“দেশি মুরগি” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️

হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। অনেক দিন হয়ে গেল নাটক রিভিউ দেয় না। তাই আজকে একটি হাসিঁর নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নামটা শুনেই হাসিঁ পায়। আর দেখলে তো হাসঁতে হাসঁতে পেট ব্যাথা হয়ে যাবে। চলুন শুরু করি আর দেরি করা যাবে না।

মূল চরিত্রেঃ

• নিলয় আলমগীর-রিফাত
• জান্নাতুল সুমাইয়া হিম-টুম্পা

সংক্ষেপ রিভিউ

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

মুসাফির রনি পরিচালনা আর মুসাফির খাঁন প্রযোজনা “দেশি মুরগি” নাটকটি দারুন হয়েছে। যারা দেখবে তারা যদি না হাসেঁ তাহলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে,হে হে হে। নাটকটি অভিনয় করেছেন বর্তমানের আলোচিত নাটকট অভিনেতা নীলয় আলমগীর আর জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। এক দেশি মুরগী নিয়ে তারা টম এন্ড জেরীর মত জগড়া করে। এখানে সব থেকে দারুন অভিনয় করে নীলয় আলমগীর তখা রিফাতের বাবা। তিনির অভিনয় এত সুন্দর হয়েছে যে বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি নাটকটি আপনারা না দেখেন তাহলে অনেক কিছু মিস করবেন।

এখন পর্যন্ত নাটকটি ২ মিলিয়নের উপরে ভিউ পেয়েছে আর ১৮ হাজারের উপরে লাইক পেয়েছে। তিনশোর উপরে কমেন্ট পড়েছে। কমেন্ট পড়লেও হাঁসি পায়। গত মাসের চৌদ্দ তারিখ রিলিজ হয়ে নাটকটি বর্তমানে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। নাটকটি শুরু হয় একটি দেশি মুরগির মাধ্যমে। দেশি মুরগিটি মূলত ছোট থেকে লালন পালন করেছে রিফাতের বাবা। রিফাতের মা বাসায় না থাকায় তিনি মুরগি টি জবায় করে গরম ভাতের সাথে খেতে চেয়েছিল। রিফাত যখন মুরগিটি ধরতে গেছে তখনই ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পাশের টুম্পাদের বাসায় চলে যায়। রিফাত যখন টুম্পাদের বাসায় মরুগি খুজতে যায় তখন টুম্পার মা বাসায় ছিল না। আর টুম্পার বাবা থাকে বিদেশ। যার ফলে টুম্পার সাথে রিফাতের তুমুল জগড়া হয়ে যায়।

রিফাত মুরগিটা দেখেও ধরতে পারে নি। মুরগি হারিয়ে যায়। মুরগি ছাড়া রিফাত বাসায় গেলে তার বাবা তাকে শর্ত দেয় যে মুরগির ত্রিশ গুন দাম উসুল করতে না পারলে তার জন্য বাড়ির খাবার দাবাড় সব বন্ধ। তাই রিফাত মুরগির জরিমানা আনার জন্য বার বার টুম্পাদের বাসায় যায়। এখানে মূলত রিফাত টুম্পার সাথে বার বার দেখা করা ও কথা বলার জন্যই মুরগির ঘটনাটা ঘটিয়েছে। কারন রিফাত টুম্পাকে মনে মনে পছন্দ করে। আবার টুম্পাও রিফাতকে মনে মনে পছন্দ করে। তবে কেউ মুখ খুলে কিছু বলতে পারে না। যেটা নাটকটি দেখলে বুঝতে পারবেন।

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

এই নাটকে টুম্পার জীবনের অভিশাপ হয়ে দাড়ায় এলাকার পাতি মাস্তান কাটা সামসু। সে আবার টুম্পাকে খুব পছন্দ করে। তবে টুম্পা আবার অন্য অরেকজনকে ভালোবাসে। টুম্পা রিফাতকে মুরগির ত্রিশ গুন দাম ৩০০ টাকার মুরগি নয় হাজার টাকা দিবে যদি সে কাটা সামসুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়। রিফাত সেই শর্ত মেনে নেয়। তারপর আরো একটি শর্ত ছিল। রিফাত কিভাবে টুম্পার দুইটি শর্ত পুরন করেছে সেটা জানতে হলে। দেখতে হবে নাটকটি। নাটকটি দেখলে আপনার ৪৫ মিনিট সময় লস হবে না। অনেক বিনোদন পাবেন।

স্ক্রিনশর্ট: ইউটিউব

মুরগির জরিমানা বাবদ টুম্পার মা আবার রিফাতের বাবাকে দুই হাজার টাকা দিয়েছিল। যেটা টুম্পা আর রিফাত জানে না। সেই রেশ গিয়ে পরে টুম্পা আর রিফাতের বিয়ের সময়। সেখানে টুম্পার মা কিছুতেই কিপটা বাড়িতে মেয়ের বিয়ে দিবে না। তাই রিফাতের বাবা তিনশো টাকা রেখে বাকি সতেরশো টাকা ফেরত দেয়। রিফাতের বাবার অভিনয় দেখলে শত চেষ্টা করেও মুখ বন্ধ করে রাখতে পারবেন না। মুখ ফসবে হাসিঁ বের হয়ে যাবে। অবশেষে অনেক রিকুয়েষ্টের পরে টুম্পার মা বিয়েতে রাজি হয়। কিন্তুু সেখানে আবার কাটা সামসু্ এসে হানা দেয়। নাটকের লাষ্টে গিয়ে আরেক জামেলা হয়। কিভাবে সব জামেলা মিটিয়ে রিফাত আর টুম্পার বিয়ে হয় সেটা দেখতে হলে নাটকটি দেখতে হবে। আর ফুল নাটকটি যদি দেখতে চান তাহলে নিচে নাটকের লিংক দেওয়া থাকবে। ক্লিক করে দেখে ফেলুন।

নিজস্ব মতামত-

নাটকটি মূলত ফানি বিষয়কে নিয়ে সাজানো হয়েছে। যাদের মন খারাপ,হাসিঁ পায় না তাদের এই নাটকটি দেখা জরুরী। আর কাউকে পছন্দ হলে তার সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে সেই উপায় এখানে খুঁজে পাবেন। ভালবাসার মানুষের জন্য মানুষ কত পন্থা অবলম্বন করে সেটা জানতে হলে দেখে ফেলুন নাটকটি। নাটকটিতে তেমন ভাল কিছু শিখার নেয়। জাষ্ট মজা নেওয়ার ছাড়া আর কিছু পেলাম না। রাতের বেলা বারোটার পরে নাটকটি দেখে অনেক ভাল লেগেছে। আপনারা ইচ্ছা করলে নাটকটি দেখতে পারেন। সবাইকে ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।