গল্প: নিশি- প্রথম পর্ব।।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে একটি ভালোবাসার গল্প শেয়ার করবো। আশা করি গল্পটি আপনাদের নিকট অনেক ভালো লাগবে।
আজকে নিশির চাকরির ইন্টারভিউ। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা বানিয়ে নিজে নাস্তা করে,রাহুলের জন্য নাস্তা রেডি করে, তাকে ঘুম থেকে ডাকতে যায়। গিয়ে দেখে রাহুল রুমে নেয়। নিশির নাস্তা বানানোর সময় রাহুল কখন যেন ঘুম থেকে উঠে বের হয়ে চলে গেছে। নিশি টেবিলে নাস্তা রেখে রাহুলের মোবাইলে ট্রেক্স পাঠালো। কোন রিপলে না পেয়ে সরাসরি তার মোবাইলে কল দিলো। কিন্তুু রাহুলের নাম্বার বিজি পেলো। আজকে নিশিকে রাহুল তার বাইক দিয়ে ইন্টারভিউ অফিসে পৌছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তুু এখন রাহুল বাসায় নেই আর এখন বাসাতেই তার নয়টা বেজে গেছে। সকাল দশটায় তার ইন্টারভিউ।
নিশি বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে ফার্মগেট বাস স্টেশনে যায়। সেখানে বাসের জন্য দাড়ানোর সাথে সাথেই বৃষ্টি নেমে যায়। কোনরকম দৌড়ে বাস ছাউনির নিচে যায়। দাড়িয়ে থাকতে থাকতে প্রায় সাড়ে নয়টা বেজে যায়। আর বাসও আসতেও দেরি করছে। ঢাকা শহরের রাস্তা চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আঠারো ঘন্টায় জ্যাম থাকে। কিছুক্ষন পরে একটি বাস আসলে সেটাতে উঠে পড়ে নিশি। অলরেডি বৃষ্টিও থেমে গেছে। তবে ভালোই বৃষ্টি হয়েছে,রাস্তায় পানিও জমে গেছে। নিশির বাসটা কারওয়ান বাজার ট্রাফিক সিগন্যালে দাড়ায়। নিশি বাসে বসে বসেই বইয়ের দিকে চোখ বুলাচ্ছিলো। হঠাৎ করে তার নজর পড়ে বাহিরের দিকে। বাহুল কোথায় থেকে যেন বাইক নিয়ে এসে কারওয়ান বাজার ট্রাফিক সিগন্যালে দাড়ায়। তবে নিশি রাহুলকে ডাক দেওয়ার সাহস পায়নি।
রাহুলের পিছনে বাইকের মধ্যে একটি মেয়েকে বসা অবস্থায় দেখে। কিছুক্ষন পরে ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়লে রাহুল বাইক নিয়ে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে গিয়ে কোন দিকে যেন হারিয়ে যায়। বাস তো আর বাইকের পিছনে পিছনে যাবে না। নিশি রাস্তার জ্যামজট,কাদাঁ পানি অতিক্রম করে ইন্টারভিউ অফিসে পৌছে। তবে ততক্ষনে ইন্টারভিউ শেষ হয়ে গেছে। তারা ক্যান্ডিডেট সিলেক্ট করে ফেলেছে। ভারাআক্রান্ত হৃদয় নিয়ে নিশি বাসায় ফিরে। নিশি বাসায় পৌছে দেখে রাহুল সোফায় বসে কার সাথে যেন মোবাইলে কথা বলছে। আবার বলছে চারটার সময় সে ধানমন্ডি থাকবে।
নিশি বাসায় প্রবেশ করে কিচেন রুমে গিয়ে লাঞ্চ রেডি করতে লাগলো। একটু পরে রাহুল কিচেন রুমে গিয়ে নিশিকে বলে কখন এলে,তুমার চাকরি ইন্টারভিউ কেমন হলো...চাকরি হয়েছে...? নিশি বলে বৃষ্টি আর জ্যামের কারনে লেইট হয়ে গেছে। ইন্টারভিউ দিতে পারি নাই। সাথে সাথে রাহুল বলে উঠে তোমার চাকরি করার কোন ইচ্ছাই নেই। নিশির রাগের মাত্রা সিমা ছাড়িয়ে গেলেও নিজেকে কন্ট্রোল করে। চুপ করে থাকে,কিছুই বলে না। নিশি লাঞ্চ রেডি করতে করতে রাহুল আবার বাসা থেকে বের হয়ে যায়। নিশি লাঞ্চ তৈরী করে রাহুলের মোবাইলে কল দিয়ে বিজি পায়। তারপর ট্রেক্স করে,রিপলে আসে তুমি লাঞ্চ করে ফেলো। আমি বাহির থেকে খেয়ে আসবো। নিশি আর কিছু না বলে লাঞ্চ করে ঘুমিয়ে পরে। রাহুলের সাথে নিশির বিয়ে হয়েছে তিন বছর। বিয়ের পরে নিশির মা মারা যায়। তারপর নিশির বাবা বিদেশ চলে গেলে আর দেশে ফিরেনি। আর মেয়ের সাথেও তেমন যোগাযোগ করে না। রাহুল একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করে তবে সে রেগুলার অফিসে যায় না। যার ফলে তাকে ফাইনাল নোটিশ দিয়ে রেখেছে। যে কোন সময় চাকরিটা চলে যেতে পারে।
রাত এগারোটার পরে রাহুল বাসায় ফিরে। নিশি তাকে সারাদিন কোথায় ছিলো জিঙ্গেস করার সাথে সাথে রাহুল রেগে যায়। আর এটাও বলে দেয় যে, সে নিশির সাথে আর থাকতে চায় না। সে মুক্তি চায়। নিশি সব কিছু বুঝতে পেরেছে সে জন্য আর কিছু বলে নি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ব্যাগ গুছিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় রাহুল নিশিকে বলেছিল কোথায় যাও। উত্তরে নিশি বলে সেটা তোমার জানার বিষয় নয়। পৃথিবীতে নিশির আপন বলতে কেউ নেই। শুধু তার একজন বান্দবী আছে,যার নাম নিরা। নিশি নিরাকে কল দিয়ে সব কিছু খুলে বলে। নিরা নিশিকে বলে সে তাকে একটি নাম্বার পাঠাচ্ছে,তার সাথে যোগাযোগ করে কয়দিন তার সাথে থাকতে.......... চলবে।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা,ডিজাইন করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
নিশি গল্পটার প্রথম পর্ব আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। রাহুল তো মনে হচ্ছে অন্য একটা মেয়েকে পছন্দ করতে এবং কিছুক্ষণ পর পর তার কাছেই চলে যেত। ইন্টারভিউ দিতেও লেট হয়েছিল নিশির। আর বাসের মধ্য থেকে সে রাহুলের সাথে একটা মেয়েকে দেখেছিল। আস্তে আস্তে সে সব কিছুই বুঝতে পেরেছিল। আর যেদিন রাতে রাহুল বলেছিল তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য, সেদিনই দেখলাম নিশি সব কিছু গুছিয়ে বের হয়ে গিয়েছিল। এখন দেখা যাক কি হয়।
জী আপু রাহুলের ভিতরে তো গাপলা আছেই। সে জন্যই তো নিশি থেকে মুক্তি চাই। ধন্যবাদ।