টেংরা মাছ দিয়ে সুস্বাদু পালং শাক রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। প্রতিদিনের মত আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের পোষ্টের বিষয় হলো দেশি টেংরা মাছ দিয়ে সুস্বাদু পালং শাক রেসিপি। চলুন নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করছি।
বন্ধুরা আপনারা সবাই জানেন যে পালং শাক হলো একটি মৌসুমি শাক। মৌসুম ছাড়া পালং শাক পাওয়া যায় না। বর্তমান সময়টা হলো পালং শাকের মৌসুম। যার ফলে বাজারে প্রচুর পরিমানে পালং শাক পাওয়া যাচ্ছে। পালং শাক এমন একটি শাক যেটা দিয়ে আপনি ইচ্ছা করলে অনেক প্রকারের রেসিপি তৈরী করতে পারবেন। কেউ পালং শাকের ঝোল করে খায়,কেউ বা শাক রান্না করে খায় আবার কেউ ভর্তা,ভাজি এমনকি পালং শাকের চপ বানিয়েও খায়। যে কোন ভাবেই খাওয়া যায়।
- পালং শাকের পুষ্টিগুণ
পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি যা আমাদের শরীরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। নানারকম অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে খাবারের তালিকায় রাখা যায় এই সবুজ শাকটি। পালং শাক শরীরের অন্ত্র সচল রাখতে সাহায্য করে। অন্ত্রের ভেতরে জমে থাকা মল সহজে বের করে দেয়। ডায়াবেটিস রোগীরা এই শাক পরিমাণ মতো খেলে উপকার অনেক উপকার পাবে। এই শাকের বীজও খুব উপকারী। এর বীজের ঘন তেল কৃমি ও মূত্রের রোগ সারায়। পালং শাকের কঁচি পাতা ফুসফুস, কণ্ঠনালীর সমস্যা, শরীর জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করতেও ভালো কাজ করে। পালং শাক শরীর ঠান্ডা রাখে। জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য পালং শাক বিশেষ উপকারী। এই শাককে বলা হয় রক্ত পরিষ্কারক খাদ্য। রক্ত বৃদ্ধিও করে। চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং মুখের লাবণ্য বৃদ্ধি করে। পোড়া ঘায়ে, ক্ষতস্থানে, ব্রনে বা কোথাও কালশিরা পড়লে টাটকা পালং পাতার রসের প্রলেপ লাগালে ভালোই উপকার পাওয়া যায়। যায়হোক চলুন এখন রেসিপিটির বিস্তারিত বর্ণনা দেখি।
প্রয়োজনীয় উপকরন-
- পালং শাক
- টেংরা মাছ
- পেঁয়াজ কুচি
- রসুন বাটা
- কাচাঁ মরিচ
- লবন
- হলুদ
- জিরা গুড়া
- সয়াবিন তেল
ধাপে ধাপে পালংশাক রেসিপি তৈরীর বিবরণ দেখানো হলো:-
প্রথমে চুলাতে কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে দিলাম। তারপর তেল গরম হলে মাছ গুলোকে হলুদ দিয়ে ভাল ভাবে মিক্স করে নিলাম।
তারপর গরম তেলে মাছ গুলো ছেড়ে দিলাম। মাছ গুলো ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে তুলে একটি প্লেটে রাখলাম।
তারপর আবার কড়াইতে তেল দিয়ে কাঁচা মরিচ,জিরা,হলুদ সহ সব মসলা দিয়ে একটু পানি দিয়ে ঝোল করে নিলাম। তারপর কেটে কুচি করে রাখা পালংশাক গুলো কড়াইতে দিয়ে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
তারপর দশ মিনিট পরে ঢাকনা তুলে কষানোর জন্য নাড়া দিয়ে ভাল ভাবে মিক্স করে দিলাম।
তারপর ভেজে রাখা মাছ গুলো শালং শাকের সাথে দিয়ে দিলাম। মাছ গুলো দেওয়ার দশ মিনিট পরে লবন চেক করে সব কিছু ঠিক ভাবে দেখে রান্না শেষ করে দিলাম।
পরিবেশন
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার আজকের পালং শাক রেসিপি অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভাল লাগবে। যদি কোথাও ভুল হয়,ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
রেসিপির নাম | টেংরা মাছ দিয়ে সুস্বাদু পালং শাক রেসিপি |
স্থান | নিজের বাসা |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমার অনেক পছন্দের মাছ,টেংরা মাছ। সবকিছু দেখে মনে হয়েছে খেতে অনেক মজার হয়েছে। ধাপগুলো সুন্দর ও সহজ করে আমাদের জন্য উপস্থাপন করেছেন, যাতে বুঝতে সহজ হয়। টেংরা মাছ দিয়ে সুস্বাদু পালং শাক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জী আপু টেংরা মাছ আমারও খুব প্রিয়। খেতে অনেক ভাল লাগে। ধন্যবাদ আপু।
এভাবে টেংরা মাছ দিয়ে পালং শাক রান্না করে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রেসিপির কালার টা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগছে। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য।
জী আপু পালং শাক আমার অনেক প্রিয়। ধন্যবাদ আপু।
পালং শাক দিয়ে টেংরা মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। যদিও পালং শাক এবং টেংরা মাছ আলাদা আলাদা বা অন্যভাবে অনেক খেয়েছি। তবে এটি আমার কাছে ইউনিক মনে হলো। ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য।
ভাইয়া পালং শাকেরও ঝোলও অনেক স্বাদ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পালংশাক দিয়ে টেংরা মাছের রেসিপি বেশ মজার হয় খেতে।আপনি বেশ লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন। খেতে খুব মজার হয়েছে আশাকরি।রোজার সময় দিনে খাবারের পোস্ট দেখা ঠিক নয়।🫣
জী আপু টেংরা মাছটা দেখেতে যেমন সুন্দর খেতেও অনেক স্বাদ। ধন্যবাদ আপু।
টেংরা মাছ আমার খুবই প্রিয় মাছ। আর এই টেংরা মাছের সাথে পালং শাক দিয়ে মজার রেসিপি তৈরি করেছেন। এভাবে অবশ্য কখনো পালং শাক দিয়ে টেংরা মাছ রেসিপি খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এত সুস্বাদু ও মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া খেয়ে দেখবেন,অনেক স্বাদ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ পালং শাকের গুণাবলী পড়ে তো অনেক ভালো লাগলো। আপনি ঠিক বলছেন পালং শাক অনেক ধারণের করে রান্না করে খাওয়া যায় যা আমার বাংলা ব্লগের সকল ইউজারের কাছ থেকে দেখেছি অনেক সুন্দর করে পালন শাক রান্না করেন। আপনি তো টেংরা মাছ দিয়ে রান্না করেছেন দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি কখনো তবে একদিন রান্না করে খাওয়ার ইচ্ছে আছে।
জী আপু পালং শাকের অনেক গুণ। ধন্যবাদ আপু।
পালংশাক আমার খুব পছন্দের একটি শাক। পালংশাক টেংরা,শিং,মাগুর এই জাতীয় মাছ দিয়ে ঝোল করে রান্না করলে খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতেও মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
জী ভাইয়া টেংরা,শিং,মাগুর এই জাতীয় মাছ দিয়ে ঝোল দিয়ে ঝোল অনেক সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া।