প্রথমবারের মতো ওয়াইফ কে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার অনুভূতি।।

হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি অনুভূতি শেয়ার করবো। চলুন তাহলে ব্লগটি শুরু করা যাক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ, যেটি ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্ত হওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গুগল সার্চ করলে দেখতে পারবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের উপকেন্দ্রে রেলওয়ে স্টেশনের পাশে কলেজটি অবস্থিত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সব থেকে বড় সরকারি কলেজ এটি। এখানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি মাস্টার্স পর্যন্ত রয়েছে। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে একটি সরকারি মহিলা কলেজ ও একটি পৌর সরকারি ডিগ্রী কলেজে রয়েছে। সাধারণত সরকারি বেসরকারি সব পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে এই কলেজকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমার ওয়াইফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে বর্তমানে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত রয়েছে। সে বাংলা বিভাগ নিয়ে অনার্স করতেছে। তাছাড়া সে স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে @titash নামে পরিচিত আছে। সে আমার বাংলা ব্লগের একজন ভেরিফাইড মেম্বার। তবে বর্তমানে পরীক্ষার জন্য দুই মাসের ছুটিতে রয়েছে।

গত নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখ অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়। অলরেডি তিনটি পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে, আজকে তার চতুর্থ পরীক্ষা। আমি গত ৮ তারিখ রোজ শুক্রবার ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসি। ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আসার অনুভূতিমূলক একটি পোস্ট আপনাদের সাথে অলরেডি শেয়ার করে ফেলেছি। আজকে ১০ তারিখ আমার ওয়াইফ তথা তিতাসকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার প্রোগ্রাম ছিল। সে অনুযায়ী সকাল নয়টার সময় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে, আমরা ১১ টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে যায়। উল্লেখ্য যে পরীক্ষা শুরু হবে সাড়ে বারোটার সময়। আমাদের বাসা থেকে রিকশা করে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মত সময় লেগেছে। রাস্তায় তেমন কোন জ্যাম পড়ে নাই, তবে গত দুইদিন টানা বৃষ্টি হওয়ার কারণে রাস্তায কিছুটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে যার কারণে ৫-৭ মিনিট লেট হয়েছে। নরমালি বাসা থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই কলেজে আশা যায়।

আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখি অলরেডি অনেক স্টুডেন্ট গেটের বাহিরে অপেক্ষা করতেছে। এই কেন্দ্রে হাজার হাজার স্টুডেন্ট পরীক্ষা দিবে। আমরা আমরা ১ লিটার পানি আর কিছু খাবার কিনে অপেক্ষা করতে লাগলাম। অবশেষে বারোটার সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে স্টুডেন্ট প্রবেশ করতে লাগলো। আমি আর তিতাস দুজনেই একসাথে গেটের ভিতরে প্রবেশ করলাম। আমাদের কলেজের ক্যাম্পাসটি অনেক সুন্দর, চারপাশে অনেক ধরনের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। বিশাল বড় বড় বিল্ডিং। আমি মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে চারপাশের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। যেহেতু পরীক্ষা চলতেছে তাই মাঠের ভিতরে বেশি ঘোরাঘুরি করতে পারিনি।

আপনারা উপরে যে বিল্ডিংটি দেখতে পাচ্ছেন, ইহার ছয় তলায় তিতাসের সিট পড়েছে। এ বিল্ডিংটি ১০ তলা।বিল্ডিংটি নতুন করেছে, এখন পর্যন্ত লিফট লাগানো শেষ হয়নি। লিফট লাগানোর কাজ চলতেছে। হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই লিফট লাগানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। যেহেতু বর্তমানে লেফট নেই, সেহেতু আমরা ধীরে ধীরে সিড়ি ভেঙ্গে ছয় তলাতে প্রবেশ করলাম। সেখানে ৬ ৪০৪ নাম্বার রুমে ফাস্ট বেঞ্চে তিতাসের সিট পড়েছে। আমি তিতাস কে সিটে বসিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে বারোটা ২০ মিনিটে পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করলাম।

আমি দশতলা বিল্ডিং থেকে নেমে মাঠে এসে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। আপনারা উপরের ফটোগ্রাফি গুলো লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন,মাঠের চারপাশেই বিল্ডিং রয়েছে। সবুজ ঘাসে ডাকা মাঠ,খুব সুন্দর সবুজ শ্যামল পরিবেশ। কলেজের ক্যাম্পাসটি যে কারো পছন্দ হবে। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে কলেজের পাশেই বিখ্যাত একটি পার্ক রয়েছে, সেখানে বসে বসে ব্লগটি লিখতেছি আর কখন পরীক্ষা শেষ হবে সে অপেক্ষা করছি।

বন্ধুরা আজকে আর বাড়াবো না। এখান থেকে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিবো। আবার আগামীকাল আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হবো। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।