কয়েকটি রেন্ডম ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি এ্যালবাম।।
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করছি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের ব্লগের মধ্যে চমৎকার কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি দেখতে পারবেন। আশা করছি নতুন কিছু দেখাতে পারবো।
প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করার ফলে আমার তেমন ছুটি পাওয়া হয় না। সাধারনত শুক্রবার আর কিছু নির্ধারিত সরকারি ছুটি ছাড়া আর কোন ছুটির আশা করা যায় না। মাঝে মাঝে শুক্রবারেও সমন্বয় বা অটি হিসাবে ডিউটি করতে হয়। ছুটি না পাওয়ার কারনে তেমন কোথাও ঘুরতেও যেতে পারি না। আজকে শুক্রবার যখন ব্লগটি লিখেতেছি তখনও অফিসের মধ্যেই আছে। কারন আজকে পবিত্র ঈদুল আজহার অতিরিক্ত সমন্বয় ছুটির ডিউটি চলতেছে। যদি সময় মত সমন্বয় না করা হয় তাহলে সেলারি থেকে একদিন হাজিরার সমপরিমান টাকা কেনে নেয়। তখন কিছুই বলার থাকে না। এমনকি এক মাসে তিনদিনের উপরে লেইট করে অফিসে আসলেও সেলারি থেকে নির্ধারিত পরিমান টাকা কেটে নেয়। সুতরাং প্রাইভেট কোম্পানিতে টাইম মেইনটিন করে চাপের সাথে চাকরি করতে হয়। আমার মত যারা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন তারা হয়তো বিষয় গুলো ভালো ভাবে বুঝতে পারেন।
সাপ্তাহে ছয়দিন পরে একদিন শুক্রবার আসে। সেই একদিন কিভাবে যেন চলে যায় বুঝতেই পারি না। যেহেতো পৃথিবীতে এসে জীবন যুদ্ধে নেমেছি মৃত্যু পর্যন্ত লড়ে যেতেই হবে। কারন পৃথিবীটা হলো একটি যুদ্ধ ক্ষেত্র আর আমরা হলাম যুদ্ধা। মাঝে মাঝে শুক্রবারেই কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়। আজকে গত মাসের ২১ তারিখ শুক্রবারের কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
এই জায়গাটা সবার পরিচিত দোয়েল চত্বর। যেটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিতরে কার্জন হলের সামনে অবস্থিত। বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েলের একটি স্মারক ভাস্কর্য। এর স্থপতি হলেন আজিজুল জলিল পাশা। রিকশা দিয়ে যাওয়ার পথে সামনে পড়লো তাই ক্যাপচার করে নিলাম।
ডিভাইস- মোবাইল
মডেল-রেডমি নোট-১০
সময়- দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিট
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
স্থান-দোয়েল চত্বর,ঢাকা,বাংলাদেশ।
এটি গ্রামগঞ্জের রাস্তার পাশে রোপন করা গাছের প্রাকৃতিক কলা। জায়গাটা হয়তো সরকারি কিন্তুু গাছটি মালিকানা। রাস্তার পাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা সরকারি রাস্তার পাশ দখল করে বিভিন্ন শাকসবজি,ফলমূলের গাছ রোপন করে। এটি একদিক দিয়ে ভালো একটি কাজ। প্রকৃতি রক্ষা হলো আবার শাকসবজিও উৎপাদন হলো।
ডিভাইস-মোবাইল
মডেল-রেডমি নোট-৮
সময়- বিকাল ০৫ টা ৩০ মিনিট
তারিখ-০৪-০৭-২০২৩
স্থান-কলেজ রোড, কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
এটিও সেই সরকারি জায়গা দখল করে লাগানো পেঁপে গাছ। সরকারি জাগায় ফলের গাছ লাগালে রিক্স হয়ে যায়। কারন অনেক সময় দেখা যায় রাস্তার কিছু ভদ্র পথিক সরকারি ফল মনে করে যত্ন করে নিয়ে যায়। তাই যারা বাড়ির পাশে পাহাড়া দিয়ে রাখতে পারে তারাই এগুলো চাষ করে।
ডিভাইস- মোবাইল
মডেল-রেডমি নোট-৮
সময়- বিকাল ০৫ টা ৩০ মিনিট
তারিখ-০৪-০৭-২০২৩
স্থান-কলেজ রোড, কসবা,ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
এটি এক ভাইয়ের ছোট একটি আতরের দোকান। বাইতুল মুকাররাম মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে ফটোগ্রাফি করেছিলাম। আতর খুবই দামি একটি সুগন্ধ জাতীয় পদার্থ। যেমন দাম ঠিক তেমন ঘ্রান। ছোট হলেও এটি একটি ব্যবসা। যে কোন ব্যবসা চাকরি থেকে হাজার গুণ উত্তম। সুতরাং চাকরি নয় ব্যবসা করুন।
ডিভাইস- মোবাইল
মডেল-রেডমি নোট-১০
সময়- দুপুর ২টা ২২ মিনিট
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
স্থান-বাইতুল মুকাররাম মসজিদ,পল্টন, ঢাকা,বাংলাদেশ।
রমনা পার্কের পাশে সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন রাস্তার পাশ থেকে ফটোগ্রাফিটা ক্যাপচার করেছি। সামনে পিছনে অনেক গাড়ি আসতেছে আবার যাচ্ছে। কিন্তুু এই চাচা তার নিজের রিকশায় নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। সারা সকাল রিকশা চালিয়ে শরীর ক্লান্ত হয়ে গেছে। তাই রাস্তার পাশেই আরামের ঘুম দিয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তুু ঘুম এসব কিছু মানে না।
ডিভাইস- মোবাইল
মডেল-রেডমি নোট-১০
সময়- দুপুর ১২টা ১২ মিনিট
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
স্থান-রমনা, ঢাকা,বাংলাদেশ।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি কুকুরকে গর্ত করা অবস্থায় ক্যাপচার করলাম। হয়তো কোন ইদুঁর গর্তের মধ্যে প্রবেশ করেছে। সেটাকেই বের করার চেষ্টা করছে। আগে জানতাম ইদুঁরের সাথে বিড়ালের শত্রুতা এখন দেখছি কুকুরও শত্রুতা আছে। এবাবে সবাই ইদুঁরের পিছনে লাগলে ইদুঁর বাচঁবে কি করে। তাদের অবশ্যই শাহবাগ মোড়ে মানববন্ধন করে সরকারের কাছে স্নারকলিপি পেশ করার দরকার,হা হা হা।
ডিভাইস- মোবাইল
মডেল-রেডমি নোট-১০
সময়- দুপুর ১১ টা ৩৯ মিনিট
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
স্থান-সোহরাওয়ার্দী, উদ্যান, ঢাকা,বাংলাদেশ
এটি জাতীয় তিন নেতার মাজারের দৃশ্য। মাজারটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দোয়েল চত্বরের উত্তর পাশে অবস্থিত। বাংলার তিন বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতা হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন ও শেরেবাংলা এ.কে. ফজলুল হক। তাদের কবরের উপর নির্মান করা হয়েছে ঢাকার অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন। প্রতিদিনই মানুষ সেই মাজারে ঘুরতে যায়।
ডিভাইস- মোবাইল
মডেল-রেডমি নোট-১০
সময়- দুপুর ১২ টা ৪৬ মিনিট
তারিখ-২১-০৭-২০২৩
স্থান-দোয়েল চত্বর, ঢাকা,বাংলাদেশ
বন্ধুরা দেখতে দেখতে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করে ফেললাম। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফির নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি বুঝতে কোন সমস্যা হবে না। আবার নতুন কিছু নিয়ে আগামীকাল হাজির হবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো।আসলে ভাইয়া চাকরি তো চাকরিই, সেটা প্রাইভেট হোক কিংবা সরকারি হোক। তবে এটা ঠিক প্রাইভেট কোম্পানি গুলোতে কিছু হলে সেলারি কাটে। যাইহোক ভাইয়া তিন নেতার মাজার ও চাচার ঘুমের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জী আপু এমন চাকরি করি নিয়ম কানুন একটু এদিক সেদিক হলেই সেলারি কাটে। কিছু করার নাই। ধন্যবাদ।
রিক্সায় চাচার ঘুম দেওয়াটা দেখে খুব মায়া লাগছে।মনে হয় অনেক ক্লান্ত। আপনি ঠিক বলেছে ভাইয়া, পৃথিবীটা হলো একটি যুদ্ধ ক্ষেত্র আর আমরা হলাম যুদ্ধা।আপনার রেনডম ফটোগ্রাফি গুলা অনেক ভালো লেগেছে।আপনার প্রতি অনেক শভকামনা।
জী আপু রিক্সায় চাচাকে দেখে খুব মায়া লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি দেখতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি নিতেও ভাল লাগে। আপনার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। আমার কাছে প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লেগেছে।
জী আপু প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো সত্যিই খুব ভাল লাগে। ধন্যবাদ।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
ছুটির ফাকে ছবি তুলেছেন খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক ভালো হয়েছে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
জী ভাইয়া সাপ্তাহে একদিন ছুটি পায়। সেই দিনই একটু ফটোগ্রাফি করি। ধন্যবাদ।
আপনার শেয়ার করা এই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে কয়েকটা পরিচিত জায়গা দেখতে পেলাম তাই খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে দোয়েল চত্বর এবং তিন নেতার মাজারের এইখানে কতবার গিয়েছে। সেই দিনগুলো যেন এখন স্মৃতি হয়ে গিয়েছে।
জী ভাইয়া তিন নেতার মাজার আর দোয়েল চত্বর পাশাপাশি। ধন্যবাদ।
ভাই আজকে আপনারে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। যদিও প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করার জন্য সেভাবে শুক্রবার ছাড়া কোন ছুটি থাকে না। যাই হোক এই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে আপনি খুব দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া প্রাইভেট কোম্পানি হলে ঈদ ছাড়া ছুটি নাই। ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছেও সত্যি বেশ ভালো লেগেছে। আসলে ভাই প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করলে ছুটি একটু কমই পাওয়া যায়। আমার কাছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে জাতীয় তিন নেতার মাজারের দৃশ্য । ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া চাকরি করলে ফটোগ্রাফি করার সুযোগ থাকে না। ডিউটি করতে করতে ক্লান্ত। ধন্যবাদ।
আপনার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার লাগছে দেখতে ভাইয়া।বেশ ভালো ফটোগ্রাফি করেন আপনি।দোয়েল চত্ত্বর এর ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে অনেক।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে সময় সুযোগ করে ফটোগ্রাফি করতে হয়। ধন্যবাদ ।