“বয়স কোন ব্যাপার না” নাটক রিভিউ ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
"আমার বাংলা ব্লগ" এর নতুন একটি পোষ্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।।
হ্যালো ডিয়ার ফ্রেন্স,
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি নাটক রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকটি গত বছরে রিলেজ হলেও এখনও অনেক আলোচিত। আমি নাটকটি কয়েক বার দেখেছি। নাটকটি মূলত একটি কুসংষ্কারকে কেন্দ্র করে তৈরী করা হয়েছে। । নাটকটি দেখে আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভাল লাগবে। চলুন শুরু করি।
নাম | বয়স কোন ব্যাপার না |
---|---|
চিত্রনাট্য ও পরিচালনা | জাকারিয়া শোখিন |
সম্পাদনা ও রঙ | মোঃ তৌফিকুল ইসলাম |
অভিনয়ে | অপূর্ব, কেয়া পায়েল এবং আরও অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ১ ঘন্টা ২ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ০৭ই জানুয়ারী ২০২২ ইং |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- অপূর্ব-দীপু
- কেয়া পায়েল-লাবনী
নাটকটি শুরু হয় অপূর্বর বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা নিয়ে। অপূর্ব তথা দীপুর বয়স একটু বেশি। পড়াশোনা করতে করতে কখন যে তার বয়স বেড়ে গেছে, সে সেটা বুঝতে পারেনি। তবে সে সরকারি চাকরিজীবী বিসিএস ক্যাডার একজন মানুষ। সরকারি চাকরি করলেও দীপুর বয়স একটু বেশি হওয়ার কারণে যেখানেই বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যায়, দীপুর বয়সের কারণে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। এ নিয়ে দীপুর মা সব সময় খুব টেনশনে থাকে। হঠাৎ করে একদিন কেয়া পায়েল তথা লাবনীর বাবা তার একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দীপুর মায়ের কাছে পাঠায়। দীপুর মা সেই ছবিটি দীপুকে দেখালে দীপু লাবনীকে পছন্দ করে। তখন তারা একটি নির্ধারিত তারিখ ঠিক করে লাবনীকে দেখতে যায়। তবে লাবনীকে দেখতে গিয়ে বড় একটি ঝামেলা হয়ে যাই। সেখানে লাবনীর বড় বোনের জামাই দীপুকে দেখেই চিনে ফেলে যে দীপু তার থেকে পাচঁ ছয় বছরের সিনিয়র ভাই। দীপু যখন এসএসসিতে পড়ে লাবনীর দুলাভাই তখন ক্লাস ফাইভে পড়ে। সে হিসাবে দীপু অনেক বড়। তাই লাবনীর দুলাভাই আংটি পড়ানোর আগ মুহূর্তে বিয়েটা ভেঙ্গে দেয়।
বড়দের মুখে শুনেছি প্রেম নাকি জাত-পাত, কালো -সুন্দর, বয়স, টাকা-পায়সা, সিনিয়র-জুনিয়র এসব মানে না। যাকে ভাল লাগে তাকে যে কোন অবস্থায় এক মুহূর্ত দেখলেই ভাল লেগে যায়। নাটকে দীপু আর লাভনীর ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। সবাই চলে যাওয়ার পরে লাভনীর বাবা রাতের বেলা লাভনীর রুমে গিয়ে তার কাছে ক্ষমা চাইছে। বলছে আত্নীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশি সবাই তার বিপক্ষে চলে গেছে। তিনি বুঝতে পারেনি ছেলের যে এত বয়স। লাবনী কিছুক্ষন চুপ থেকে তার বাবাকে বলে সে এই ছেলেকে বিয়ে করতে রাজি আছে। লাভনীর বাবার এই কথা শুনে তো অনেক খুশি। যদি মেয়ে থাকে রাজি তাহলে তারাতারি ডাকতে হবে কাজী। ছেলে পক্ষকে জানিয়ে দিলো তারা যেন একটি শুভদিন দেখে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে জানায়। তাহলে সেই দিনই বিয়ের তারিখ নির্ধারন করা হবে। অবশেষে দীপু আর লাবনীর বিয়ে হয়ে গেল।
দীপু আর লাবনীর বিয়ে হয়েছে ঠিকই কিন্তুু এর মধ্যে রয়ে গেছে বিরাট বড় একটি রহস্য। সুন্দরী লাবনী কেনই বা এত বয়স্ক দীপুকে বিয়ে করলো অবশ্যই তার পিছনে একটি কারন রয়েছে। আমি হালকা একটু বলছি আপনারা নাটকটি দেখলে ঠিক ভাবে বুঝতে পারবেন। লাবনী একটি ছেলেকে ভালবাসতো। আর সেই ছেলের হাত ধরে সে পালিয়ে গিয়েছিল। তবে সেই ছেলেটি লাবনীর সাথে চিট করেছে। যার ফলে লাবনী ঐ ছেলেকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। আর সেখানে সবার বুঝা হয়ে থাকতে চাইনি। তাই সে বয়স্ক দীপুকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পরে দীপু তার বউয়ের হাতটি পর্যন্ত ধরতে পারেনি। কারন লাবনী বলেছে সে দীপুর বউ হতে অনেক সময় লাগবে। সে যেন লাবনীকে ডিষ্টার্ব না করে। বেচারা দীপু আছে অনেক কষ্টের মধ্যে একতো এত বয়সে বিয়ে করলো আবার বউয়ের হাতটি পর্যন্ত ধরতে পারছে না। সে জন্য অফিসের এক কলিগের পরামর্শে সে ইয়াং হওয়ার চেষ্টা করছে। এই দৃশ্য গুলো দেখলে হাসিঁ থামাতে পারবে না,হা হা হা।
অবশেষে অনেক কষ্টে ব্যায়াম করে দীপু ইয়াং হয়েছে। বুড়ি কমে গেছে। আগের মত ফতুয়া ছেড়ে টি-শার্ট পড়া শুরু করেছে। দীপুর এই পরিবর্তন দেখে লাবনী দীপুকে সত্যি সত্যি ভালবেসে ফেলেছে। একদিন লাবনী দীপুকে বললো আমাদের বিয়ে হয়েছে অনেক দিন হয়ে গেল। কিন্তুু আমাদের এখনো বাসর হয়নি। আজকেই আমাদের বাসর হবে। সেই জন্য বাসর সাজিয়ে দুইজনই সেজে গুজে বাসর ঘরে ঢুকেছে। দুই জন বসে রোমন্টিক একটি দৃশ্য তৈরী করেছে এমন সময় লাবনীর ফোনে একটি কল আসে। তবে লাবনী কলটি কেটে দেয়। বারবার ফোন দেওয়ার কারনে দীপু লাবনীকে ফোনটি রিসিপ করতে বলে। লাবনী ফোনটি রিসিপ করলে দেখা যায় সেটা লাবনীর সাবেক প্রেমিকার ফোন। সে লাবনীর সাথে একবার দেখা করতে চাই। আজকে আর বাসর হলো না। দীপু চলে যায়।
তারপর লাবনী তার হাসবেন্ড থেকে অনুমতি নিয়ে তার বফ্রেন্ডের সাথে মিট করতে যায়। সেখানে লাবনীর বয়ফ্রেন্ড হাত জোড় করে তার কাছে ক্ষমা চাই। আর তাকে আগের মত করে ভালবাসতে চাই। তাদের আগের সম্পর্ক ফিরে পেতে চাই। লাবনী তাকে একটি চড় মেরে চলে আসে। আসার সময় তার বয়ফ্রন্ড তাকে বলে যে শুক্রবারে তার হাজবেন্ডের সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাবে। এই কথাটি দীপুকে লাবনী ফিরে এসে বলে। তারপর ঠিকই শুক্রবারে কিছু গুন্ডা নিয়ে এসে দীপুর বাড়িতে হাজির হয়। তবে দীপু সবাইকে মেরে তারিয়ে দেয়।
নাটকটি দেখে আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। আসলে প্রেম ভালবাসার ক্ষেত্রে বয়স কোন ব্যাপার না। অনেক মানুষ আছে যাদের একটু বয়স বেশি হয়ে গেছে বলে মনে মনে ছোট হয়ে থাকে। জীবন যুদ্ধে সাহস হারিয়ে ফেলে। মূল বিষয় হলো চেষ্টা করলে মানুষ অনেক কিছু করতে পারে। মানুষ চেষ্টা করলে পৃথিবী পাল্টিয়ে দিতে পারে। সঠিক ভাবে ব্যয়াম করলে শরীর স্বাস্থ্য ভাল থাকে। যারা একটু বয়স হয়ে গেছে বলে বিয়ে করতে অনিহা চলে এসেছে তাদের জন্য এই নাটকটি একটি শিক্ষা। যারা নিজের প্রতি আশা ছেড়ে দিয়েছে তারা এই নাটকটি দেখলে অনেক উৎসাহ পাবে। অপুর্ব আর কেয়া পায়েল দারুন অভিনয় করেছে। আমার কাছের নাটকটি অসাধারন লেগেছে। আপনারা ইচ্ছা করলে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া নাটক তেমন দেখিনা, তবে আপনার নাটকের রিভিউ পড়ে নাটক দেখার ইচ্ছে জাগল।দিপুর বয়স বেশি হওয়ায় কোন মেয়ে পেল না।অবশেষে লাবনী এসে তাকে বিয়ে করতে রাজি হলো, আসলে লাবনী ভুল পথে গিয়েছিল তাই দিপুকে বিয়ে করার জন্য রাজি হলো। তবে যাইহোক অবশেষে তাদের মিলন তো হলো। ধন্যবাদ আপনাকে নাটকটি রিভিউ দেওয়ার জন্য।
জী আপু এই নাটকটি দেখবন। অনেক ভাল লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
এটা আপনি ঠিকই বলেছেন, প্রেম ভালোবাসার ক্ষেত্রে বয়স কোন ব্যাপার না। অপূর্ব আর কেয়া পায়েল দারুণ অভিনয় করেছে ঠিকই বলেছেন আপনি। বয়স কোন ব্যাপার না নাটকটার রিভিউ খুবই ভালোই উপভোগ করে পড়লাম। সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। আমার কাছে আপনার সম্পূর্ণ নাটকের রিভিউ পোস্ট অসম্ভব ভালো লাগলে দেখে। এই নাটকটা আমার দেখা হয়নি, তাই ভাবছি সময় পেলে দেখে নেব। জাস্ট অসাধারণ ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট।
জী আপু প্রেম ভালবাসার কোন বয়স হয় না। ধন্যবাদ আপু।
"বয়স কোন ব্যাপার না" নাটকটি যদিও আমার দেখা হয় না কিন্তু আপনার রিভিউ পড়ে মনে হল যে নিজেই নাটকটি দেখছি। আসলে বয়স একটি সংখ্যা মাত্র এই নিয়ে নিজেকে ছোট মনে করার কিছু নেই। একদিন সবারই বয়স বাড়বে। আপনার পোস্টটি পড়ে নাটকটি আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছে। সময় পেলে দেখতে হবে । ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য।
জী আপু এই নাটকটি আমি দুই বার দেখেছিলাম। অনেক ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
বয়স কোন ব্যাপার না নাটকটা বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। আমি যেহেতু অপূর্বের নাটক একটু বেশি দেখে থাকি, তাই এই নাটকটা আমার দেখা হয়েছিল। খুবই মজা পেয়েছিলাম নাটকটা দেখার সময়, আর আপনার রিভিউ পড়েও অনেক বেশি ভালো লেগেছে। নতুন করে আবারও আপনার এই রিভিউ পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। নাটক দেখতে যেমন পছন্দ করি তেমনি নাটকের রিভিউ পোস্ট পড়েও আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ ছিল বলতে হয়।
জী ভাইয়া যে নাটক ভাল লাগে সে গুলো কয়েকবার দেখা যায় যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বয়স কোন ব্যাপার না এই নাটকটি আমি দেখেছিলাম। অপূর্ব এই নাটকে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিল। আসলে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া এবং ব্যায়াম করলে শরীর ফিট থাকে। নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া অপূর্বর নাটক মানে দারুন কিছু। ধন্যবাদ ভাইয়া।