বনভোজনে যাওয়ার প্রস্তুতি পর্ব।।
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমাদের অফিস থেকে পিকনিকে যাওয়ার প্রস্তুুতি পর্ব নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি আপনারা সবাই পাশে থাকবেন।
প্রত্যেক বছরই আমাদের অফিস থেকে বনভোজনে যাওয়া হয়। গত বছর আমরা সবার আলোচনা সাপেক্ষে নবাব ঈশা খাঁর রাজধানী সোনারগাঁয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে অনেক মজা হয়েছে,সবাই অনেক খুশি হয়েছে। যেটা বিশ্বময় “প্রাচ্যের ডান্ডি” নামে খ্যাত নারায়নগঞ্জে অবস্থিত। যেহেতো আমাদের লোক সংখ্যা বেশি তাই দুরে যাওয়ার প্রোগ্রাম করতে অনেক চিন্তা ভাবনা করতে হয়। তাছাড়া অফিস থেকে নোটিশ করা আছে একদিনের মধ্যে বনভোজন শেষ করতে হবে। আর সেটাও আবার যে কোন এক শুক্রবারে হতে হবে। অফিস একদিনের বেশি বন্ধ রাখবে না। সুতরাং আমাদের অনেক দিক বিবেচনা করে বনভোজনের জায়গা নির্ধারন করতে হয়।
গত বছর থেকেই আমাদের সমসয়সি ছেলে পেলেরা প্লান করেছিলাম কক্সবাজার ঘুরতে যাবো। সেই অনুযায়ী আলোচনা সভায় আমরা আমাদের দাবি উত্থাপন করেছিলাম। তবে অধিকাংশের মতে একদিনে কক্সবাজার গিয়ে ঘুরে আসার সম্ভব নয়। ছেলেদের হয়তো কোন প্রবলেম হবে না,তবে যারা চল্লিশ বছর আপ তারা কেউ আমাদের প্রস্তাবে সম্মতি দিলেন না। তারা ধারে কাছে কোথাও যাওয়ার প্রস্তাব দিলেন। যেহেতো তারা সবাই সিনিয়র,তাই তাদের উপরে আমরা কিছু বললাম না। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী ধারে কাছে জায়গা খুজতে লাগলাম। তবে সব জাগায় শুক্রবারে বুকিং আছে। সাধারনত রিসোর্ট গুলোতে শুক্রবারে জায়গা পাওয়া যায় না। তখন আমরা তাদেরকে বললাম অপেন কোন জায়গা ছাড়া শুক্রবারে অন্য কোথাও যাওয়া যাবে না।
কিছুক্ষণ আলোচনা করে ম্যানাজার স্যার সিদ্ধান্ত দিলেন যে, এই বছর বনভোজন হবে দুই গ্রুপে। প্রথম গ্রুপ আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রোজ শুক্রবারে রাজধানী শহর ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানাতে যাবে। আর দ্বিতীয় গ্রুপ কক্সবাজার যাবে। তবে কবে যাবে সেটার তারিখ পরে ঘোষনা করা হবে। ম্যানাজার স্যারের কথা আমরা সবাই মেনে নিলাম। প্রথম গ্রুপের বনভোজনের দায়িত্বও আমি ও আমার এক কলিগের উপর দেওয়া হলো। যার ফলে প্রাথমিক কাজ হিসাবে আমাদের সকালের নাস্তা ও লাঞ্চের আইটেম এবং খাওয়ার জায়গা ঠিক করতে হবে।
যার ফলে গত কাল সকাল বেলা দশটার দিকে মিরপুরের উদ্যেশে রওয়ানা দিলাম। আপনারা তো সবাই জানেন ঢাকার রাস্তার অবস্থা কেমন। ঢাকা বাসির জীবনের অর্ধেক সময় চলে যায় রাস্তার জ্যামের মধ্যেই। শুক্রবার হওয়া সত্তেও সাইনবোর্ড থেকে মিরপুরে যেতে কমপক্ষে দশ জাগায় জ্যামে পড়েছিলাম। আর গতকাল ছিল মেডেকেলে ভর্তির পরিক্ষা। যার ফলে আরো বেশি জ্যামে পড়েছিলাম। জ্যামের কিছু চিত্র আমি আপনাদের সাথে তুলে ধরেছি।
অনেক জানজট অতিক্রম করে তিন থেমে সাড়ে তিন ঘন্টা সময় নিয়ে অবশেষে মিরপুরে গিয়ে পৌছলাম। যখন সেখানে পৌছালাম তখন বাজে দেড়টা। কোনরকম দৌড়ে গিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করলাম। তারপর চিড়িয়াখানার গেইট প্লাস বোটানিক্যাল গার্ডেন” গেইটে গেলাম। চিড়িয়াখানায় প্রবেশ মূল্য পঞ্চাশ টাকা আর বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ মূল্য লেখা আছে বিশ টাকা। আমাদের দুই জাগায় প্রবেশ করার চিন্তা আছে। তারপর গেলাম রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা আর লাঞ্চের ব্যবস্থা করতে।
অনেক রেস্টুরেন্ট যাছাই বাছাই করে অবশেষে মমিন খাবার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে সকালের নাস্তা আর লাঞ্চ করার জন্য ঠিক করলাম। তবে আমরা সকালের নাস্তা তাদের হোটেলে বসে খাবো। আর লাঞ্চ চিড়িয়াখানার ভিতরে বা বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভিতরে, যেখানে আমরা বলবো সেখানেই তারা খাবার পৌছে দিয়ে আসবে। আমরা বনের ভিতরে বসেই ভোজন করবো,হা হা হা। আরো অনেক কাজ বাকি আছে। অফিস থেকে টাকা কালেকশন করতে হবে,লটারির গিফট কিনতে হবে, গাড়ি ভাড়া করা সহ অনেক কাজ বাকি আছে। পরে আবার আপডেট শেয়ার করবো। দেখা যাক কেমন হয় এভাবের বনভোজনের অনুষ্ঠান।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
শিরোনাম | বনভোজনে যাওয়ার প্রস্তুুতি পর্ব।। |
স্থান | ঢাকা,বাংলাদেশ। |
তারিখ | ০৯/০২/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার অফিস থেকে প্রতি বছর সবাই মিলে ঘুরতে যান জেনে খুশি হলাম। কক্সবাজার এর আপনার সাথে ডিসকর্ডে কথা হয়েছিলো। ঠিক বলেছেন ঢাকা শহর মান জ্যাম আর জ্যাম। আপনার পোস্ট পরে ভালো লাগলো। বনভোজনে যাওয়ার প্রস্তুতি পর্ব শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া অফিস থেকে একদিন সময় দিচ্ছে। যার ফলে কক্সবাজার যাওয়া হচ্ছে না। ধন্যবাদ।
এভাবে মাঝে মধ্যে অফিস থেকে বনভোজনে যেতে ভালোই লাগে। আপনার বনভোজনে যাওয়ার প্রস্তুতি পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। তবে ঢাকা শহরের রাস্তা ঘাটের অবস্থা ভীষণ খারাপ। ধন্যবাদ বনভোজনের পর্ব শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া এটা প্রস্তুুতি পর্ব ছিল। এখন আবার জায়গা পরিবর্তন হয়েছে। ধন্যবাদ।