“সান্তনা দে” টেলিফিল্ম রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
বাংলাতে শেয়ার করো তোমার মনের অনুভূতি
হ্যালো
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। আজকে আবার আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আজকে আপনাদের সাথে খুবই হাঁসির একটি টেলিফিল্ম রিভিউ শেয়ার করবো। টেলিফিল্মটি আমি প্রথম দেখেছিলাম কয়েক বছর আগে। গতকাল ইফতারের পরে ল্যাপটপের স্কিনে চোখ যেতেই টেলিফিল্মটি আবার দেখলাম। যারা হাঁসতে চান, তারা টেলিফিল্মটি দেখবেন। হাঁসতে হাঁসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাবে।
টেলিফিল্মের কিছু প্রয়োজনী তথ্য-
টেলিফিল্মের নাম | সান্তনা দে |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | আদিবাসী মিজান |
অভিনয়ে | মোশাররফ করিম, নাদিয়া আহমেদ, জামিল হোসেন, তাবাসসুম মিথিলা, এ্যানি খান এবং আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ২ ঘন্টা ৭ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ২২ জানুয়ারী- ২০১৮ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | ড্রামা |
দেশ | বাংলাদেশ |
টেলিফিল্মের সংক্ষিপ্ত রিভিউ -
আদিবাসী মিজান কর্তৃক পরিচালিত ঈদের আগের রিলিজ হওয়া খুবই মজার ও হাঁসির একটি টেলিফিল্ম হলো “সান্তনা দে”। টেলিফিল্মটি এতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে এখন পর্যন্ত টেলিফিল্মটিতে প্রায় ২৮ মিলিয়নের উপরে ভিউ হয়েছে। যা প্রথম দিকে চিন্তার বাহিরে ছিল। এছাড়াও কয়েক লাখের উপরে লাইক এবং কয়েক হাজার কমেন্ট পড়েছে। টেলিফিল্মটির নামের মধ্যেই কেমন একটা হাঁস্যকর রহস্য দেখা যায়। ভিতরে এমন কিছু সিন রয়েছে, এমন কিছু ডায়ালগ ব্যবহার করা হয়েছে যা শুনলে যারা জীবনে হাঁসেনি তারাও হাঁসতে হাঁসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাবে। আমি কয়েক জনের কাছে টেলিফিল্মটির নাম শুনে, ডায়ালগ গুলো শুনে পরে দেখেছিলাম।
টেলিফিল্মটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে খুবই পুরাতন ও আলোচিত নাটক অভিনেতা মোশাররফ করিম ও তার বিপরিতে ছিল নাদিয়া আহমেদ, এছাড়া ছিল জামিল হোসেন ও তাবাসসুম মিথিলা। এ্যানি খানের অভিনয় জাষ্ট অসাধারন ছিল। আমি মাঝে মাঝে চিন্তা করে পায় না যে,তারা এসব কথা বলে তারা না হেঁসে থাকেন কি ভাবে। অভিনয় কঠিন একটা বিষয়,যা সবার দ্বারা হয় না। আপনারা ইচ্ছা করলে নাটকটি দেখতে পারেন।
মোশাররফ করিম আর জামিল হোসেন তারা আপন দুই ভাই। তারা দুই ভাই যেখানেই যায় সবসময় এক সাথে থাকে। তারা দুই জন একই কালারের শার্ট পড়ে। মজার বিষয় হলো তারা দুই ভাই পড়াশোনা করে নাই। তারা সবসময় তাদের মায়ের কথা মেনে চলে। তাদের মা যেটা বলে তারা সেটাই করে। মানে মা ভক্ত ছেলে তারা । তাদের মায়ের উদাহরন হলো যারা পড়াশোনা করে তারা চাকরি করে,আর চাকরি করা মানে হলো কারো অধিনে থাকে,চাকরের মত কাজ করা। এটা তার মা কখনো মেনে নিতে পারে না। তাই তার ছেলেদের পড়াশোনা করাবে না। মা-বাবার মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে জগড়া হলে ছেলেরাও মায়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। তবে তারা বাবা মাকে এক সাথেই দেখতে চায়। একেবারে গ্রাম্য একটি পরিবেশে নাটকটি করা হয়েছে। সম্ভবত ময়মনসিংহের কোন গ্রামে হবে।
টেলিফিল্মটিতে একটি মজার বিষয় হলো তারা দুই ভাই পড়াশোনা না করলেও তারা দুইজন দুইটি মেয়ের সাথে প্রেম করে। প্রতি সাপ্তাহে একদিন তারা তাদের গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যায়। সেটা আবার তাদের মায়ের কাছে বলে যায়। তাদের মা আবার তাদের যাওয়ার সময় হাত তুলে দোয়া করে দেয়,তার দুই ছেলে যেন প্রেম করে সুন্দর ভাবে বাসায় ফিরে আসে,হা হা হা। এখানে আরো একটি মজার বিষয়ে হলো জামিলে হোসেনের গার্লফ্রেন্ড তার সাথে ধীর্ঘ দিন প্রেম করে,তাকে ছেড়ে চলে যেতে চাই। তখন জামিল হোসেন আর মোশাররফ করিম তার কাছে সান্তনা চাই। তার গার্লফ্রেন্ড তাকে সান্তনা দিতে না পারায়,সেটা নিয়ে দুই ভাই কি অবস্থা করে,সেটা নাটকটি দেখলে বুঝতে পারবেন।
হঠাৎ করে মোশাররফ করিমের মা ও তার বাবা তাদের বাড়িতে গৃহ শিক্ষক রেখে তাদের পড়াশোনা করানোর সিদ্ধান্ত নেয়। আর সেই জন্য একজন মাষ্টারকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে ইন্টারভিউ দেওয়ার জন্য। সেই ইন্টারভিউ নিবে আবার তাদের মা। তাদের মা মাস্টারকে জিঙ্গেস করে সে কি পাশ করেছে। মাষ্টার বলে এমএ পাশ করেছে। তখন তাদের মা বলে এমএ পাশ করলে হবে না,তার ছেলেদের পড়াতে হলে মাষ্টার্স পাশ করতে হবে,হা হা হ। তারপর মোশাররফ করিম ও জামিল হোসেনের এক বোন ছিল,সে আবার সবাইকে বুঝিয়ে বলে। তখন তারা মাষ্টারকে রাখে পড়ানোর জন্য, এটা নিয়ে হয় বিশাল কান্ড। এই মাষ্টারের সাথে আবার তাদের বোন প্রেম করে। সব মিলিয়ে অনেক মজার একটি নাটক।
নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-
আজকের টেলিফিল্মটিতে পারিবারিক একটি টেলিফিল্ম। আগের দিনে গ্রামগঞ্জের কিছু পরিবারের চিন্তা ভাবনা ছিল যে,তাদের ছেলে মেয়েকে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য পাঠালে,মাষ্টার তাদের ছেলেমেয়ে দেরকে মারবে,বেতের বারি দিবে,এটা তারা মেনে নিতে পারতো না। চাকরি করা মানে চাকর হয়ে থাকা ইত্যাদি। ধীরে ধীরে সব কিছুর পরিবর্তন এসেছে। টেলিফিল্মটিতে শিক্ষনীয় তেমন কিছু নাই। জাষ্ট বিনোদনের জন্য টেলিফিল্মটি দেখতে পারেন।
নাটকের লিংক
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এই নাটকটা আমি অনেক দিন আগে দেখেছি। গতদিনে রবিবারের আড্ডায় যখন রায়হান ভাইয়ের গল্প শুনছিলাম শুধু এই নাটকের কথা মনে পড়ছিল আবার। আজকে আপনি সেই নাটকটা রিভিউ করে দিয়েন রায়হান ভাইয়ের প্রেম কাহিনী স্মরণ করিয়ে দিলেন। যাইহোক বেশ ভালো লাগলো সান্তনা দে নাটকটা রিভিউ দেখে। মোশারফ এর অভিনয় নিখুঁত ছিল এখানে
ভাইয়া নাটকটি অনেক মজার। যারা দেখেছে,তার বুঝতে পারে। ধন্যবাদ।
কয়েক বছর আগে যে টেলিফিল্মটা দেখেছিলেন সেটা গতকালকে দেখার পরে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করে দিলেন। টেলিফিল্ম এর রিভিউটা পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে শিক্ষা জীবনে টিচারদের শাসন এটা স্টুডেন্টের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা বুঝতে পারে না বিধায় এই ধরনের মানসিকতা তাদের ভিতরে বিরাজমান করে। তবে এটা ঠিক চাকরি মানে চাকর। যেখানে নিজের কোন স্বাধীনতা নেই। তবে টেলিফিল্মে বেশ শিক্ষণীয় বিষয়ে তুলে ধরা হয়েছে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এটা শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া হাসিঁর ছলে নাটকটিতে মজার তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। ধন্যবাদ।
আপনি আজকে অনেক সুন্দর করে সান্ত্বনা দে টেলিফিল্মটির রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে এটার রিভিউ পোস্ট পড়তে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে সময়ের কারণে এগুলো এখন দেখা হয় না। আপনি অনেক সুন্দর করে রিভিউর মাধ্যমে এই টেলিফিল্মটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে আগের দিনে ফ্যামিলি চিন্তাভাবনা গুলো একটু ভিন্ন ছিল। চাকরি করলে চাকর ভাবতো, প্রতিষ্ঠানে পাঠালে শিক্ষক মারতো এরকমটাই মনে করত। খুব সুন্দর হয়েছে পুরোটার রিভিউ পোস্ট।
জী আপু নাটকটিতে আগের দিনের মন মানুষিকতা ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। ধন্যবাদ।
নাটকের নামটি তো সেই সুন্দর। সান্তনা দে পড়লেই কেমন একটা শান্তি শান্তি লাগছে হা হা। নাটকটি পড়ে বেশ ভালই লাগলো। সময় পেলে অবশ্যই নাটকটি দেখব। সুন্দর একটি নাটক রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী আপু নাটকটির নামের মধ্যেই কিছুটা হাঁসি লুকিয়ে আছে। ধন্যবাদ।
মোশারফ করিমের নাটকগুলো আমি দেখি। আগেকার নাটকে গুলো ভীষণ ভালো লাগে আমার। বর্তমানে ভাইয়া চাকরি করার ভীষণ কষ্টের। আগেকার সময় মানুষ আসলেই ভয় পেত। শিক্ষকরা ছাত্রদের মারতো। মারতে যে কেন তারা আর বুঝতো না। শিক্ষকরা তাদের ভালোর জন্যই মারতো। অন্যের আন্ডারে চাকরি করতে হলে অনেক কথাই হজম করতে হয়। অনেক সুন্দর ভাবে নাটকটি রিভিউ করেছেন ভালো লাগলো।
জী ভাইয়া আগের দিনে,ছাত্ররা শিক্ষক দের ভয় পেতো। তবে এখন সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। ধন্যবাদ।
টেলিফিল্ম আমি আগে দেখেছি এখন দেখি না। আপনি আজকে দেখছি অনেক আগের একটা টেলিফিল্ম এর রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এটার মাধ্যমে আগের দিনের মানুষদের চিন্তাভাবনাকে সুন্দরভাবেই ফুটিয়ে তুলেছে দেখলাম। আগে মানুষদের চিন্তাভাবনা ছিল সব থেকে ভিন্ন। যদিও এখান সেগুলোর থেকে পরিবর্তন এসেছে। এই নাটকটা কিন্তু আসলেই অনেক মজার ছিল। নাটকটা দেখলে ভালোভাবে কাহিনীটা জানতে পারবো। যদি সময় পাই তাহলে অবশ্যই নাটকটা আমি দেখব।
জী ভাইয়া নাটকটি নতুন পুরাতন অনেক কিছু নিয়ে নির্মান করা হয়েছে। ধন্যবাদ।