“রাজনীতি-২” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
বাংলাতে শেয়ার করো তোমার মনের অনুভূতি
হ্যালো
বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। অনেক দিন পরে আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি রাজনীতি-২ নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। গত মাসে আমি রাজনীতি-১ নাটকটি রিভিউ শেয়ার করেছিলাম। যার ফলে আজেকে দিত্বীয় অংশটা আপনাদের সাথে তুলে ধরছি।
নাটকের কিছু প্রয়োজনী তথ্য-
নাটকের নাম | রাজনীতি |
---|---|
পরিচালনা | মাইদুল রাকিব |
অভিনয়ে | মোশাররফ করিম ও তাসনিয়া ফারিন প্রমুখ। |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ৩১ ই মে ২০২০ |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | ড্রামা |
দেশ | বাংলাদেশ |
নাটকের সংক্ষিপ্ত রিভিউ -
“রাজনীতি” নাটকের প্রথম অংশে আমরা দেখেছিলাম যে মোশাররফ করিম ভার্সিটির ক্যাম্পাসে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে চাই। অনেক জাগায় ধাক্কা খেয়ে,শিক্ষা নিয়ে তারপর সে নেতা হওয়ার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। সে আবার একটু ভীতু টাইপের মানুষ। মারামারি,জগড়া,হাঙ্গামা এসব সে ভয় পায়। এখন নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে হঠাৎ একটা জামেলা হয়। সেই ভয়ে মোশাররফ করিম ভার্সিটির ওয়াশরুমে গিয়ে পালায়। এখন তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা তাকে খুঁজে না পেয়ে মোবাইলে কল করে। সে মোবাইল রিসিপ করে বলে আমি এমপি সাহেবের সাথে মিটিং এর মধ্যে আছি,হা হা হা। মানে মিথ্যা কথা বলে তাদের দলের লোকদের আশা ভরসা দেয়। বাংলাদেশের রাজনীতিটাই যেন কেমন। সব জাগায় মিথ্যার ছড়াছড়ি। কেউ সত্য বলতে চাই না। সবাই স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে। সবাই বাজেটের টাকা মেরে খায়।
ওয়াশ রুম থেকে বের হওয়ার পরে ভার্সিটির দপ্তরির সাথে মোশাররফ করিমের দেখা হয়। দপ্তরি আরো বড় বাটপার, চাপাবাজ, মিথ্যুক,ভন্ড। সে মোশাররফ করিমকে বলে এর আগে যত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে সবাইকে সে মনোয়ন দিয়েছে। আর সে যাকে মনোয়ন দেয় এমপি সাহেব,ভিসি স্যার তাকেই সভাপতি নির্বাচিত করে। এসব বিষয়ের সমস্ত মিটিং তার বাসাতেই হয়ে থাকে। এখন মোশাররফ করিম যদি দপ্তরির কথা শুনে তাহলে তার সভাপতি হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। দুইজনই বরিশালের মানুষ। মোশাররফ করিম আবার দপ্তরির চাপাবাজির নিচে পড়ে যায়। সে দপ্তরির বাসায় বিভিন্ন বাজার সদাই নিয়ে যায়। তাদেরকে শপিং করে দেয়। আবার দপ্তরির বউ চাইনিজ খেতে বলেছে,তাই একদিন তাদেরকে রেস্টুরেন্ট চাইনিজ খেতেও দাওয়াত দেয়। দপ্তরি আবার তার বউয়ের সাথে বাড়িওলার দারোয়ান,ড্রাইভার সবাইকে নিয়ে চাইনিজ খেতে যায়। এর এই চাইনিজের টাকা মোশাররফ বিভিন্ন পেশার মানুষ থেকে কালেকশন করে।
এক সময় দেখা যায় মোশাররফ করিমের গার্লফ্রেন্ড ফারিনের চাকরি হয়েছে। ফারিনের চাকরির জন্য মোশাররফ করিম অনেক চেষ্টা করেছে। সে এমপি সাহেবের পিএস সেজে রেল মন্ত্রীর পিএসের সাথে কথা বলে। অবশেষে অনেক কষ্টের ফলে ফারিনের চাকরি হয়। যার ফলে সে মোশাররফ করিমকে মিষ্টি খাওয়ায়। হঠাৎ করে ফারিনের মোবাইলে একটি নাম্বার থেকে কল আসে। ফারিন মোশাররফ করিমকে মিথ্যা কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়। মূলত ফারিনের হবু হাসবেন্ড তাকে কল দিয়েছে। পরে একদিন ফারিন মোশাররফ করিমকে বলে যে বাসা থেকে তার বিয়ে ঠিক করেছে,ছেলে পুলিশের এসআই। রাজনৈতিক ছেলেদের সাথে ফারিনের বাবা তার মেয়ে বিয়ে দিবে না। একথা বলে ফারিন মোশাররফ করিমের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। এখানে মোশাররফ করিম প্রথম ধাক্কা খায়।
তারপর দেখা যায়,হঠাৎ করে একদিন সকালে মোশাররফের সাথে যে ছেলেটা থাকে সে একটি বিয়ের কার্ড নিয়ে রুমে হাজির হয়। কার্ডটি মোশাররফ করিমের হাতে দিলে,সে পড়ে আশ্চর্য হয়ে যায়। কারন এটা তার গার্লফ্রেন্ড ফারিনের বিয়ের কার্ড ছিল। সেখানে তাকে ভয় দেখিয়ে বলে তার হাসবেন্ড পুলিশ। সুতরাং সে যেন আজ থেকে ফারিনকে ভুলে যায়। কিছুক্ষন পরে আবার একটি নিউজ আসে। আর সেটা হলো মোশাররফ করিমকে ছাড়াই ক্যাম্পাসের কমিটি ঘোষনা করে ফেলেছে। আর সেখানে একশো জনের কমিটির মধ্যে তাদের দলের কাউকে রাখা হয়নি। এখবর গুলো শুনে মোশাররফ করিম পাগলের মত হয়ে যায়।
পরেরদিন মোশাররফ করিম ক্যাম্পাসে একটি ব্যানার লাগায়। সেখানে মোশাররফ করিম নিজেকে বৃহত্তর বরিশাল বিভাগের পক্ষ থেকে সভাপতি আর তার সাথের একটি ছেলেকে সেক্রেটারি বানায়। তারপর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যায় চাঁদা তুলতে। আর সেখানে অরিজানাল কমিটির লোক ছিল। যার ফলে তারা বলে দেয় যে তাদের কমিটি নিজেদের বানানো। আর এই কথা বলার পরে লঞ্চের সব স্টাফরা মোশাররফ করিমের দলের লোকদের গণপিটনী দেয়। দারুন একটি মজার নাটক।
নিজস্ব মতমত বা শিক্ষা-
আজকের নাটকটি দিয়ে সবাইকে একটি ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে। রাজনীতির নামে ছাত্রজীবনটা যেন নষ্ট না করে। আর মানুষের চাপাবাজির নিচে পড়ে সর্বস্ব না হারায়। ভন্ড,প্রতারক মানুষ থেকে সবাই যেন বিরত থাকে। আর এখানে সেখানে বিভিন্ন নামে ভুয়া কমিটি করে চাঁদা তুলতে গেলে এভাবে জনগনের মার খেয়ে মরতে হবে। সুতারাং ছাত্রজীবনে পড়াশোনার দিকে বেশি মনযোগ দিতে হবে।
নাটকের লিংক
http://pakvim.net/watch/CR3LeaLyuoM
ব্যক্তিগত পয়েন্ট
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
রাজনীতি এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। মোশাররফ করিমের অভিনয় আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। যদিও এই নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। তবে আপনার নাটক রিভিউ দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। অবশ্যই সময় করে নাটকটি দেখে নিবো ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া এটা অনেক আগের নাটক। হয়তো সবার নজরে পড়ে না। ধন্যবাদ।
অনেকদিন হলো নাটক দেখা হয় না। নাটক দেখতে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। বাংলাদেশের মোশারফ করিম চঞ্চল চৌধুরী তাদের নাটক সব সময় ফেমাস হয়ে থাকে। আপনার নাটক রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। সময় পেলে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব । খুব সুন্দর করে রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া তারা দুইজন ভালোই অভিনয় করে। নাটক জগতে বিখ্যাত। ধন্যবাদ।
রাজনীতি দুই নাটকটার রিভিউ আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। রাজনীতির কারণে কিন্তু ছাত্র জীবনটা একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। মোশারফ করিমের নাটক গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। কারণ মোশারফ করিম অনেক সুন্দর অভিনয় করে থাকে। যদিও আগে তার নাটকগুলো একটু বেশি দেখা হতো, তবে এখন খুব একটা দেখা হয় না। কারণ আমি এখন নাটক দেখতেই পারি না ব্যস্ততার কারণে। তবুও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি দেখার জন্য। ভালো লাগলো পুরো রিভিউটা আমার কাছে।
জী ভাইয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে,ছাত্ররা পড়া শোনা বাদ দিয়ে রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ধন্যবাদ।
রাজনীতি নাটকটি আমার দেখা হয় নাই। তবে মোশারফ করিম এর নাটক আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে রাজনীতি নাটকের রিভিউ পোস্ট করেছেন। তবে এটি ঠিক ছাত্রজীবন পড়ালেখা করে সুন্দর করে ঘড়ে তুলতে হয়। আর এই রাজনীতির কারণে অনেক সময় অনেক ছাত্রজীবন নষ্ট হয়ে যায়। আসলে নাটকের কাহিনী পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের উপর কঠিন প্রভাব ফেলেছে। এর প্রভাব খুবই খারাপ। ধন্যবাদ।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই নাটকটি বেশ চমৎকার। আপনি খুব সুন্দর করে রাজনীতি ২ নাটকটি রিভিউ করেছেন।রাজনীতি নাটকটি আমি দেখতে পারি নাই। তবে মোশারফ করিমের নাটক আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। বর্তমানে ছাত্র এবং যুবক বিভিন্ন কাজে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আর বিভিন্নভাবে চাপা ও চাঁদাবাজি করে থাকে। তবে নাটকের কাহিনী খুব সুন্দর করে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। এত সুন্দর করে নাটকের রিভিউ করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী আপু ছাত্র রাজনীতি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান,পাড়া,মহল্লা থেকে চাঁদা তুলে। এটাই তুলে ধরেছে। ধন্যবাদ।