বৃক্ষ মেলা পরিদর্শন।।
বাংলা ভাষায় প্রকাশ করো নিজের অনুভূতি-
বৃক্ষ আমাদের বন্ধু। বৃক্ষের ছায়াতলেই গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। তাই বৃক্ষ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। বৃক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব রোধ ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃক্ষ না থাকলে পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। বৃক্ষ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। মাটির ক্ষয় রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড়–তুফানকে বাধা দিয়ে আমাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে।
বৃক্ষ কথাটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে নানা ধরনের গাছ গাছালি । কিন্তু আজকাল মানুষ যেভাবে বৃক্ষ কেটে সাফ করছে, এই ভাবে চলতে থাকলে এই পৃথিবী মরুভূমি হতে বেশিদিন সময় লাগবে না। তাই এই পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগি করে রাখার জন্য, সুস্থ ভাবে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য,আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করতে হবে। একজন মানুষ একটি দুটি করে বৃক্ষরোপণ করলেই অনেক বৃক্ষ হয়ে যায়। কিন্তুু আমরা বৃক্ষ কাটলেও বৃক্ষ লাগাতে চায় না। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে কি পরিমান গরম ছিল,সেটা সবাই বুঝতে পেরেছেন। এই গরম থেকে বাঁচার একটাই উপায়,আর সেটা হলো বেশি বেশি বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এই বৃক্ষরোপণকে সহজ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আজকে আমি এমনই এক বৃক্ষ মেলা পরিদর্শন করে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। যেহেতো আমি অনেক গুলো ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করেছি, এক পোষ্টে সব গুলো ফটো শেয়ার করা সম্ভব নয়। তাই কয়েকটি পর্ব আকারে শেয়ার করার চেষ্টা করছি।
এই বৃক্ষমেলার অবস্থান হলো নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া মোড়ের পূর্ব পাশে শহীদ জিয়া হলের সামনে। জায়গাটা আমাদের অফিস থেকে বেশি দুরে নয়। দশ টাকা অটো ভাড়া দিয়ে সহজেই সেখানে যাওয়া যায়। তো মঙ্গলবারে দুপুর বেলা একটার দিকে সেই মেলাতে চলে গেছিলাম। ৪ই জুলাই থেকে ১১ জুলাই মোট আটদিন বৃক্ষমেলাটি চলবে। মেলা ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। যে কোন সময় গাছ ক্রয় করা যায়। আমি মেলাতে প্রবেশ করে প্রথমেই মেলার কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম। মেলাতে এক পাশে একটি প্রাকৃতিক প্রজেক্ট তৈরী করা হয়েছে। কিভাবে গাছ লাগিয়ে আমাদের পরিবেশটা সুন্দর করা যাবে,সেটা এখানে দেখানো হয়েছে। যেখানে সেখানে গাছ লাগালে গাছ কাটা পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই কিছু নির্ধারিত জাগায় গাছ লাগালে পরিবেশ সুন্দর হওয়ার পাশাপাশি লাভমান হওয়া যায়।
আমি বৃক্ষি মেলাতে একটি জিনিষ লক্ষ করলাম। এখানে বড় বড় ফল ও ফুল গাছের পাশাপাশি বারান্দায় বা ঘরে বৃক্ষরোপণ করার মত বিভিন্ন জিনিষ পত্র রয়েছে। ছোট বড় মাজারি প্লাস্টিকের,মাটির, সিরামিক্সের ফুলের টব রয়েছে। আবার বারান্দায় ঝুলিয়ে রাখার মত ব্যবস্থাও রয়েছে। আপনারা উপরের ফটোগ্রাফি গুলো লক্ষ করলে বিষয়টা সুন্দর ভাবে বুঝতে পারবেন। এক দোকনের কর্মচারি ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ফুলের টব দেখাচ্ছে। সেখানে আরো দেখতে পেলাম বিভিন্ন ফল ও ফুল গাছের বীজ রয়েছে। এগুলো বাড়িতে নিয়ে নিজেরাও চারা তৈরী করতে পারবে।
উপরের ছবি গুলো লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন, বিভিন্ন বয়সের ক্রেতা বৃক্ষ মেলায় গাছ দেখতেছে। এক লোক মোবাইলে গাছের ছবি তুলে ফেমিলির সদস্যদের পাঠাচ্ছে। ফেমিলির সদস্যরা যে গাছটা পছন্দ করবে,বাড়ির কর্তা সেই গাছটি কিনে নিয়ে যাবে। মেলাতে ছোট বড় অনেক ধরনের গাছ রয়েছে। নিচের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন কর্মচারীরা ছোট গাছ গুলো সামনে দিয়ে বড় গাছ গুলো সাইটে ও পিছনে সরিয়ে রাখছে। এর মাধ্যমে ক্রেতাদের গাছ পছন্দ করতে সহজ হয়।
বৃক্ষ মেলাতে গাছের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মধু বিক্রয় করা হয়। এখানে প্রাকৃতিক ও চাষের দু্ই ধরনের মধু রয়েছে। গাছ কিনতে এসে কারো যদি মধু পছন্দ হয়ে যায়,মধুও নিতে পারবে। আমি প্রায় আধা ঘন্টার মতে মেলাতে ছিলাম। তবে আমি কোন গাছ কিনি নাই, মানে আমার বাজেটে পড়ে নাই। একটি আতা ফল গাছের দাম জিঙ্গেস করেছিলাম। চার হাজার টাকা দাম চেয়েছে। যার ফলে আর কোন গাছের দাম জিঙ্গেস করি নাই,হা হা হা।😂 যদি বাড়িতে যাওয়ার প্লান থাকতো তাহলে কাঁঠাল, আম, জাম্বুরা, পেয়ারা, লেবু, আমড়া এই গাছ গুলো কিনে নিয়ে যেতাম। যদিও বাড়িতে আম ও লেবু গাছ লাগিয়েছি। তারপরও আরো কিছু গাছ দরকার।
বন্ধুরা আজকে আর বাড়াচ্ছি না। বিদায় নেওয়ার সময় হয়ে গেছে। বৃক্ষ মেলায় গিয়ে গাছ পছন্দ হলেও এখানে গাছ লাগানোর মত জায়গা নেই। তাই আর গাছ কিনলাম না। তবে ঘরের সুন্দর্যের জন্য কিছু গাছ কিনবো,আরো কিছুদিন পরে। তো বন্ধুরা সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | বৃক্ষ মেলা পরিদর্শন- প্রথম পর্ব।।। |
স্থান | নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৯/০৭/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বৃক্ষ মেলায় খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো দেখে। একটা আতা ফল গাছের দাম ৪০০০ টাকা শুনে বেশ অবাক হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এক গাছের দাম শুনেই আমি চলে এসেছি। বুঝতে পেরেছি গাছ কেনা হবে না,হা হা হা। ধন্যবাদ।
এখন গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। তাই মোটামুটি সব জায়গায়ই এমন বৃক্ষ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে দাম যেন আকাশ ছোঁয়া!! ঢাকার আগারগাঁওতে জাতীয় বৃক্ষ মেলা হচ্ছে, ওখান থেকে আমিও খালি হাতেই ফেরত এসেছি একই কারণে।
কি বলবো আপু, গাছেরও এত দাম চাই। কিছু বলার নাই। ধন্যবাদ।
বৃক্ষ মেলাতে আপনি বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন।আসলে ভাইয়া একটা গাছের দাম ৪০০০ টাকা শুনি সত্যি অবাক লাগলো।যাইহোক বিভিন্ন ধরনের টব গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু মেলাতে যা কিছু দেখলাম সব কিছুই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
জুন কি বা জুলাই মাসের দিকে বৃক্ষ মেলা হয়ে থাকে। ইন্টার লাইভে এই জাতীয় মেলাগুলো খুবই উপভোগ করতাম কলেজের পাশে হয়তো বলে। যাইহোক ভালো একটা বিষয় মনে করে দিয়েছেন। বৃক্ষ মেলায় যাওয়া একান্ত প্রয়োজন। কারণ বেশ কিছু ফলের গাছ কিনতে হবে এবার। আপনাদের ওখানে আট দিন ধরে এই বৃক্ষ মেলা চলবে যেন ভালো লাগলো।
জী ভাইয়া এই সময়টাতে বৃষ্টিপাত হয়তো। তাই গাছের জন্য ভালো। ধন্যবাদ।