প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণা মেঠালাম আখের রসে ।।

হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। দেশের যে পরিস্থিতি ভালো থাকার সুযোগ নেই। তারপরও ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। সব কিছু ঠিক রেখেই দেশের কল্যানে অবদান রাখতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, প্রতিবাদ কথা বলতে হবে। অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করা যাবে না। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকেই যতটুকু সম্ভব সত্য প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা করতে হবে,মিথ্যা পরিহার করতে হবে। জীবন মৃত্যু সব কিছুই সৃষ্টিকর্তার হাতে। যার মৃত্যু যেখানে লেখা আছে, সেখানে মরতেই হবে। সেটা ঘরের ভিতরেও হতে পারে আবার ঘরের বাহিরে রাস্তায় হতে পারে। মৃত্যুর হাত থেকে কেউ রেহায় পাবে না। মৃত্যুর জন্য সর্বদায় প্রস্তুুত থাকতে হবে। কারন মৃত্যুর দূত কখনো অগ্রিম বার্তা পাঠিয়ে আসে না। যায়হোক সত্যকে যতই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হোক, সত্য গোপন থাকে না, সত্য একদিন প্রকাশ পাবেই। তো বন্ধুরা চলুন আজকে আপনাদের সাথে একটি নতুন ব্লগ শেয়ার করে ফেলি।

কিছুদিন আগে বাংলাদেশের আবহাওয়ার অবস্থা সবাই উপভোগ করেছেন। সবাই গরমে গলাকাটা মুরগির মত ছটফট করেছেন। সবাই এই গরম থেকে বাঁচতে হাইহুতাস করেছেন। গরম আবহাওয়া থেকে মুক্তি পেতে সবাই যথা সম্ভব গাছ লাগানোর চেষ্টা করেছেন। আমি নিজেও বেশ কিছু গাছ লাগিয়ে ছিলাম। অনেক সময় দেখা যায় বৃষ্টি হওয়ার পরেও একটা ভাপসা গরম থাকে। তখন ঘরের ফ্যানের বাতাসও ভালো লাগে না, গাছের পাতাও নড়ে না, নদীর পানিও নড়ে না। বাহিরে গেলে দেখা যায় গাছ দাড়িয়ে আছে মূর্তির মত। মানে পরিস্থিতটা এমন বুঝা যায় যে, সব কিছু থমকে আছে,সব কিছু মোবাইলের মত হ্যাং মেরে আছে। তখন কিছুই ভালো লাগে না। তখন ঘরের ভিতরে শান্তি লাগে না,ছাদেও শান্তি লাগে না। তখন বাধ্য হয়ে ঘরের বাহিরে যেতে হয়।

তো এমনই এক গরমের দিনে বিকাল বেলা গিয়েছিলাম তিতাস নদীর পারে। নদীর পাড়ে গিয়ে দেখি সবাই গরমের কারনে ঘর থেকে বাহির হয়ে গেছে। নদীর পাড়ে যে বাতাস আছে তা কিন্তুু না। ঐযে পরিস্থিতি থমকে আছে। কিন্তুু মানুষ তো আর থমকে নাই। সবার একটু স্বস্তির আশায় নদীর পাড়ে এসে জমায়েত হয়েছে। আমরা বেশ কয়েক জন নদীর পাড় দিয়ে হাটতে লাগলাম। হঠাৎ করে নজরে পড়লো এক লোক আখের রস বিক্রয় করছে। সবাই লাইন ধরে আখের রস খাচ্ছে। তো আমরা সবাই প্রচন্ড গরমে তৃষ্ণা মেঠাতে আখের রস খাওয়ার চিন্তা করলাম। আখের রসে প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। আখের রস লিভারকে সুস্থ রাখে ও লিভারকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। আখের রস পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি শরীরে একটি শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম তৈরি করতে পারে যা শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। আখের রস ব্রণ থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে।

আমরা আট জন ছিলাম। আমরা আখের রসের অর্ডার দেওয়ার পরে সেই মামা মোটা তাঁজা দেখে কয়েকটি আখ গাছ বের করলেন। সেখানে দেখলাম মামা আখের গাছ গুলোর ডাল পালা ছাটাই করে পলিথিন দিয়ে ডেকে রেখেছে। যেন ধুলাবালি ময়লা আখের গাছে না পড়ে। আখ থেকে রস বের করার মেশিনটাও অনেক পরিষ্কার দেখলাম। শহরে দেখা যায় মেশিনের সামনে একটি বড় বরফের টুকরা দিয়ে রাখে। সেখানে এমনটা দেখলাম না। সেখানে যা কিছু দিয়েছে সবটাই আখের রস ছিল। গ্রামের মানুষ তো খুবই সহজ সরল। ভিতরে কোন দুই নাম্বারি নেই। শহরে তো তিন ভাগের এক ভাগ দেয় আখের রস আর বাকি দুই ভাগ দেয় বরফের পানি। আর মেশিন কিভাবে পরিষ্কার করে সেটা নাই বললাম।

দেখতে দেখতে আমাদের আখের রস রেডি হয়ে গেলো। আমাদেরকে একে একে দিতে লাগলেন। আমি আগে সবাইকে এক গ্লাস করে দিলাম। সেখানে মামার কাছে পাঁচটি গ্লাস ছিল, যার কারনে প্রথম পাঁচ গ্লাস দিয়ে পরে আবার তিন গ্লাস দিলো। আমি সবার শেষে খেলাম। প্রতি গ্লাস আখের রসের দাম নিলো বিশ টাকা করে। রসের স্বাদ ছিল অন্যরকম। শত ভাগ পিউর ছিল। রসের মধ্যে কোন ধরনের বরফ বা ক্যামিকেল ছিল না। আখের রস খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর দিয়ে প্রকৃতি দেখতে দেখতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।