“একাই-১০০” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
বাংলাতে শেয়ার করো তোমার মনের অনুভূতি
হ্যালো
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। অনেক দিন পরে আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে ব্যাচেলর জীবন যাপন ভিত্তিক একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করবো। ঢাকা শহরে বাড়িওলাদের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠিত হয়ে একজন ভিন্ন ধরনের জীবন যাপন শুরু করেন। আর সেটা নিয়েই আজকের নাটক। আশা করি নাটকটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
নাটকের কিছু প্রয়োজনী তথ্য-
নাটকের নাম | একাই-১০০ |
---|---|
পরিচালনা | মিজানুর রহমান আরিয়ান |
প্রযোজক | এসকে শাহেদ আলী |
অভিনয়ে | আফরান নিশো, মেহজাবিন চৌধুরী, সুষমা সরকার, সারাফ আহমেদ জিবন প্রমুখ। |
দৈর্ঘ্য | ৩৮ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ৩ই আগস্ট-২০২৩ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | ড্রামা |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ -
মিজানুর রহমান আরিয়ান কর্তৃক পরিচালিত ও এসকে শাহেদ আলী প্রযোজিত ব্যাচেলর জীবন যাপন ভিত্তিক দারুন একটি নাটক হলো “একাই-১০০”। ২০২৩ সালের ৩ই আগস্ট নাটকটি রিলিজ হয়। এখন পর্যন্ত নাটকটিতে ৯.৫১ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে, এক লাখ ৫৭ হাজারের উপরে লাইক আর দুই হাজার প্লাস কমেন্ট পড়েছে। নাটকটি রিলিজ হওয়ার পরে দারুন আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও তার বিপরীতে ছিল মেহজাবিন চৌধুরী। তারা দুইজনই নাটকের আইডল,দর্শকদের মধ্যমনি। প্রশংসার দিক দিয়ে কাউকে পিছনে ফেলানো যাবে না। আফরান নিশোর যেমন ভক্ত রয়েছে ঠিক তেমনি মেহজাবিন চৌধুরীর ও প্রচুর ভক্ত দর্শক রয়েছে। দুইজনের নাটক ভালই চলে। তারা এখন নাটকরে পাশাপাশি মুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুুভি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আফরান নিশোর একটি টেলিফ্লিম প্রচুর আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকাতে ব্যাচেলরদের সব থেকে বড় একটি সমস্যা হলো বাসা ভাড়া। তারা বাসা ভাড়া পেতে অনেক কষ্ট হয়। যদিও কোনরকম বাসা পেয়ে যায় তাতে ভিন্ন ধরনের কন্ডিশন থাকে। যেমন- রাতে ১১ টার পরে বাসায় ফেরা যাবে না,এক মাসে দুইবারের বেশি গেষ্ট আসা যাবে না। সিড়িতে বসা যাবে না,ছাদে যাওয়া যাবে না ইত্যাদি আরো অনেক শর্ত থাকে।
নাটকটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো। সে একটি বাসায় ভাড়া থাকতো। একদিন সে অফিস থেকে রাতে ১১ টার পরে বাসায় ফিরে। কিন্তুু বাসায় এসে দেখে প্রধান গেইটে তালা দেওয়া। তারপর সে বাড়িওলার কাছে ফোন দেয়। তখন বাড়িওলা তাকে জানায় যে ১১টার পরে বাসায় প্রবেশ করা নিষেধ। তাই রাতটা রাস্তায় কাটিয়ে সকালে বাসায় ফিরতে। যার ফলে নিশো অভিমান করে ব্যাচেলর বাসা ছেড়ে দিয়ে একটি গাড়িতে বসবাস শুরু করে। এই গাড়িতেই খায়,ঘুমায় সব কিছু করে। শুধু ওয়াশ রুমের কাজ ও গোসলটা পাবলিক ওয়াশরুমে গিয়ে করে।
কিছুদিন পরে তার কাছে তার এক বন্ধু বিদেশ থেকে বেড়াতে আসে। তারপর রাস্তায় দাড়িয়ে কথা বার্তা বলে বন্ধু বলে চল তর বাসায় যায়। তখন আফরান নিশো বলে আমার তো কোন বাসা নেই। আমি এই গাড়িতেই থাকি। আমি একাই-১০০। আমার কোন সঙ্গি লাগে না। আমার এই গাড়িতে টয়লেট ছাড়া সব আছে। আর অনলাইন থেকে খাবার অর্ডার দিয়ে খাবার খায়। আর মাঝে মাঝে লং ড্রাইবে যায়। আমার গাড়িতে বসবাস করতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। সে কখনো বিয়ে করবে না বলেও জানিয়ে দেয়।
একদিন রাতের বেলা বৃষ্টি হচ্ছে আর তখন আফরান নিশো গাড়িতে বই পড়ছে। এমন সময় হঠাৎ করে এক বাসার বান্দায় মেহজাবিন চৌধুরীকে দেখতে পায়। মেহজাবিন হাতে বৃষ্টি ধরে বৃষ্টি বিলাস করছে। তাকে দেখে আফরান নিশোর হৃদয়ে প্রেম জাগ্রত হতে থাকে। তাকে দেখে সে একটু অন্য মনস্ক হয়ে যায়। পরের দিন আফরান নিশো কাপড় চোপড় ধুয়ে রোদে মেলে দেয়। পরের দিন দেখে তার জাঙ্গিয়া নেই। তখন সে অনেক খুঁজা খুঁজি করেও তার জাঙ্গিয়া পেল না। এমন একটা জিনিষ যে কাউকে জিঙ্গেস করবে,সেটাও কাউকে বলতে পারছে না। হঠাৎ করে একদিন সে ঐ বাসার বারান্দায় তার জাঙ্গিয়া গুলো দেখতে পায়। এমন সময় সে মেহজাবিনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে কিছু কথা শুনায়। পরের দিন মেজাবিনের খালা তার ছোট ভাইসহ জাঙ্গিয়া গুলো ফেরত দিয়ে যায়। আর বলে যায় এগুলো মেহজাবিন নেয়নি,নিয়েছে তার খালতো ভাই।
তারপর আফরান নিশো লজ্জিত হয়ে মেহজাবিনের নিকট ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ খুঁজে। বেশ কিছুদিন চেষ্টা করার পরে,মেহজাবিনের কাজিনকে অনেক চকলেট,বিস্কুট,চিপস দিয়ে মেহজাবিনের কাছে ক্ষমা চেয়ে সরি বলে। তবে তার বিপরীতে মেহজাবিন কোন উত্তর দেয়নি। যার ফলে সে আবার তাকে বলে আমাকে হ্যাঁ না কিছু বলো। তখন মেহজাবিন বারান্দা থেকে চলে যায়। পরের দিন রাতের বেলা গাড়িতে চক দিয়ে লিখে দেয় আমি কথা বলতে পারি না। তখন আফরান নিশো নিজের ভুল বুঝতে পারে। এমন আরো কিছু রোমান্টিক মূহর্ত দেখতে নাটকটি দেখে ফেলুন।
নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-
আজকের নাটকটি দিয়ে সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ঢাকা শহরে ব্যাচেলরা কত কষ্টে থাকে। তারপর আরেকটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে যে মানুষ বাসাবাড়ি বাদ দিয়েও গাড়িতেও বাচঁতে পারে। আর সেই চিত্র অভিনয় করে দেখিয়ে দিয়েছে। আসলে এভাবে গাড়িতে, লঞ্চে, বিমানে,নৌকাতে মানুষ বসবাস করে। ওয়াশ রুমের সুবিধা থাকলে মানুষ যে কোন জাগায় বসবাস করতে পারে। ভবিষ্যতে হয়তো এমন চিত্র আমরা আরো অনেক দেখতে পাবো। সবাই নাটকটি দেখলে অনেক মজা পাবেন।
নাটকের লিংক
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এই নাটকটি আমি অনেক আগে দেখেছিলাম। অনেক দিন হলো আরফান নিশো এবং মেহজাবিন চৌধুরীর নাটক দেখা হয়না। আজকে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে নাটকটি দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। নাটকটির গল্প ছিলো অনেক সুন্দর ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
জী ভাইয়া বিচিত্ররকম একটি নাটক। দেখে ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ।
খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখা নাটকের রিভিউটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো আমার। আসলে উক্ত নাটকের মধ্যে ব্যাচেলরদের বিষয়টি চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আসলে ব্যাচেলররা যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের কষ্ট স্বীকার করতে দ্বিধাবোধ করে না।
জী ভাইয়া এখানে ব্যাচেলরদের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছে। ধন্যবাদ।
নাটক দেখতে মাঝে মধ্যে ভালই লাগে। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। যদিও নাটকটি দেখা হয়নি। তবে পুরো নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সময় করে নাটকটি অবশ্যই দেখার চেষ্টা করব। এত সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জী আপু সময় পেলে দেখে নিবেন। ধন্যবাদ।
একাই 100 এই নাটকটা যদিও এখনো পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি, তবে নাটকটার সম্পূর্ণ কাহিনী আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। আসলে এটা ঠিক যে ঢাকা শহরে ব্যাচেলার অনেক কষ্টে থাকে আর কষ্টে থাকতে হয়। আর এরকমটাও ঠিক গাড়ির মধ্যেও বসবাস করা যায়। ঠিকই বলেছেন আপনি এরকম দৃশ্য হয়তো আমরা ভবিষ্যতে আরো দেখতে পাবো। মেহজাবিন ছক দিয়ে লিখে দিয়েছিল সে কথা বলতে পারেনা। আর তখন দেখছি আফরান নিশো ও তার নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছিল। এখন নাটকের শেষে কি হলো এটাই তো জানলাম না। এটা দেখার জন্য অবশ্যই নাটকটা আমি দেখব।
নাটকটির নামটি যেমন অদ্ভুত। দেখলেও অদ্ভুত লাগবে। ধন্যবাদ।
আরফান নিশোর নাটক আমার কাছে খুব একটা ভালো লাগে না। তবে মাঝেমধ্যে কিছু নাটকের অভিনয় খুবই ভালো লাগে। আপনার আজকের এই নাটকে রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনে ধন্যবাদ আপু। আশা করি সবসময় সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ।
মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত প্রত্যেকটা নাটক আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর অভিনয় শিল্পী হিসেবে নাটকের জগতে আফরান নিশো ভাই আমার ফেভারিট একজন অ্যাক্টর। তার প্রত্যেকটা নাটক আমি দেখে থাকি। একাই একশ নাটকটি আমি দেখেছি অনেক সুন্দর একটি নাটক। তবে আপনার দেওয়া রিভিউটি পড়ে দেখার প্রতি আবার আগ্রহ জাগল।
জী ভাইয়া তারা নাটক জগতের মধ্যে খুবই বিখ্যাত। ধন্যবাদ।
অনেকদিন হয়েছে মেহজাবিন চৌধুরী এবং আফরান নিশোর নাটক গুলো দেখাই হয় না। আসলে আগে নাটক দেখার চেষ্টা করতাম মাঝে মাঝে, তবে এখন সময়ের কারণে নাটক দেখাই হয় না। কিন্তু এখনো চেষ্টা করি সময় পেলে নাটক দেখার। একাই একশ নাটকটা আমার এখনো পর্যন্ত দেখা হয়নি। আর তাই সময় পেলে চেষ্টা করব দেখে নেওয়ার। এই নাটকটাতে কিন্তু বেশ কয়েকটা বিষয় রয়েছে। যেগুলো আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। সুন্দর করে পুরো নাটকের রিভিউ লিখে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া সময়ের অভাবে অনেক কিছুই মিস হয়ে যায়। ধন্যবাদ।