিশ ,বর্তা,ভাজি আর ডাউল দিয়ে ঐদিনের লাঞ্চ করলাম। এগুলো ছাড়া নদীর চড়ে আর কিছু ছিল না। কারন এখানে কোন রেস্টুরেন্ট স্থায়ী না।
অবশেষে বাসায় ফিরার সময় হয়ে গেল। আসার সময় অনেক জোরে বাতাস এসেছিল। বাতাসের সাথে বালু গুলো এমন ভাবে উড়তে ছিল যে চোখে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তারাতারি করে বাসে উঠতে হয়েছিল।
প্রিয় বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করলাম। আবার হাজির হবো নতুন কোন টপিক নিয়ে। ততদিন পর্যন্ত ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। চোখ কান খুলা রাখবেন। ধন্যবাদ।
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
ক্যামেরা | রেডমি নোট-৬ প্রো |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ক্যাপশন | @joniprins |
ধরন | পদ্মা নদীর তীরে |
স্থান | মৈনট ঘাট,দোহার ঢাকা |
সম্মিলিতভাবে পদ্মা নদীর তীরে খুব সুন্দর মুহূর্ত পার করলেন ।নদীর পাশে এরকম করতে আমিও খুবই পছন্দ করি যেটা মাঝে মাঝে করে থাকি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি বন্ধুদের মিলে খুব সুন্দর ভাবে পদ্মা নদীতে অসাধারণ মুহূর্তে অতিবাহিত করেছেন। আসলে নদীতে সময় কাটানো মুহূর্তগুলো কি যে আনন্দ তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এত অসাধারণ পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনার এই পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে অফিসের কলিগদের সঙ্গে পদ্মা নদীর পাড়ে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। যদিও স্কুল কলেজে পড়ার সময় বন্ধুদের সঙ্গে কখনো যাওয়া হয়নি ।তবে আশেপাশে ভাইব্রাদারের সঙ্গে প্রায় বছরে একবার যাওয়া হয়। খুবই ভালো লাগে আপনার এই মুহূর্ত দেখে সে দিনের কথা মনে পড়ে গেল।
খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন এটা আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি। আর সবার সাথে একসাথে এরকম জায়গায় থাকতে খুব ভালোই লাগে। নদীতে তিনঘন্টা গোসল করেছেন শুনে আমার কাছে ভালই লাগল। কেননা নদীর পানিতে এরকম এই গরমে তিন ঘন্টা থাকতে পারলে আসলে খুব ভালোই হতো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আনন্দঘন মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য