“কাইকারটেক” ভ্রমনের তৃতীয় পর্ব ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ বৃহস্পতিবার সবার সাথে দেখা হবে সাপ্তাহিক হ্যাংআউটে। আমরা যেহেতু বাংলাদেশি তাই রাত নয়টার সময় হ্যাংআউটে উপস্থিত থাকতে হবে। শুভ ভাইয়া হ্যাংআউটের ঘোষনা সেই সকাল বেলায় দিয়ে দিয়েছে। আমি এখনো অফিসে আছি,আজ অফিস থেকে তারাতারি যাওয়ার চেষ্টা করতেছি। ঠিক সময়ে হ্যাংআউটে উপস্থিত হয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আমি আপনাদের সাথে কাইকারটেক ভ্রমনের দুইটি পর্ব সেয়ার করেছিলাম। আজকে তৃতীয় পর্ব সেয়ার করবো। চলুন শুরু করা যাক।
গত পর্বে আমরা কাইকারটেক এসে অটো থেকে নামার সাথে সাথে মাগরিবের আযান দিয়ে দিয়েছিল। আমাদের বড় ভাইয়া নামাজ পড়তে চলে গেল আর আমরা ফটোগ্রাফি করতে শুরু করলাম। আমি আগে আপনাদেরকে কাইকারটেক জায়গাটা সম্পর্কে একটু ধারনা দিয়ে দেয়। তাহলে আপনাদের বুঝতে সহজ হবে। কাইকারটেক মূলত পরিচিতি লাভ করেছে কাইকারটেক হাটের জন্য। প্রায় দুইশত বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনাগাঁও উপজেলার মোগরা পাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক নামক স্থানে প্রতি রবিবারে কাইকারটেক হাট বসে। সেই হাটে বিখ্যাত অনেক জিনিষ পাওয়া যায়। বিশেষ করে কাইটারটেকের পুতা মিষ্টি অনেক সুস্বাদু ও বিখ্যাত।
কাইকারটেকের পাশে দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদী। কাইকারটেক হাটের পাশে রয়েছে বিশাল বড় একটি ব্রহ্মপুত্র সেতু। সেই সেতুর নিচে এক সময় প্রচুর পরিমানে কাইকা মাছ পাওয়া যেত। আর জেলেরা এই কাইকা মাছ শিকার করে পাশের হাটে বিক্রয় করতো। আশে পাশের কয়েক জেলা উপজেলার মানুষ এই হাটে কাইকা মাছ কিনতে আসতো। তখন থেকে মানুষের মুখে মুখে কাইকারটেক বা কাইকার হাট হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। এখন ঐস্থানে আগের মত কাইকা মাছ পাওয়া যায় না। তবে বর্ষার মৌসুমে মোটামুটি ভালই পাওয়া যায়।
আমরা যেদিন ঘুরতে গিয়েছিলাম সেদিন ছিল শুক্রবার। ঐদিন হাট বসে না। আমার ব্রহ্মপুত্র সেতুতে সময় কাটিয়েছি। প্রতিদিন বিকাল বেলা,সাপ্তাহিক শুক্রবারে এবং যেকোন সরকারি ছুটির দিনে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। যার জন্য প্রতিদিন বিকাল বেলা অনেক ধরনের মুখরোচক খাবার পাওয়া যায়। তা ছাড়া সেতুর নিচে দুরন্ত নামে একটি ভাসমান রেসটুরেন্ট রয়েছে।
সেতুর উপরে পুরাতন একটি খাবারের নতুন সিস্টেম দেখলাম। খাবারটি সবার প্রিয়, নাম হলো পানিপুরি। কিন্তুু তারা নাম দিয়েছে ইন্ডিয়ান বিল্লু পানি পুরি। এখানে যে কলস গুলো দেখছেন এগুলো দেখতে স্বর্ণ রুপার মনে হলেও মূলত কিন্তুু স্বর্ণ বা রুপার নয়। এগুলোর উপরে গোল্ড কালারের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। এই কলস গুলোর ভিতরে পানি পুরি খাওয়ার টক রাখা হয়েছে। আর যারা পানি পুরি খাবেন তাদেরকে ইচ্ছা মত টক খাওয়ার সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছে। দেখতে ভালই লাগতেছে। তাই ক্যামেরা বন্দি করে ফেললাম।
সারা সাপ্তাহ চার দেয়ালের ভিতরে থেকে মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। মাঝে মাঝে এমন খোলা মেলা জায়গায় সময় কাটাতে ভালই লাগে। আমরা সেতুর নিচেও গিয়েছিলাম। পানির পাশে গিয়ে সময় কাটিয়েছি। তবে সেতুর নিচে অনেক মশা দেখলাম। কয়েকটা মশার কামড় খেয়ে তারাতারি সেতুর উপরে চলে আসলাম। আমরা সেতুর উপরে উঠে সবাই এক প্লেট করে ফুচকা এবং চটপটি খেলাম। বিভিন্ন ধরনের কিছু খাবারের ছবি আছে। সে গুলো চতুর্থ পর্বে সেয়ার করবো। আল্লাহ হাফেজ
দেখা হবে চতুর্থ পর্বে............
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ক্যামেরা | রেডমি নোট-৬ প্রো |
স্থান | কাইকারটেক, সোনাগাঁও, নারায়ণগঞ্জ। |
তারিখ | ২১-১০-২০২২ |
সময় | ৫.৩০PM |
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ!পানি পুরি দেখে আমার ফুচকা খাইতে ইচ্ছে করছে।কাইকারটেক তো খুব সুন্দর জায়গা যদিও হাটের জন্য বিখ্যাত। আর কলসি গুলো তো আনি রুপার মনে করছিলাম প্রথমে।পরে জানতে পারি পানি পুরির টক দেয় কলসিতে করে।সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী আপু কলসি গুলোতে টক খেতে দেয়। যার যত ইচ্ছা খায়। ধন্যবাদ আপু।
প্রথমেই কলস গুলো দেখে অবাক হয়েছিলাম। ধন্যবাদ পরে ওগুলো কি জিনিস তা বর্ণনা করার জন্য।জায়গাটির নাম করণের ইতিহাস বেশ মজার।আপনার জন্য নতুন একটি জায়গা সম্পর্কে জানতে পারছি।আর ভাই পুতা মিষ্টি দেখার আগ্রহ রইল।ধন্যবাদ ভাই নতুন একটি জায়গা সম্পর্কে জানানোর জন্য।আর ফটোগ্রাফ গুলোও সুন্দর ছিল।
জী ভাইয়া জায়গাটা সুন্দর আছে। অবসর সময় কাটাতে অনেক ভাল লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।