স্মার্টফোন আসক্তি: কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব..।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
আজকের পৃথিবীতে স্মার্টফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং জীবনযাপনের এক অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। খবর পড়া, ছবি তোলা, গান শোনা, ভিডিও দেখা, ব্যাংকিং করা সব কিছুই এখন একটিমাত্র ডিভাইসে। কিন্তু এই সুবিধার পেছনেই লুকিয়ে আছে এক বড় সমস্যা- স্মার্টফোন আসক্তি। আমরা অনেকেই বুঝতেই পারি না, কখন আমাদের ফোনের প্রয়োজনীয় ব্যবহার আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফোন চেক করা, খাওয়ার সময় স্ক্রল করা, রাতে ঘুমানোর আগে সোশ্যাল মিডিয়া দেখা এগুলো এখন অনেকের নিত্যদিনের অভ্যাস। কিন্তু এসব ছোট ছোট অভ্যাস ধীরে ধীরে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য, মনোযোগ ও সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের মনোযোগের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। সবসময় নোটিফিকেশন, মেসেজ বা ভিডিওর পেছনে ছুটতে ছুটতে আমরা বাস্তব জগত থেকে দূরে সরে যাই। অনিদ্রা, উদ্বেগ, হতাশা, এমনকি সামাজিক বিচ্ছিন্নতা- এসব সমস্যার মূলেও এই আসক্তি কাজ করে। অনেক তরুণ-তরুণী এখন ফোন ছাড়া কিছুক্ষণও থাকতে পারে না, যেন ফোনটাই তাদের একমাত্র সঙ্গী।
ভালো খবর হলো একটু সচেতনতা ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে এই আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে কিছু কার্যকর উপায় দেওয়া হলো 👇
সময় নির্ধারণ করে ফোন ব্যবহার করা, দিনের নির্দিষ্ট সময় ফোন দেখার নিয়ম করুন। যেমন- সকালে একবার, দুপুরে একবার, রাতে একবার। বাকি সময়ে প্রয়োজন ছাড়া ফোন হাতে নেবেন না।
সোশ্যাল মিডিয়া সীমিত করা, সব অ্যাপে সময় নষ্ট না করে, শুধুমাত্র দরকারি অ্যাপগুলো রাখুন। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ আনইনস্টল করুন। আপনি অবাক হবেন কতটা সময় বেঁচে যায়।
ফোনবিহীন সময় তৈরি করা, প্রতিদিন কিছু সময় এমনভাবে কাটান যেখানে ফোন থাকবে না বই পড়া, হাঁটাহাঁটি, প্রার্থনা, বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো হতে পারে দারুণ বিকল্প।
নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখা- প্রতিনিয়ত নোটিফিকেশন মনোযোগ নষ্ট করে। প্রয়োজনীয় কিছু ছাড়া সব নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন। এতে মন অনেক বেশি শান্ত থাকবে।
ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার বন্ধ করা- রাতে ফোনের আলো মস্তিষ্ককে বিভ্রান্ত করে, ফলে ঘুম আসে না। ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে ফোন দূরে রাখুন।
স্মার্টফোনকে দোষ দিয়ে লাভ নেই, দোষ আমাদের নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহারের। ফোন আমাদের জীবন সহজ করতে এসেছে, নিয়ন্ত্রণ করতে নয়। যদি আমরা নিজেরাই সীমা নির্ধারণ করতে পারি, তাহলে স্মার্টফোন আমাদের শত্রু নয়, বরং এক বিশ্বস্ত সহচর হয়ে উঠবে।
আমাদের প্রজন্ম প্রযুক্তির সোনালী যুগে বাস করছে। তাই এই প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করাই হলো আসল জ্ঞান। একবার ভেবে দেখুন, আপনি ফোনের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন, না ফোন আপনার? প্রতিদিন সামান্য পরিবর্তন আনুন, ধীরে ধীরে আপনি দেখতে পাবেন, ফোন নয়, আপনি নিজেই জীবনের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server

















