“প্রিয় ভিলেন” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকটি গত মাসে রিলেজ হয়েছে। নাটকটি রিলেজ হওয়ার সাথে সাথে প্রচুর আলোচনায় চলে এসেছে। নাটকটি ইমোশনের উপর ভিত্তি করে তৈরী করা হয়েছে। নাটকটি দেখার আগে মনে হয়নি এত সুন্দর হবে। আশা করি আপনারা যদি দেখেন তাহলে অবাক হয়ে যাবেন। নাটকের নামের মধ্যে লক্ষ করলে কিছুটা ধারনা করতে পারবেন। চলুন রিভিউ শুরু করি।
নাম | প্রিয় ভিলেন |
---|---|
পরিচালনা | মোঃ তৌফিকুল ইসলাম |
চিত্রনাট্য | জাকারিয়া শোখিন |
অভিনয়ে | অপূর্ব, কেয়া পায়েল, আবুল হায়াত এবং আরও অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ১ ঘন্টা ০৮ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ৩১শে মে ২০২৩ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- অপূর্ব-আবরার
- কেয়া পায়েল-নন্দিনী
আজকের নাটকটির নামের মধ্যে নাটকের কিছু চরিত্র বুঝা যায়। ঢাকা শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত একটি বাড়িকে কেন্দ্র করে নাটকটি সাজানো হয়েছে। বাড়িটির মূল মালিক হলো আবুল হায়াত। আর বাড়িটির নাম হলো প্রিয় নন্দিনী। এই বাড়িতে সর্বপ্রথম আবুল হায়াতের বড় ছেলের ঘরে একটি মেয়ে হয়। আর সে জন্য আবুল হায়াত আদর করে তার নাতনির নামও রেখে দেন নন্দিনী। আবুল হায়াত একজন শিক্ষক মানুষ ছিলেন। তিনি একসময় একটি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। হঠাৎ করে একদিন আবরার নামের একটি ছেলে আবুল হায়াতের ছাত্র পরিচয় দিয়ে বাড়িতে আসে। বাড়িতে এসে বলে স্যার আমি আপনার একজন সাবেক ছাত্র,আজকেই লন্ডন থেকে আসলাম। আমি আপনার বায়োগ্রাফি লিখতে চাই। আবুল হায়াত আবরারকে বায়োগ্রাফি লেখার অনুমতি দেয় আর নন্দিনীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।
আবরার এই বাড়িতে আসার দ্বিতীয় দিন কিছু ডেভেলপার আসে আবুল হায়াতের কাছে। ডেভেলপাররা আবুল হায়াতের প্রিয় নন্দিনীকে কিনে এখানে আধুনিক ডিজাইনের বাড়ি করতে চায়। আবুল হায়াত কয়েক বার বারন করে দেওয়ার পরও তারা বার বার এসে ডিস্টার্ব করছে। এমন সময় আবরার এসে ধমক দিয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এই বিষয়টা আবুল হায়াতের কাছে অনেক ভাল লাগে। এই বাড়িতে আসার পর থেকে আবরারের সাথে নন্দিনীর ভাল একটি সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। এখানে অনেক রোমান্টিক দৃশ্য রয়েছে।
আবরার ধীরে ধীরে আবুল হায়াতের সাথে মিশতে থাকে। আবরার আবুল হায়াতের জীবনের সব কিছু জানার চেষ্টা করে। আবুল হায়াত লক্ষ করলেন আবরার ছেলেটা অনেক ভাল। আর নন্দিনীর সাথে খুব ভালভাবে মিশে গেছে। সে জন্য আবুল হায়াত তার প্রিয় নাতনি নন্দিনীকে আবরারের সাথে বিয়ে দিতে চায়। এই বিষয়টা আবরারের সাথে শেয়ার করলে সেও রাজি হয়ে যায়। ধীরে ধীরে আবরার বাড়ির সবার মন জয় করে ফেলে। যার ফলে বাড়ির সবাই আবরারকে হোটেল ছেড়ে তাদের বাড়িতে চলে আসতে বলে। আবরার বাড়িতে এসে আবুল হায়াতের স্বাস্থের দিকেও নজর রাথে। সময়মত ঔষুধ খাইয়ে দেয়। মোট কথা আববার এই বাড়ির একজন সদস্যের মত হয়ে গেছে।
একদিন বাড়ির সবাই এক জাগায় বেড়াতে যায়। আর আবুল হায়াতের দায়িত্ব দিয়ে যায় আবরার উপরে। আববার ঔদিন বায়াগ্রাফি পাবলিশ করার কথা বলে আবুল হায়াতের কাছ থেকে একটি স্বাক্ষর নেয়। পরেরদিন আবার সেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। সবাই আবরারকে খুজতে থাকে কিন্তুু আবারকে কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি। ঐদিন রাতের বেলা আবুল হায়াতের ব্যাংক একাউন্টে পাচঁকোটি টাকার একটি ম্যাসেজ আসে। আর সকাল বেলা সেই ডেভেলপাররা প্রিয় নন্দিনীতে এসে হাজির হয়। তারা এসে বলে যে স্যার, আপনি বাড়িটি কবে ছাড়বেন। আপনার একাউন্টে পাচঁকোটি টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। আর আপনিও দলিলে স্বাক্ষর করে দিয়েছেন। এমন সময় একটি গাড়ি দিয়ে আববার সেই বাড়িতে প্রবেশ করে। তখন কারোর আর বুঝার বাকি থাকে না যে আবারার সবার সাথে প্রতারনা করে এই কাজটি করেছে।
প্রতারকরা কখনো শান্তি পায় না। ঐবাড়িটি তাদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য যে জাল বিছিয়ে ছিল সেই জালে আবরার ও তার বন্ধুও আটকা পড়েছে। নন্দিনীর ইমোশনের কাছে আববরার হেরে যায়। সে যেখানে যায় সেখানেই নন্দিনীর চেহেরা ভেসে উঠে। এক সময় আবরার সিদ্ধান্ত নেয় যে প্রিয় নন্দিনীর দলিলটি সে ফেরত দিয়ে দিবে। তারপর তার বন্ধু থেকে দলিল আনতে গিয়ে নিজে গুলি খায় ও বন্ধুকে গুলি করে হত্যা করে ফেলে। তারপর অনেক কষ্টে দলিলটি ফেরত দেয়। তবে আবরার বেছে থাকতে পারে নাই। সবই ইমোশেনের খেলা।
নাটকটি দেখে আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। নাটকটি মুভি আকারে করা হয়েছে। নাটকের মধ্যে মূল বিষয়টি হলো ইমোশনাল। প্রথম দিকে আবারার ইমোশনের মূল্য দেয় নি। কিন্তুু পরে ইমোশনের মূল্য দিতে গিয়ে নিজের মৃত্যু ডেকে আনে। অন্য দিকে একটি বিষয় হলো পাপ কাউকে ছাড়ে না। পাপ করলে পাপের শান্তি পেতেই হবে। নাটকটির মূল বিষয়টা আমি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনরা যদি নাটকটি না দেখেন তাহলে সেটা ভাল ভাবে বুঝবেন না। নাটকটির মধ্যে অনেক কিছু বুঝার আছে। আবার অন্য দিকে নাটকটিতে বেশ রোমান্টিকতা রয়েছে। আশা করি আপনার মনযোগ সহকারে দেখলে অনেক মজা পাবেন এবং অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
খুবই সুন্দর একটি নাটক রিভিউ করেছেন ভাইয়া ৷ এই নাটকটির প্রথম অংশ অনেকটা দেখেছি আমি গতকাল রাতে ৷ বেশ ভালোই লেগেছে , তবে শেষের অংশটা এখনো দেখা হয়নি ৷ আপনার রিভিউ পড়ে বেশ ভালোই লাগলো ৷ সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন গোটা নাটকটি ৷ ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য ৷
জী ভাইয়া নাটকটি সত্যিই খুব সুন্দর। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পুরো একটা নাটক দেখে সেই নাটকের রিভিউ লেখা বেশ কষ্টকর। যদিও কখনো করা হয়নি তবে আপনাদের এ ধরনের পোস্টগুলো দেখতে আমার বেশ ভালো লাগে। এই অভিনেতা অভিনেত্রী আমার খুবই পছন্দের আর গল্পটাও বেশ ভালো লেগেছে নাটকের। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ দেওয়ার জন্য।
জী আপু একটি নাটক রিভিউ করতে অনেক সময় লাগে। ধন্যবাদ আপু।
নাটকটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছিল।আমিও এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছিলাম।নাটকের মধ্যে গানটিও বেশ চমৎকার লেগেছে আমার কাছে।আপনি নাটকটির সুন্দর রিভিউ করেছেন।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জী আপু মাঝে মাঝে গানের সুরটা খুবই রোমান্টিক লাগে। ধন্যবাদ আপু।
অপূর্ব হলো আমার ক্রাশ। আমার কাছে অপূর্বের নাটক হলে তো আর কথাই নেই। আর আপনার করার এই নাটকটি আমি বহুবার করেছি। বেশ সুন্দর হয়েছে নাটকটি। আমার তো মজাই লেগেছে। তবে আপনার রিভিউ কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে। খুব সুন্দর করে প্রতিটি বিষয় তুলে ধরেছেন।
অপূর্ব যে আপনার ক্রাশ সেটা কি ভাইয়া জানে। জানলে তো স্টোক করবে,হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।
বাহ ভাই আপন আজকে যে নাটকটি রিভিউ করেছেন এই নাটকের নামটি বেশ ভালো লেগেছে আমার, প্রিয় ভিলেন। অনেকদিন পরে আবুল হায়াতের কোন নাটকের রিভিউ দেখলাম। একটা সময় এই ব্যক্তিটা খুব সুন্দর অভিনয় করতেন। এখন অবশ্য বয়স হয়ে গেছে তারপর অভিনয় সুন্দরতা একটু কমেনি। খুব ভালো লেগেছে আপনার নাটকের রিভিউ পড়ে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার দেয়ার জন্য।
জী ভাইয়া তারা তো এখন আর অভিনয় করে না। তাদের অভিনয় দারুন ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কেউ পাপ কাজ করে তার শাস্তি থেকে মুক্তি পায় না। একসময় না একসময় সেই পাপ কাজের শাস্তি তাকে ভোগ করতে হয়। হয়তো সে বুঝতে পারে না কোন পাপ কাজের শাস্তি সে পাচ্ছে। আবরার এর ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটি হয়েছে। যদিও সে শেষে তার ভুল বুঝতে পেরেছিল এবং দলিলটি ফেরত দিয়েছিল। কিন্তু সে আর বেঁচে থাকতে পারল না। পাপের প্রাশ্চিত্ত তাকে করতেই হলো জীবন দিয়ে। খুব ভালো লেগেছে নাটকটির কাহিনী আমার কাছে।
জী আপু আবরার তার ভুল বুঝতে পারলেও সেটা অনেক দেরি হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপু।
এই নাটকটার রিভিউ পোস্ট এর আগেও একবার দেখা হয়েছে। যার কারনে নাটকটা দেখেছিলাম আমি। আজকে আপনার রিভিউ পোস্ট এর মাধ্যমে আবারও নতুন করে নাটকটার রিভিউ পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে। আসলেই এ নাটকটা অনেক বেশি ইমোশনাল ছিল। একটা মানুষ যদি পাপ করে তাহলে সে শাস্তি অবশ্যই পাবে। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার লেখা সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউটা।
জী আপু নাটকটি সত্যিই অসাধারন। দেখে অনেক মজা পেলাম। ধন্যবাদ আপু।
অপূর্ব এবং কেয়া পায়েলের নাটক বরাবরই আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি বেশিরভাগ সময় তাদের রোমান্টিক নাটক গুলো দেখে থাকি। তবে এই নাটকটি ভিন্নধর্মী মনে হচ্ছে। আসলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। দুই দিন আগে অথবা পরে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে। তাই কাউকে ঠকানোর আগে শতবার ভাবা উচিত। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করবো। যাইহোক এতো সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া অন্যান্য নাটক থেকে এটি ভিন্ন ধরনের একটি নাটক। ধন্যবাদ ভাইয়া।